Nobel Prize is the world’s recognition at the highest level for creative ideas, thought and work on fundamental science: PM
Government has a clear vision of where we want India to be in the next 15 years: PM Modi
Our vision in Science and Technology is to make sure that opportunity is available to all our youth: PM Modi
Our scientists have been asked to develop programmes on science teaching in our schools across the country. This will also involve training teachers: PM
India offers an enabling and unique opportunity of a large demographic dividend and the best teachers: PM Modi
Science & technology has emerged as one of the major drivers of socio-economic development: PM

গুজরাটেরমুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় রুপানিজি,

মন্ত্রিসভায়আমার সহকর্মী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধনজি,

সুইডেনেরমন্ত্রী মহোদয়া মিসেস অ্যানা এক্সট্রম,

উপ-মুখ্যমন্ত্রীশ্রী নীতিন ভাই প্যাটেলজি,

বিশিষ্ট নোবেলবিজেতাগণ,

নোবেলফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডঃ গোরান হ্যানসন,

প্রিয় বিজ্ঞানীমণ্ডলী,

ভদ্র মহিলা ওভদ্র মহোদয়গণ!

শুভ সন্ধ্যা!

সায়েন্স সিটিতেপাঁচ সপ্তাহ ধরে এই প্রদর্শনী আয়োজনের জন্য আমি প্রথমেই অভিনন্দন জানাই ভারতসরকারের জৈব প্রযুক্তি দপ্তর, গুজরাট সরকার ও নোবেল মিডিয়াকে।

আমি প্রদর্শনীরউদ্বোধনের কথা এখানে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করছি। আশা করি, আপনাদের সকলেরই এখানেঅভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ ঘটবে।

সৃজনশীলচিন্তাভাবনা, মননশীলতা এবং মৌল বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কর্মপ্রচেষ্টার সর্বোচ্চস্বীকৃতি হল, নোবেল পুরস্কার।

এর আগে একজন,দু’জন কিংবা তিনজন নোবেল বিজয়ী এসেছেন এদেশ সফরে। বিজ্ঞানী ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেতাঁদের আলোচনা ও মতবিনিময়ের পরিধি ছিল খুবই সীমিত।

কিন্তু আজগুজরাটে নোবেল বিজয়ী বহু তারকার একত্র সমাবেশ এক ইতিহাস রচনা করতে চলেছে।

এখানে উপস্থিতসকল নোবেল বিজয়ীদের আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। আপনারা সকলেই ভারতের বিশিষ্টবন্ধু-স্থানীয়। আপনাদের মধ্যে হয়তো কয়েকজন এর আগেও কয়েকবার ভারত সফরে এসেছেন। আবারআপনাদের মধ্যেই একজনের জন্ম এখানে এবং তিনি বড় হয়ে উঠেছেন এদেশেরই ভাদোদরায়।

দেশের তরুণছাত্রছাত্রীদের অনেককেই আজ এখানে উপস্থিত থাকায় আমি বিশেষভাবে আনন্দিত। আমি আজসকলের কাছেই আর্জি জানাব যে, আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে আপনারা সায়েন্স সিটিপরিদর্শনের জন্য আপনাদের বন্ধু ও পরিবার-পরিজনদের উৎসাহিত করুন।

আমাদের ছাত্ররাআপনাদের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময়ের এক অসামান্য অভিজ্ঞতা লাভ করবেন এই সমাবেশে। সকলেরনিরন্তর ভবিষ্যতের লক্ষ্যে যে সমস্ত নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলিমোকাবিলা করার কাজে এই অনুষ্ঠান তাঁদের অনুপ্রাণিত করবে বলেই আমি মনে করি।

এই প্রদর্শনীএবং এই সিরিজটি যে আপনাদের সঙ্গে ছাত্রছাত্রী, বিজ্ঞান শিক্ষক তথা বিজ্ঞানীদেরমধ্যে এক ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র গড়ে তুলবে সে বিষয়ে আমি আশাবাদী।

আগামী ১৫ বছরেভারতকে আমরা কোন মাত্রায় উন্নীত করতে চাই, সে সম্পর্কে এক স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গীরয়েছে আমার সরকারের। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি হল সেই কেন্দ্রবিন্দু, যাকে অবলম্বন করেআমাদের দৃষ্টিভঙ্গী প্রকৌশল তথা কর্মপ্রচেষ্টাকে বাস্তবায়িত করে তুলবে।

বিজ্ঞান ওপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য হল দেশের সকল তরুণও যুবক-যুবতীদের কাছে নিশ্চিতভাবেই সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। প্রশিক্ষণ এবংভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতির মাধ্যমে সবচেয়ে উপযুক্ত স্থানে আমাদের তরুণ ও যুবকরাকর্মপ্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। ভারত হয়ে উঠবে বৈজ্ঞানিক কর্মপ্রচেষ্টারক্ষেত্রে এক বিশেষ গন্তব্যস্থল। গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান এবং সাইবার পদ্ধতিসম্পর্কিত যে সমস্ত প্রধান প্রধান চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তার মোকাবিলায় আমরা হয়ে উঠববিশেষভাবে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত।

আমাদের এমনএকটি পরিকল্পনা রয়েছে, যা আমাদের এই লক্ষ্যকে কাজে রূপান্তরিত করবে।

দেশেরস্কুলগুলিতে বিজ্ঞান শিক্ষার উপযোগী কর্মসূচি উদ্ভাবনের জন্য আমরা আবেদন জানিয়েছিদেশের বিজ্ঞানীদের কাছে। এজন্য প্রয়োজন শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ।

পরবর্তীপর্যায়ে তাঁদের অনুরোধ জানানো হয়েছে – দক্ষতা অর্জন এবং উচ্চ প্রযুক্তি সম্পর্কেনতুন কর্মসূচি রচনা করার জন্য।

এই সমস্তকর্মসূচি আপনাদের কাজের সুযোগ এনে দেবে নতুন জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতির ক্ষেত্রে। সেইসঙ্গে, আপনাদের সাহায্য করবে সফল শিল্পোদ্যোগী তথা চিন্তাবিদ ও চিন্তাশীল বিজ্ঞানীহয়ে উঠতে। দেশে তথা বিদেশের যে কোনও জায়গায় উপযুক্ত পদ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেআপনারা হয়ে উঠবেন প্রতিযোগিতামুখী।

পরবর্তীপর্যায়ে আমাদের বিজ্ঞানীরা যোগসূত্র রচনা করবেন শহরাঞ্চলের গবেষণাগারগুলির মধ্যে।আপনারা পরস্পরের মধ্যে চিন্তাভাবনার বিনিময় ও আলোচনাচক্রের আয়োজন করার পাশাপাশিসম্পদ ও সাজসরঞ্জাম বিনিময়ের জন্য যথেষ্ট সুযোগ লাভ করবেন। এর মধ্য দিয়ে গড়ে উঠবেউন্নততর সহযোগিতামূলক এক বিজ্ঞান প্রচেষ্টা।

দেশের বিজ্ঞানসংস্থাগুলি প্রসার ঘটাবে বিজ্ঞান-চালিত শিল্পোদ্যোগ প্রচেষ্টাকে। আঞ্চলিক ওস্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী তার বাণিজ্যিকীকরণও ক্রমশ প্রসার লাভ করবে। আর এইভাবেইআপনাদের ‘স্টার্ট আপ’ ও শিল্প সংস্থাগুলি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে হয়ে উঠবে বিশেষভাবেপ্রতিযোগিতামুখী।

এই উদ্যোগ ওকর্মপ্রচেষ্টার বীজ রোপণ করতে হবে এই বছরটিতেই। কিভাবে ধীরে ধীরে তা থেকে ফল পাওয়াযায়, তা আমরা প্রত্যক্ষ করব আগামী দিনে।

আমার তরুণবন্ধুরা , আপনারাই হলেন ভারত তথা সমগ্রবিশ্বের ভবিষ্যতের দিশারি। ভারতের রয়েছে এক বিশাল জনগোষ্ঠী এবং শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ওশিক্ষাবিদদের এক অসাধারণ সমাহার।

তরুণছাত্রছাত্রীরা, আপনারাই হলেন সেই স্রোতোধারা, যা জ্ঞান ও বিশেষ পারদর্শিতারজলাশয়টিকে পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে। আপনাদের প্রশিক্ষণ ও ভবিষ্যৎ-ই সূচনা করবে সেইবিশেষ সন্ধিক্ষণের।

বিজ্ঞান ওপ্রযুক্তির কল্যাণে মানবজাতি আজ সমৃদ্ধ। জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ জীবনযাত্রারক্ষেত্রে এক বিশেষ গুণগত মানের সুযোগ লাভ করেছেন। মানব ইতিহাসে এ এক অসাধারণ ঘটনা।

কিন্তু তাসত্ত্বেও ভারতের সামনে রয়েছে আরেকটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। তা হল, বহু সংখ্যক মানুষকেদারিদ্র্য সীমার উর্ধ্বে নিয়ে আসার। আপনারা অদূর ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হয়ে উঠতেচলেছেন। তাই, এই চ্যালেঞ্জটিকে কখনই অবহেলা করা উচিৎ নয়।

আমাদের বিজ্ঞানপ্রচেষ্টা কতটা পরিণতি লাভ করেছে, তা প্রমাণিত হবে তখনই, যখন আরও দায়িত্বশীলতারসঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দক্ষ ব্যবহারকে আমরা সম্ভব করে তুলতে পারব।

অর্থাৎ, অদূরভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হয়ে ওঠার পাশাপাশি বর্তমান বিশ্বের অভিভাবকও হয়ে উঠবেন আপনারাই।

তাই, নোবেলপ্রদর্শনী এবং সায়েন্স সিটি থেকে অবশ্যই সুফল আহরণ করতে হবে আমাদের।

বিজ্ঞান ওপ্রযুক্তি সারা বিশ্বেই হয়ে উঠেছে আর্থ-সামাজিক বিকাশে প্রচেষ্টায় এক বিশেষচালিকাশক্তি। দ্রুত বিকাশশীল ভারতীয় অর্থনীতিতে বৈজ্ঞানিক কর্মপ্রচেষ্টার ক্ষেত্রেপ্রত্যাশা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে উত্তরোত্তর।

নোবেল পুরস্কারসিরিজ থেকে যে তিনটি বিশেষ ফল আমরা লাভ করতে পারি, সেগুলি সম্পর্কে এখন একটুআলোচনা করা যাক।

প্রথমত, ছাত্র ও শিক্ষকদের কাজকর্ম এবং পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষারবিষয়টি একান্ত জরুরি। এক জাতীয় ‘চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গী’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমেছাত্র ও শিক্ষকরা উঠে এসেছেন এই মঞ্চটিতে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিনিধিত্বকরছেন তাঁরা। তাই তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কচ্যূত হলে চলবে না।

প্রদর্শনীকালেসমগ্র গুজরটের স্কুল শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময়ের সুযোগ লাভ সম্ভব হয়েউঠবে।

দ্বিতীয়ত, স্থানীয় পর্যায়ে শিল্পোদ্যোগ প্রচেষ্টাকে উৎসাহ যোগানোদরকার। আমাদের যুবশক্তির মধ্যে রয়েছে শিল্পোদ্যোগ স্থাপনের বিশেষ উৎসাহ ওউদ্দীপনা।

আমাদের বিজ্ঞানদপ্তরের মন্ত্রীরা এই উৎসাহ ও কর্মপ্রচেষ্টার জনক। আগামী পাঁচ সপ্তাহ ধরে বিজ্ঞানও প্রযুক্তি-চালিত ‘স্টার্ট আপ’-এর উদ্যোগ কিভাবে আরও জোরদার হয়ে উঠতে পারে, সেসম্পর্কে এক কর্মশালায় অংশগ্রহণের সু্যোগও আপনারা লাভ করবেন।

আমি একথাও জানিযে, ১০টি নোবেল পুরস্কারজয়ী আবিষ্কারই স্মার্ট ফোন উদ্ভাবনের পেছেনে বিশেষভাবেউৎসাহ জুগিয়েছে।

পুরস্কারজয়ীপদার্থ বিজ্ঞানীরা এই পৃথিবীকে রক্ষা করার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ও সম্ভব করেতুলতে পারেন। ২০১৪ সালে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল নীল এলইডি আলো আবিষ্কারেরজন্য। তিনজন বিশিষ্ট জাপানি বিজ্ঞানী আকাশাকি, আমানো এবং নাকামুরার প্রাথমিকগবেষণা প্রচেষ্টার ফলেই এই আবিষ্কার সম্ভব হয়ে উঠেছে। এর আগে, লাল ও সবুজ এলইডিনামে পরিচিত আলোর সঙ্গে যদি সাদা আলোর সমন্বয় ঘটানো যায়, তা হলে তা থেকে আলো পাওয়াযাবে একশো হাজার ঘন্টার জন্য।

এ ধরণেরই বহুরোমাঞ্চকর আবিষ্কারের ঘটনা আজও ঘটে চলেছে। যেগুলিকে আমরা এই শিল্প প্রচেষ্টার কাজেযুক্ত করতে পারি।

তৃতীয়ত, সমাজেরওপর ফল ও প্রভাব

বহু নোবেলপুরস্কার বিজয়ী আবিষ্কার সমাজের স্বাস্থ্য ও কৃষি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছেবিরাটভাবে।

উদাহরণ স্বরূপআমরা উল্লেখ করতে পারি যে, জিন প্রযুক্তির পদ্ধতিকে আশ্রয় করে বেশ কিছু নির্দিষ্টওষুধ আবিষ্কার ও উদ্ভাবন আজ সম্ভব হয়ে উঠেছে।

ক্যান্সার,ডায়াবেটিস এবং বিভিন্ন সংক্রামক রোগব্যাধির প্রতিরোধ ও নিরাময়ে সমীক্ষা ও গবেষণারকাজে আমরা এই বিশেষ পদ্ধতিটিকে অবলম্বন করতে পারি।

জেনেরিক এবংজৈব ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারত ইতিমধ্যেই এক নেতৃত্বের ভূমিকায় আত্মপ্রকাশঘটিয়েছে। এই প্রচেষ্টার এক বিশেষ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে গুজরাট। কিন্তু একই সঙ্গে জৈবপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে নতুন নতুন আবিষ্কারের ক্ষেত্রেও আমাদের পৌঁছে যেতে হবে একশীর্ষস্থানে।

আমি আনন্দিত যেএই প্রদর্শনীর পরিকল্পনা করা হয়েছে সায়েন্স সিটিতে। কারণ, এই কেন্দ্রটি সমাজেরমানুষকে যুক্ত করেছে বিজ্ঞানের সঙ্গে।

যে সমস্তআন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জের আমরা বর্তমানে সম্মুখীন হয়েছি, সে সম্পর্কে জানার ও বোঝারএক আদর্শ মঞ্চ হল এই কেন্দ্রটি।

এই সায়েন্সসিটিকে প্রকৃত অর্থেই আকর্ষণীয় ও বিশ্বমানের করে তোলার লক্ষ্যে বিশেষ প্রচেষ্টাচালিয়ে যাব আমরা। তাতে উপকৃত হবেন দেশের তরুণ ছাত্রছাত্রী ও বিজ্ঞান শিক্ষকরা।এখানকার প্রদর্শনী দেখে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত হবেন বিশ্ববাসী। কেন্দ্র ও রাজ্যেরএকযোগে এই চ্যালেঞ্জটিকে গ্রহণ করা উচিৎ এই বছরটিতেই।

আমার তরুণবন্ধুরা!

নোবেল বিজয়ীরাবিজ্ঞানের এক শীর্ষস্থানের অধিকারী। তাই, তাঁদের কাছে আপনাদের শিক্ষণীয় অনেক কিছুইরয়েছে। কিন্তু মনে রাখবেন, বড় বড় পর্বতের চূড়া থেকেই জন্ম নেয় সর্বোচ্চপর্বতশৃঙ্গ। তাই, কোনও কিছুই শুধুমাত্র নিজের ওপর নির্ভর করেই গড়ে উঠতে পারে না।

আপনারাই হলেন ভারতেরভবিষ্যতের স্থপতি। আপনারাই গড়ে তুলতে পারেন নতুন নতুন শীর্ষ, যা থেকে জন্ম নেবে একসর্বোচ্চ শৃঙ্গবিশেষ। যদি আমরা মূল ভিতটির দিকে অর্থাৎ, স্কুল-কলেজগুলির ওপরবিশেষভাবে নজর দিই, তা হলে শিক্ষকদের মাধ্যমেই এই আপাত অবিশ্বাস্য ঘটনাই হয়ে উঠতেপারে বাস্তব। আর এইভাবেই ভারত থেকে জন্ম নেবে শত সহস্র শৃঙ্গ। কিন্তু কঠোর শ্রমকেযদি আমরা এড়িয়ে চলি এবং শুধুমাত্র নীচের পর্যায়ে কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকি, তা হলেস্বপ্নের সেই সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কখনই আমরা গড়ে তুলতে পারব না।

আপনারা হয়েউঠুন অনুপ্রাণিত, হয়ে উঠুন উৎসাহী, আপনাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটুক, এটাই আমরাপ্রার্থনা করি। কারণ, এইভাবেই আজকের সম্মানিত অতিথিরা সাফল্যের সর্বোচ্চ শৃঙ্গেআরোহন করতে পেরেছেন। তাই, আপনাদেরও এ বিষয়ে শিক্ষা লাভ করা উচিৎ তাঁদের কাছেই।

এই ধরণের একটিউদ্ভাবনী কর্মসূচির উদ্যোগ আয়োজনের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই নোবেল মিডিয়াফাউন্ডেশন, কেন্দ্রীয় জৈব প্রযুক্তি দপ্তর এবং গুজরাট সরকারকে।

এই প্রদর্শনীরআমি সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি। তা থেকে আপনারা যে বিশেষভাবে লাভবান হবেন, সেব্যাপারেও আমি পুরোপুরি নিশ্চিত। 

 

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
MSME exports touch Rs 9.52 lakh crore in April–September FY26: Govt tells Parliament

Media Coverage

MSME exports touch Rs 9.52 lakh crore in April–September FY26: Govt tells Parliament
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Assam has picked up a new momentum of development: PM Modi at the foundation stone laying of Ammonia-Urea Fertilizer Project in Namrup
December 21, 2025
Assam has picked up a new momentum of development: PM
Our government is placing farmers' welfare at the centre of all its efforts: PM
Initiatives like PM Dhan Dhanya Krishi Yojana and the Dalhan Atmanirbharta Mission are launched to promote farming and support farmers: PM
Guided by the vision of Sabka Saath, Sabka Vikas, our efforts have transformed the lives of poor: PM

उज्जनिर रायज केने आसे? आपुनालुकोलोई मुर अंतोरिक मोरोम आरु स्रद्धा जासिसु।

असम के गवर्नर लक्ष्मण प्रसाद आचार्य जी, मुख्यमंत्री हिमंता बिस्वा शर्मा जी, केंद्र में मेरे सहयोगी और यहीं के आपके प्रतिनिधि, असम के पूर्व मुख्यमंत्री, सर्बानंद सोनोवाल जी, असम सरकार के मंत्रीगण, सांसद, विधायक, अन्य महानुभाव, और विशाल संख्या में आए हुए, हम सबको आशीर्वाद देने के लिए आए हुए, मेरे सभी भाइयों और बहनों, जितने लोग पंडाल में हैं, उससे ज्यादा मुझे वहां बाहर दिखते हैं।

सौलुंग सुकाफा और महावीर लसित बोरफुकन जैसे वीरों की ये धरती, भीमबर देउरी, शहीद कुसल कुवर, मोरान राजा बोडौसा, मालती मेम, इंदिरा मिरी, स्वर्गदेव सर्वानंद सिंह और वीरांगना सती साध`नी की ये भूमि, मैं उजनी असम की इस महान मिट्टी को श्रद्धापूर्वक नमन करता हूँ।

साथियों,

मैं देख रहा हूँ, सामने दूर-दूर तक आप सब इतनी बड़ी संख्या में अपना उत्साह, अपना उमंग, अपना स्नेह बरसा रहे हैं। और खासकर, मेरी माताएँ बहनें, इतनी विशाल संख्या में आप जो प्यार और आशीर्वाद लेकर आईं हैं, ये हमारी सबसे बड़ी शक्ति है, सबसे बड़ी ऊर्जा है, एक अद्भुत अनुभूति है। मेरी बहुत सी बहनें असम के चाय बगानों की खुशबू लेकर यहां उपस्थित हैं। चाय की ये खुशबू मेरे और असम के रिश्तों में एक अलग ही ऐहसास पैदा करती है। मैं आप सभी को प्रणाम करता हूँ। इस स्नेह और प्यार के लिए मैं हृदय से आप सबका आभार करता हूँ।

साथियों,

आज असम और पूरे नॉर्थ ईस्ट के लिए बहुत बड़ा दिन है। नामरूप और डिब्रुगढ़ को लंबे समय से जिसका इंतज़ार था, वो सपना भी आज पूरा हो रहा है, आज इस पूरे इलाके में औद्योगिक प्रगति का नया अध्याय शुरू हो रहा है। अभी थोड़ी देर पहले मैंने यहां अमोनिया–यूरिया फर्टिलाइज़र प्लांट का भूमि पूजन किया है। डिब्रुगढ़ आने से पहले गुवाहाटी में एयरपोर्ट के एक टर्मिनल का उद्घाटन भी हुआ है। आज हर कोई कह रहा है, असम विकास की एक नई रफ्तार पकड़ चुका है। मैं आपको बताना चाहता हूँ, अभी आप जो देख रहे हैं, जो अनुभव कर रहे हैं, ये तो एक शुरुआत है। हमें तो असम को बहुत आगे लेकर के जाना है, आप सबको साथ लेकर के आगे बढ़ना है। असम की जो ताकत और असम की भूमिका ओहोम साम्राज्य के दौर में थी, विकसित भारत में असम वैसी ही ताकतवर भूमि बनाएंगे। नए उद्योगों की शुरुआत, आधुनिक इनफ्रास्ट्रक्चर का निर्माण, Semiconductors, उसकी manufacturing, कृषि के क्षेत्र में नए अवसर, टी-गार्डेन्स और उनके वर्कर्स की उन्नति, पर्यटन में बढ़ती संभावनाएं, असम हर क्षेत्र में आगे बढ़ रहा है। मैं आप सभी को और देश के सभी किसान भाई-बहनों को इस आधुनिक फर्टिलाइज़र प्लांट के लिए बहुत-बहुत शुभकामनाएँ देता हूँ। मैं आपको गुवाहटी एयरपोर्ट के नए टर्मिनल के लिए भी बधाई देता हूँ। बीजेपी की डबल इंजन सरकार में, उद्योग और कनेक्टिविटी की ये जुगलबंदी, असम के सपनों को पूरा कर रही है, और साथ ही हमारे युवाओं को नए सपने देखने का हौसला भी दे रही है।

साथियों,

विकसित भारत के निर्माण में देश के किसानों की, यहां के अन्नदाताओं की बहुत बड़ी भूमिका है। इसलिए हमारी सरकार किसानों के हितों को सर्वोपरि रखते हुए दिन-रात काम कर रही है। यहां आप सभी को किसान हितैषी योजनाओं का लाभ दिया जा रहा है। कृषि कल्याण की योजनाओं के बीच, ये भी जरूरी है कि हमारे किसानों को खाद की निरंतर सप्लाई मिलती रहे। आने वाले समय में ये यूरिया कारख़ाना यह सुनिश्चित करेगा। इस फर्टिलाइज़र प्रोजेक्ट पर करीब 11 हजार करोड़ रुपए खर्च किए जाएंगे। यहां हर साल 12 लाख मीट्रिक टन से ज्यादा खाद बनेगी। जब उत्पादन यहीं होगा, तो सप्लाई तेज होगी। लॉजिस्टिक खर्च घटेगा।

साथियों,

नामरूप की ये यूनिट रोजगार-स्वरोजगार के हजारों नए अवसर भी बनाएगी। प्लांट के शुरू होते ही अनेकों लोगों को यहीं पर स्थायी नौकरी भी मिलेगी। इसके अलावा जो काम प्लांट के साथ जुड़ा होता है, मरम्मत हो, सप्लाई हो, कंस्ट्रक्शन का बहुत बड़ी मात्रा में काम होगा, यानी अनेक काम होते हैं, इन सबमें भी यहां के स्थानीय लोगों को और खासकर के मेरे नौजवानों को रोजगार मिलेगा।

लेकिन भाइयों बहनों,

आप सोचिए, किसानों के कल्याण के लिए काम बीजेपी सरकार आने के बाद ही क्यों हो रहा है? हमारा नामरूप तो दशकों से खाद उत्पादन का केंद्र था। एक समय था, जब यहां बनी खाद से नॉर्थ ईस्ट के खेतों को ताकत मिलती थी। किसानों की फसलों को सहारा मिलता था। जब देश के कई हिस्सों में खाद की आपूर्ति चुनौती बनी, तब भी नामरूप किसानों के लिए उम्मीद बना रहा। लेकिन, पुराने कारखानों की टेक्नालजी समय के साथ पुरानी होती गई, और काँग्रेस की सरकारों ने कोई ध्यान नहीं दिया। नतीजा ये हुआ कि, नामरूप प्लांट की कई यूनिट्स इसी वजह से बंद होती गईं। पूरे नॉर्थ ईस्ट के किसान परेशान होते रहे, देश के किसानों को भी तकलीफ हुई, उनकी आमदनी पर चोट पड़ती रही, खेती में तकलीफ़ें बढ़ती गईं, लेकिन, काँग्रेस वालों ने इस समस्या का कोई हल ही नहीं निकाला, वो अपनी मस्ती में ही रहे। आज हमारी डबल इंजन सरकार, काँग्रेस द्वारा पैदा की गई उन समस्याओं का समाधान भी कर रही है।

साथियों,

असम की तरह ही, देश के दूसरे राज्यों में भी खाद की कितनी ही फ़ैक्टरियां बंद हो गईं थीं। आप याद करिए, तब किसानों के क्या हालात थे? यूरिया के लिए किसानों को लाइनों में लगना पड़ता था। यूरिया की दुकानों पर पुलिस लगानी पड़ती थी। पुलिस किसानों पर लाठी बरसाती थी।

भाइयों बहनों,

काँग्रेस ने जिन हालातों को बिगाड़ा था, हमारी सरकार उन्हें सुधारने के लिए एडी-चोटी की ताकत लगा रही है। और इन्होंने इतना बुरा किया,इतना बुरा किया कि, 11 साल से मेहनत करने के बाद भी, अभी मुझे और बहुत कुछ करना बाकी है। काँग्रेस के दौर में फर्टिलाइज़र्स फ़ैक्टरियां बंद होती थीं। जबकि हमारी सरकार ने गोरखपुर, सिंदरी, बरौनी, रामागुंडम जैसे अनेक प्लांट्स शुरू किए हैं। इस क्षेत्र में प्राइवेट सेक्टर को भी बढ़ावा दिया जा रहा है। आज इसी का नतीजा है, हम यूरिया के क्षेत्र में आने वाले कुछ समय में आत्मनिर्भर हो सके, उस दिशा में मजबूती से कदम रख रहे हैं।

साथियों,

2014 में देश में सिर्फ 225 लाख मीट्रिक टन यूरिया का ही उत्पादन होता था। आपको आंकड़ा याद रहेगा? आंकड़ा याद रहेगा? मैं आपने मुझे काम दिया 10-11 साल पहले, तब उत्पादन होता था 225 लाख मीट्रिक टन। ये आंकड़ा याद रखिए। पिछले 10-11 साल की मेहनत में हमने उत्पादन बढ़ाकर के करीब 306 लाख मीट्रिक टन तक पहुंच चुका है। लेकिन हमें यहां रूकना नहीं है, क्योंकि अभी भी बहुत करने की जरूरत है। जो काम उनको उस समय करना था, नहीं किया, और इसलिए मुझे थोड़ा एक्स्ट्रा मेहनत करनी पड़ रही है। और अभी हमें हर साल करीब 380 लाख मीट्रिक टन यूरिया की जरूरत पड़ती है। हम 306 पर पहुंचे हैं, 70-80 और करना है। लेकिन मैं देशवासियों को विश्वास दिलाता हूं, हम जिस प्रकार से मेहनत कर रहे हैं, जिस प्रकार से योजना बना रहे हैं और जिस प्रकार से मेरे किसान भाई-बहन हमें आशीर्वाद दे रहे हैं, हम हो सके उतना जल्दी इस गैप को भरने में कोई कमी नहीं रखेंगे।

और भाइयों और बहनों,

मैं आपको एक और बात बताना चाहता हूं, आपके हितों को लेकर हमारी सरकार बहुत ज्यादा संवेदनशील है। जो यूरिया हमें महंगे दामों पर विदेशों से मंगाना पड़ता है, हम उसकी भी चोट अपने किसानों पर नहीं पड़ने देते। बीजेपी सरकार सब्सिडी देकर वो भार सरकार खुद उठाती है। भारत के किसानों को सिर्फ 300 रुपए में यूरिया की बोरी मिलती है, उस एक बोरी के बदले भारत सरकार को दूसरे देशों को, जहां से हम बोरी लाते हैं, करीब-करीब 3 हजार रुपए देने पड़ते हैं। अब आप सोचिए, हम लाते हैं 3000 में, और देते हैं 300 में। यह सारा बोझ देश के किसानों पर हम नहीं पड़ने देते। ये सारा बोझ सरकार खुद भरती है। ताकि मेरे देश के किसान भाई बहनों पर बोझ ना आए। लेकिन मैं किसान भाई बहनों को भी कहूंगा, कि आपको भी मेरी मदद करनी होगी और वह मेरी मदद है इतना ही नहीं, मेरे किसान भाई-बहन आपकी भी मदद है, और वो है यह धरती माता को बचाना। हम धरती माता को अगर नहीं बचाएंगे तो यूरिया की कितने ही थैले डाल दें, यह धरती मां हमें कुछ नहीं देगी और इसलिए जैसे शरीर में बीमारी हो जाए, तो दवाई भी हिसाब से लेनी पड़ती है, दो गोली की जरूरत है, चार गोली खा लें, तो शरीर को फायदा नहीं नुकसान हो जाता है। वैसा ही इस धरती मां को भी अगर हम जरूरत से ज्यादा पड़ोस वाला ज्यादा बोरी डालता है, इसलिए मैं भी बोरी डाल दूं। इस प्रकार से अगर करते रहेंगे तो यह धरती मां हमसे रूठ जाएगी। यूरिया खिला खिलाकर के हमें धरती माता को मारने का कोई हक नहीं है। यह हमारी मां है, हमें उस मां को भी बचाना है।

साथियों,

आज बीज से बाजार तक भाजपा सरकार किसानों के साथ खड़ी है। खेत के काम के लिए सीधे खाते में पैसे पहुंचाए जा रहे हैं, ताकि किसान को उधार के लिए भटकना न पड़े। अब तक पीएम किसान सम्मान निधि के लगभग 4 लाख करोड़ रुपए किसानों के खाते में भेजे गए हैं। आंकड़ा याद रहेगा? भूल जाएंगे? 4 लाख करोड़ रूपया मेरे देश के किसानों के खाते में सीधे जमा किए हैं। इसी साल, किसानों की मदद के लिए 35 हजार करोड़ रुपए की दो योजनाएं नई योजनाएं शुरू की हैं 35 हजार करोड़। पीएम धन धान्य कृषि योजना और दलहन आत्मनिर्भरता मिशन, इससे खेती को बढ़ावा मिलेगा।

साथियों,

हम किसानों की हर जरूरत को ध्यान रखते हुए काम कर रहे हैं। खराब मौसम की वजह से फसल नुकसान होने पर किसान को फसल बीमा योजना का सहारा मिल रहा है। फसल का सही दाम मिले, इसके लिए खरीद की व्यवस्था सुधारी गई है। हमारी सरकार का साफ मानना है कि देश तभी आगे बढ़ेगा, जब मेरा किसान मजबूत होगा। और इसके लिए हर संभव प्रयास किए जा रहे हैं।

साथियों,

केंद्र में हमारी सरकार बनने के बाद हमने किसान क्रेडिट कार्ड की सुविधा से पशुपालकों और मछलीपालकों को भी जोड़ दिया था। किसान क्रेडिट कार्ड, KCC, ये KCC की सुविधा मिलने के बाद हमारे पशुपालक, हमारे मछली पालन करने वाले इन सबको खूब लाभ उठा रहा है। KCC से इस साल किसानों को, ये आंकड़ा भी याद रखो, KCC से इस साल किसानों को 10 लाख करोड़ रुपये से ज्यादा की मदद दी गई है। 10 लाख करोड़ रुपया। बायो-फर्टिलाइजर पर GST कम होने से भी किसानों को बहुत फायदा हुआ है। भाजपा सरकार भारत के किसानों को नैचुरल फार्मिंग के लिए भी बहुत प्रोत्साहन दे रही है। और मैं तो चाहूंगा असम के अंदर कुछ तहसील ऐसे आने चाहिए आगे, जो शत प्रतिशत नेचुरल फार्मिंग करते हैं। आप देखिए हिंदुस्तान को असम दिशा दिखा सकता है। असम का किसान देश को दिशा दिखा सकता है। हमने National Mission On Natural Farming शुरू की, आज लाखों किसान इससे जुड़ चुके हैं। बीते कुछ सालों में देश में 10 हजार किसान उत्पाद संघ- FPO’s बने हैं। नॉर्थ ईस्ट को विशेष ध्यान में रखते हुए हमारी सरकार ने खाद्य तेलों- पाम ऑयल से जुड़ा मिशन भी शुरू किया। ये मिशन भारत को खाद्य तेल के मामले में आत्मनिर्भर तो बनाएगा ही, यहां के किसानों की आय भी बढ़ाएगा।

साथियों,

यहां इस क्षेत्र में बड़ी संख्या में हमारे टी-गार्डन वर्कर्स भी हैं। ये भाजपा की ही सरकार है जिसने असम के साढ़े सात लाख टी-गार्डन वर्कर्स के जनधन बैंक खाते खुलवाए। अब बैंकिंग व्यवस्था से जुड़ने की वजह से इन वर्कर्स के बैंक खातों में सीधे पैसे भेजे जाने की सुविधा मिली है। हमारी सरकार टी-गार्डन वाले क्षेत्रों में स्कूल, रोड, बिजली, पानी, अस्पताल की सुविधाएं बढ़ा रही है।

साथियों,

हमारी सरकार सबका साथ सबका विकास के मंत्र के साथ आगे बढ़ रही है। हमारा ये विजन, देश के गरीब वर्ग के जीवन में बहुत बड़ा बदलाव लेकर आया है। पिछले 11 वर्षों में हमारे प्रयासों से, योजनाओं से, योजनाओं को धरती पर उतारने के कारण 25 करोड़ लोग, ये आंकड़ा भी याद रखना, 25 करोड़ लोग गरीबी से बाहर निकले हैं। देश में एक नियो मिडिल क्लास तैयार हुआ है। ये इसलिए हुआ है, क्योंकि बीते वर्षों में भारत के गरीब परिवारों के जीवन-स्तर में निरंतर सुधार हुआ है। कुछ ताजा आंकड़े आए हैं, जो भारत में हो रहे बदलावों के प्रतीक हैं।

साथियों,

और मैं मीडिया में ये सारी चीजें बहुत काम आती हैं, और इसलिए मैं आपसे आग्रह करता हूं मैं जो बातें बताता हूं जरा याद रख के औरों को बताना।

साथियों,

पहले गांवों के सबसे गरीब परिवारों में, 10 परिवारों में से 1 के पास बाइक तक होती नहीं थी। 10 में से 1 के पास भी नहीं होती थी। अभी जो सर्वे आए हैं, अब गांव में रहने वाले करीब–करीब आधे परिवारों के पास बाइक या कार होती है। इतना ही नहीं मोबाइल फोन तो लगभग हर घर में पहुंच चुके हैं। फ्रिज जैसी चीज़ें, जो पहले “लग्ज़री” मानी जाती थीं, अब ये हमारे नियो मिडल क्लास के घरों में भी नजर आने लगी है। आज गांवों की रसोई में भी वो जगह बना चुका है। नए आंकड़े बता रहे हैं कि स्मार्टफोन के बावजूद, गांव में टीवी रखने का चलन भी बढ़ रहा है। ये बदलाव अपने आप नहीं हुआ। ये बदलाव इसलिए हुआ है क्योंकि आज देश का गरीब सशक्त हो रहा है, दूर-दराज के क्षेत्रों में रहने वाले गरीब तक भी विकास का लाभ पहुंचने लगा है।

साथियों,

भाजपा की डबल इंजन सरकार गरीबों, आदिवासियों, युवाओं और महिलाओं की सरकार है। इसीलिए, हमारी सरकार असम और नॉर्थ ईस्ट में दशकों की हिंसा खत्म करने में जुटी है। हमारी सरकार ने हमेशा असम की पहचान और असम की संस्कृति को सर्वोपरि रखा है। भाजपा सरकार असमिया गौरव के प्रतीकों को हर मंच पर हाइलाइट करती है। इसलिए, हम गर्व से महावीर लसित बोरफुकन की 125 फीट की प्रतिमा बनाते हैं, हम असम के गौरव भूपेन हजारिका की जन्म शताब्दी का वर्ष मनाते हैं। हम असम की कला और शिल्प को, असम के गोमोशा को दुनिया में पहचान दिलाते हैं, अभी कुछ दिन पहले ही Russia के राष्ट्रपति श्रीमान पुतिन यहां आए थे, जब दिल्ली में आए, तो मैंने बड़े गर्व के साथ उनको असम की ब्लैक-टी गिफ्ट किया था। हम असम की मान-मर्यादा बढ़ाने वाले हर काम को प्राथमिकता देते हैं।

लेकिन भाइयों बहनों,

भाजपा जब ये काम करती है तो सबसे ज्यादा तकलीफ काँग्रेस को होती है। आपको याद होगा, जब हमारी सरकार ने भूपेन दा को भारत रत्न दिया था, तो काँग्रेस ने खुलकर उसका विरोध किया था। काँग्रेस के राष्ट्रीय अध्यक्ष ने कहा था कि, मोदी नाचने-गाने वालों को भारत रत्न दे रहा है। मुझे बताइए, ये भूपेन दा का अपमान है कि नहीं है? कला संस्कृति का अपमान है कि नहीं है? असम का अपमान है कि नहीं है? ये कांग्रेस दिन रात करती है, अपमान करना। हमने असम में सेमीकंडक्टर यूनिट लगवाई, तो भी कांग्रेस ने इसका विरोध किया। आप मत भूलिए, यही काँग्रेस सरकार थी, जिसने इतने दशकों तक टी कम्यूनिटी के भाई-बहनों को जमीन के अधिकार नहीं मिलने दिये! बीजेपी की सरकार ने उन्हें जमीन के अधिकार भी दिये और गरिमापूर्ण जीवन भी दिया। और मैं तो चाय वाला हूं, मैं नहीं करूंगा तो कौन करेगा? ये कांग्रेस अब भी देशविरोधी सोच को आगे बढ़ा रही है। ये लोग असम के जंगल जमीन पर उन बांग्लादेशी घुसपैठियों को बसाना चाहते हैं। जिनसे इनका वोट बैंक मजबूत होता है, आप बर्बाद हो जाए, उनको इनकी परवाह नहीं है, उनको अपनी वोट बैंक मजबूत करनी है।

भाइयों बहनों,

काँग्रेस को असम और असम के लोगों से, आप लोगों की पहचान से कोई लेना देना नहीं है। इनको केवल सत्ता,सरकार और फिर जो काम पहले करते थे, वो करने में इंटरेस्ट है। इसीलिए, इन्हें अवैध बांग्लादेशी घुसपैठिए ज्यादा अच्छे लगते हैं। अवैध घुसपैठियों को काँग्रेस ने ही बसाया, और काँग्रेस ही उन्हें बचा रही है। इसीलिए, काँग्रेस पार्टी वोटर लिस्ट के शुद्धिकरण का विरोध कर रही है। तुष्टीकरण और वोटबैंक के इस काँग्रेसी जहर से हमें असम को बचाकर रखना है। मैं आज आपको एक गारंटी देता हूं, असम की पहचान, और असम के सम्मान की रक्षा के लिए भाजपा, बीजेपी फौलाद बनकर आपके साथ खड़ी है।

साथियों,

विकसित भारत के निर्माण में, आपके ये आशीर्वाद यही मेरी ताकत है। आपका ये प्यार यही मेरी पूंजी है। और इसीलिए पल-पल आपके लिए जीने का मुझे आनंद आता है। विकसित भारत के निर्माण में पूर्वी भारत की, हमारे नॉर्थ ईस्ट की भूमिका लगातार बढ़ रही है। मैंने पहले भी कहा है कि पूर्वी भारत, भारत के विकास का ग्रोथ इंजन बनेगा। नामरूप की ये नई यूनिट इसी बदलाव की मिसाल है। यहां जो खाद बनेगी, वो सिर्फ असम के खेतों तक नहीं रुकेगी। ये बिहार, झारखंड, पश्चिम बंगाल और पूर्वी उत्तर प्रदेश तक पहुंचेगी। ये कोई छोटी बात नहीं है। ये देश की खाद जरूरत में नॉर्थ ईस्ट की भागीदारी है। नामरूप जैसे प्रोजेक्ट, ये दिखाते हैं कि, आने वाले समय में नॉर्थ ईस्ट, आत्मनिर्भर भारत का बहुत बड़ा केंद्र बनकर उभरेगा। सच्चे अर्थ में अष्टलक्ष्मी बन के रहेगा। मैं एक बार फिर आप सभी को नए फर्टिलाइजर प्लांट की बधाई देता हूं। मेरे साथ बोलिए-

भारत माता की जय।

भारत माता की जय।

और इस वर्ष तो वंदे मातरम के 150 साल हमारे गौरवपूर्ण पल, आइए हम सब बोलें-

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।