Blessed to have prayed at the Janaki Temple: PM Modi
India-Nepal ties date back to the ‘Treta Yuga’: PM Modi
Nepal teaches us how women are respected: PM Modi
India and Nepal have stood the test of times: PM Modi in Janakpur
Glad that Nepal now has a democratically elected government: PM Modi in Janakpur
We are now giving impetus to Tradition, Trade, Transport, Tourism and Trade between both countries: PM Modi in Nepal
Our vision for India is ‘Sabka Saath, Sabka Vikas’, we are moving towards building a ‘New India’ by 2022: PM Modi

উপস্থিত সকল মাননীয় ব্যক্তিবর্গ এবং বিপুল সংখ্যায় আগত আমার জনকপুরে প্রিয় ভাই ও বোনেরা – জয় সিয়ারাম, জয় সিয়ারাম, জয় সিয়ারাম।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

২০১৪ সালের আগস্ট মাসে যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নেপালে এসেছিলাম, তখন সংবিধান সভাতেই বলেছিলাম যে, শীঘ্রই আমি জনকপুরে আসব। আমি সবার আগে আপনাদের সবার কাছে ক্ষমা চাইছি, কারণ, আমি শীঘ্রই আসতে পারিনি, আসতে অনেক দেরী হয়ে গেছে! কিন্তু মন বলে, সম্ভবত, মা সীতাই আমার জন্য আজ ভদ্রকালী একাদশীর দিনে তাঁকে দর্শনলাভের দিনটি নির্ধারিত করে রেখেছিলেন। এ আমার দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা যে, জগৎ-জননী সীতা মা’কে রাজা জনকের রাজধানীর পবিত্রভূমিতে গিয়ে প্রণাম জানাব। আজ জানকী মন্দির দর্শন করে আমার অনেক বছরের মানোকামনা পূর্ণ হওয়ায় নিজের জীবনকে ধন্য বলে অনুভব করছি।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

ভারত ও নেপাল দুটি দেশ, কিন্তু আমাদের বন্ধুত্ব আজকের নয়, ক্রেতা যুগ থেকেই আমরা পরস্পরের বন্ধু। রাজা জনক ও রাজা দশরথ শুধুই জনকপুর এবং অযোধ্যাকে নয়, সমগ্র ভারত, এবং সমগ্র নেপালকে মিত্রতা এবং সহমর্মিতার বন্ধনে বেঁধে দিয়েছিলেন। এই বন্ধন রাম-সীতা, এই বন্ধন বুদ্ধ এবং মহাবীরের শিষ্যদের মধ্যে আরও সুদৃঢ় হয়েছে, এই বন্ধন এমনকি রামেশ্বরমের বাসিন্দাদের টেনে পশুপতিনাথের চরণে নিয়ে আসে, এই বন্ধন লুম্বিনীবাসীদের বৌদ্ধগয়ায় নিয়ে যায় আর এই বন্ধন, এই আস্থা এবং ভালোবাসাই আমাকে আজ জনকপুরে টেনে এনেছে।

 

রামায়ণের কালে জনকপুর, মহাভারতের কালে বিরাটনগর, পরবর্তীকালে সিমরোনগঞ্জ, বুদ্ধকালে লুম্বিনীর সঙ্গে এই সম্পর্ক এতই নিবিড় যে পরস্পরের মধ্যে আস্থা, আপনভা্ব, রুটি এবং বেটির সম্পর্ক বলে পরিভাষিত করা যায়। মা জানকী ছাড়া অযোধ্যা অসম্পূর্ণ।

 

আমাদের মা এক – আমাদের আস্থাও অভিন্ন, আমাদের প্রকৃতি ও সংস্কৃতি এক, আমাদের পথ ও প্রার্থনাও অভিন্ন। আমাদের পরিশ্রমের সুরভি আর পরাক্রমের প্রতিধ্বনি এক, আমাদের দৃষ্টি আর সৃষ্টি অভিন্ন। আমাদের সুখ ও সমস্যা, আশা-আকাঙ্খা, মন ও ইচ্ছা এবং আমাদের লক্ষ্য এক। এটি সেই কর্মবীরদের ভূমি, ভারতের উন্নয়নগাথায় যাঁদের অংশগ্রহণকে বরাবরই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। নেপাল ছাড়া ভারতের আস্থা অসম্পূর্ণ, বিশ্বাস অসম্পূর্ণ, ইতিহাস অসম্পূর্ণ, ভারতের চারধাম এবং আমাদের পুরুষোত্তম রাম অসম্পূর্ণ।

ভাই ও বোনেরা,

 

আপনাদের ধর্ম-নিষ্ঠা সাগর থেকেও গভীর আর আপনাদের স্বভিমান সাগরমাথা এভারেস্ট শৃঙ্গ থেকেও উঁচু। মিথিলার তুলসী যেমন ভারতের আঙিনায় পবিত্রতা, শুচিতা এবং মর্যাদার সুরভী এনে দেয়, নেপালের সঙ্গে ভারতের আত্মীয়তা তেমনই এই সম্পূর্ণ অঞ্চলের শান্তি, সুরক্ষা এবং সংস্কারের ত্রিবেণী দ্বারা সিঞ্চিত।

 

মিথিলার সংস্কৃতি এবং সাহিত্য, লোককলা, স্বাগত-সম্মান প্রথাগুলি অদ্ভূত। আর আমার আজকের অভিজ্ঞতা, আপনাদের ভালোবাসাকে অনুভব করছি, আপনাদের আশীর্বাদ অনুভব করছি। গোটা বিশ্বে মিথিলা সংস্কৃতির স্থান অনেক ওপরে। কবি বিদ্যাপতির কাব্যস্রোত আজও ভারত ও নেপালে সমানভাবে অন্তঃসলিলা। তাঁর শব্দাবলীর মিষ্টত্ব আজও ভারত ও নেপালের সাহিত্যে মিশে আছে।

 

জনকপুর ধামে এসে আপনাদের আন্তরিকতার স্পর্শে মনে হয়নি যে অন্য কোথাও এসেছি। সবকিছু নিজের মতো, প্রিয়জনের মতো, এই আত্মীয়তা তো নিজস্বই। বন্ধুগণ, নেপাল চিরকালই অধ্যাত্ম ও দর্শনের কেন্দ্রভূমি। এই পবিত্রভূমিতে ভগবান বুদ্ধের জন্মস্থল লুম্বিনী রয়েছে। বন্ধুগণ, এই মাটি ভূমিকন্যা সীতামায়ের মানবিক মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্যের প্রতীক, যা এই দুটি দেশকে পরস্পরের সঙ্গে জুড়ে রেখেছে। এই জনকপুরী সীতামায়ের জন্মভূমি, নারী চেতনার গঙ্গোত্রীস্বরূপ। সীতামাতা ত্যাগ, তপস্যা, সমর্পণ আর সংঘর্ষের প্রতিমূর্তি; কাঠমান্ডু থেকে কন্যাকুমারী আমরা সবাই সীতামায়ের পরম্পরার বাহক। তাঁর মহিমা তাঁর আরাধনাকারীরা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন।

 

এই মাটি গোটা বিশ্বকে শিখিয়েছে যে, কিভাবে কন্যাকে সম্মান দিতে হয়। বন্ধুগণ, আমাদের ইতিহাস এবং পরম্পরাকে সঞ্জীবিত রাখার ক্ষেত্রে নারীশক্তির বড় ভূমিকা রয়েছে। যেমন মিথিলা পেন্টিং-এর পরম্পরাকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে আমাদের মা ও বোনেদের। মৈথিলী চিত্রকলা আজ সারা পৃথিবীতে প্রসিদ্ধ। এই চিত্রকলায় সর্বদাই আমাদের প্রকৃতি চেতনা, পরিবেশ সচেতনতা পরিস্ফুট হয়। আজ যখন বিশ্বময় নরী ক্ষমতায়ন আর জলবায়ু পরিবর্তন আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে, সেই সময়ে এই চিত্রকলা বিশ্ববাসীকে গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। রাজা জনকের দরবারে সভাসদ ছিলেন গার্গীর মতো বিদূষী আর অষ্টাবক্রের মতো বিদ্বান; এই দৃষ্টান্ত প্রমাণ করে যে আমাদের পূর্বজরা সুশাসনের পাশাপাশি জ্ঞানচর্চা ও আধ্যাত্মকে কতটা গুরুত্ব দিতেন।

 

রাজা জনকের সভায় জনকল্যাণকারী নীতিসমূহ নিয়ে বিদ্বানদের মধ্যে বিতর্ক হ’ত। রাজা জনক নিজেও সেই বিতর্কে অংশগ্রহণ করতেন। আর সেই বিতর্ক মন্থন থেকে যে সমাধান বের হ’ত, তা জনসাধারণ এবং দেশের কল্যাণে প্রয়োগ করতেন। রাজা জনকের কাছে প্রজারাই ছিলেন সবকিছু। ঘর-পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের স্বার্থের ঊর্ধ্বে প্রজার স্বার্থকেই তিনি রাজধর্ম করে নিয়েছিলেন। সেজন্য রাজা জনককে বিদেহ-ও বলা হ’ত। বিদেহ মানে হ’ল – যাঁর নিজের দেহ বা শরীর নিয়ে চিন্তা নেই, জনহিতে সবকিছু উৎসর্গীকৃত, লোক-কল্যাণে সমর্পিত।

ভাই ও বোনেরা,

 

রাজা জনকের সেই জনকল্যাণের বার্তা নিয়েই আজ নেপাল এবং ভারত এগিয়ে চলেছে। এই দু’দেশের সম্পর্কে রাজনীতি, কূটনীতি, সমরনীতির ঊর্ধ্বে দেবনীতির গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যক্তি এবং সরকার একের পর এক আসবে-যাবে, কিন্তু আমাদের এই সম্পর্ক আজব-অমর। এখন আমাদের উচিৎ মিলেমিশে সংস্কৃতি, শিক্ষা, শান্তি, সুরক্ষা আর সমৃদ্ধির পঞ্চবটিকে রক্ষা করা। আমি মনে করি, নেপালের উন্নয়নে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নয়নের দূত।ভারত ও নেপালের বন্ধুত্ব কতটা নিবিড় ছিল, তা আমরা রামচরিতমানসের চৌপায়ীগুলির মাধ্যমে ভালোভাবে বুঝতে পারি।

 

জে ন মিত্র দুঃখ হোহিঁ দুখারী।

তিন্‌হহি বিলোকত পাতক ভারী।।

 

নিজ দুঃখ গিরিসম রজ করি জানা।

মিত্রক দুঃখ রজ মেরু সমানা।।

 

অর্থাৎ যাঁরা বন্ধুর দুঃখে ব্যথিত হয় না, তাদের দিকে তাকালেই পাপ হয়। আর সেজন্য আপনার দুঃখ পাহাড়ের মতো বিশাল হলেও তাকে বেশি গুরুত্ব দেবেন না, কিন্তু বন্ধুর দুঃখ ধুলোর মতো হলেও তাঁকে পর্বতের মতো মেনে তাঁর জন্য যতটা সম্ভব করা উচিৎ।

 

বন্ধুগণ,

 

ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে, যখন যখন বিপদ এসেছে ভারত ও নেপাল পরস্পরের পাশে দাঁড়িয়ে মিলিতভাবে তার মোকাবিলা করেছে। আমরা প্রত্যেক সমস্যাতীর্ণ সময়ে পরস্পরের পাশে দাঁড়িয়েছি। দশকের পর দশক ধরে নেপালে স্থায়ী উন্নয়নের অংশীদার হ’ল ভারত। ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথমে’ নীতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে নেপাল সর্বাগ্রে রয়েছে।

 

আজ ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থ ব্যবস্থা হয়ে ওঠার দিকে তীব্রগতিতে এগিয়ে চলেছে এবং আপনাদের নেপালও তীব্রগতিতে উন্নয়নের উচ্চতাগুলি স্পর্শ করছে। আজ এই অংশীদারিত্বকেই নতুন প্রাণশক্তি প্রদান করার জন্য আমার নেপাল আসার সৌভাগ্য হয়েছে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

উন্নয়নের প্রথম শর্ত হ’ল গণতন্ত্র। আমি আনন্দিত যে, আপনারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে তুলছেন। এই তো কিছুদিন আগে আপনাদের দেশে নির্বাচন হয়েছে, আপনারা নিজেদের আশা-আকাঙ্খাকে বাস্তবায়িত করার জন্য ঐতিহাসিক জনাদেশ দিয়ে একটি নতুন সরকার নির্বাচন করেছেন। এক বছরের মধ্যেই সাফল্যের সঙ্গে ত্রিস্তরীয় নির্বাচন করানোর জন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। নেপালের ইতিহাসে প্রথমবার দেশের প্রত্যেক প্রান্তে প্রান্তিক সরকার গড়ে উঠেছে। এটি শুধু নেপালের জন্যই নয়, ভারত ও এই সমগ্র অঞ্চলের জন্যও একটি গর্বের বিষয়। নেপাল সামাজিক ও আর্থিক পরিবর্তনের জন্য একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করছে, যার ভিত্তি হবে সুশাসন এবং সমতার ভিত্তিতে উন্নয়ন।

 

১০ বছর আগে নেপালের নবীন প্রজন্ম বুলেটের পথ ছেড়ে ব্যালটের পথ বেছে নিয়েছে। যুদ্ধ থেকে বুদ্ধের পথে এগিয়ে আসার এই পরিবর্তনের জন্য আমি নেপালের জনগণকে অন্তর থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ভারত ও নেপালের প্রাচীন সম্পর্ককে আরও নতুন শক্তি যুগিয়েছে। গণতন্ত্র এমন একটি শক্তি, যা সাধারণ থেকে অসাধারণ সকল মানুষের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ ও অধিকার প্রদান করে। ভারত এই শক্তিকে অনুভব করেছে আর আজ ভারতের প্রত্যেক নাগরিক তাঁদের স্বপ্ন পূরণে উৎসর্গীকৃত। আমি আপনাদের সবার চোখে সেই চমক দেখতে পাচ্ছি যে, আপনারাও নেপালকে সেই পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। আমি আপনাদের চোখে নেপালের জন্য এমনই স্বপ্ন দেখছি।

 

বন্ধুগণ,

 

সম্প্রতি নেপালের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় ওলিজিকে দিল্লিতে সংবর্ধিত করার সু্যোগ হয়েছিল। নেপালকে নিয়ে তিনি কি ভাবছেন, তা জানার সুযোগ হয়েছিল। ওলিজি তাঁর ‘সমৃদ্ধ নেপাল, সুখী নেপালী’ স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চান। ভারতও সর্বদাই নেপালের সমৃদ্ধি ও সুখ কামনা করে, ভবিষ্যতেও করবে। প্রধানমন্ত্রী ওলিজিকে তাঁর এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার প্রক্রিয়ায় আমি ১২৫ কোতি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। ভারতও একই ধরণের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছে।

 

ভারতে আমাদের সরকারের মূলমন্ত্র হ’ল ‘সকলের সঙ্গে সকলের উন্নয়ন’। সমাজের কোনও অংশ, দেশের কোনও প্রান্ত যেন এই উন্নয়ন ধারা থেকে বঞ্চিত না হয়, আমরা নিয়মিত সেই প্রচেষ্টাই করে যাচ্ছি। ফলস্বরূপ, পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ সর্বত্র উন্নয়নের রথ ছুটতে শুরু করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে যে অঞ্চলগুলিতে উন্নয়নের আলো একদমই পৌঁছয়নি, আমাদের সরকার সেই অঞ্চলগুলির উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। বিশেষ করে, দেশের পূর্বভাগ – নেপালের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলি; উত্তর প্রদেশ থেকে শুরু করে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সমকক্ষ করে তোলার সংকল্প নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি। এই অঞ্চলগুলিতে যে উন্নয়নযজ্ঞ চলছে, তার দ্বারা নিশ্চিতভাবেই প্রতিবেশী রূপে নেপাল সর্বাধিক লাভবান হবে।

ভাই ও বোনেরা,

 

আমি যখন ‘সকলের সঙ্গে সকলের উন্নয়ন’-এর কথা বলি, এই ‘সকল’ শব্দটি শুধু ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সমস্ত প্রতিবেশী দেশের জন্যও আমি একই রকম কামনা করি। আজ যখন নেপালে ‘সমৃদ্ধ নেপাল, সুখী নেপালী’ রূপী আকাঙ্খাকে মূর্ত করার বাসনা দেখি, তখন আমার মন আনন্দে ভরে ওঠে, ১২৫ কোটি ভারতবাসীর মন আনন্দে ভরে ওঠে। আমার জনকপুরের ভাই ও বোনেরা, আমরা ভারতে একটি বড় সংকল্প নিয়েছি, নতুন ভারত গড়ে তোলার সংকল্প।

 

২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১২৫ কোটি ভারতবাসী নতুন ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্য স্থির করেছেন। আমরা এমন এক ভারত গড়ে তুলছি, যেখানে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তিও উন্নয়নের সুযোগ সমানভাবে পাবেন। যেখানে উঁচু-নীচু বৈষম্যের কোনও স্থান থাকবে না, প্রত্যেকের আত্মসম্মান বজায় থাকবে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান এবং বয়স্কদের চিকিৎসা সুনিশ্চিত হবে। জীবন সহজ হবে, সাধারণ মানুষকে প্রতিকূল ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়তে হবে না। সমাজ হবে দুর্নীতি ও দুরাচার রহিত, ব্যবস্থাগুলি হবে স্বচ্ছ – এমনই নতুন ভারতের দিকে আমরা এগিয়ে চলেছি। সেজন্য আমরা প্রশাসন ও আইনে অনেক সংস্কার এনেছি। প্রক্রিয়াগুলিকে অনেক সরল করে তুলেছি। বিশ্ববাসী আমাদের এই পদক্ষেপগুলিকে প্রশংসা করছে। আমরা রাষ্ট্র নির্মাণ ও গণঅংশীদারিত্বের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে তুলছি। নেপালের সাধারণ মানুষের জীবনকে আনন্দে ভরিয়ে তুলতে আপনারা যে পদক্ষেপই নিন না কেন, তা ১২৫ কোটি ভারতবাসীকে আনন্দ দেবে – এ ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিত থাকুন।

 

বন্ধুগণ,

 

পরস্পরের বাড়িতে আসা-যাওয়া করলেই বন্ধুত্ব আরও প্রগাঢ় হয়। নেপালের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের অব্যবহিত পরেই আজ আমি আপনাদের মাঝে আসার সুযোগ পেয়েছি। আমি যেরকম বারবার আপনাদের মাঝে আসি, তেমনই উভয় দেশের মানুষ যেন কোনও রকম বাধা-বিপত্তি ছাড়াই একে অপরের দেশে আসা-যাওয়া করতে পারেন।

 

হিমালয় পর্বত আমাদের দুই দেশকে জুড়ে রেখেছে। তরাই-এর বিস্তৃত উর্বর ভূমি, কৃষি ক্ষেত্র এবং অসংখ্য কাঁচা-পাকা রাস্তা দু-দেশের মধ্যে রয়েছে। ছোট-বড় কয়েক ডজন নদী নেপাল থেকে ভারতে প্রবেশ করেছে। আমরা পরস্পরের সঙ্গে উন্মুক্ত সীমারেখা দ্বারা যুক্ত। কিন্তু আজকের যুগে এটাই যথেষ্ট নয়। আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী মহোদয় যতগুলি বিষয়ে আমি সংক্ষেপেই সেগুলি উল্লেখ করছি। আমাদের হাইওয়ে, আইওয়ে, ট্রান্সওয়ে বা বিদ্যুতের সংযোগের মাধ্যমে এবং কাস্টম চেক পোস্টের তদারকিতে রেল, সড়ক, জলপথ ও বিমান সংযোগের মাধ্যমে আরো বেশি করে যুক্ত হতে হবে। এভাবে জল, স্থল ও অন্তরীক্ষ মাধ্যমে পরস্পরের সম্পর্ক আরো নিবিড় করে তুলতে হবে। জনগণের মধ্যে সম্পর্ক যত প্রস্ফুটিত, ফলবান এবং শক্তিশালী হবে, তা যোগাযোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য আমরা ভারত ও নেপালের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি।

 

আজই প্রধানমন্ত্রী ওলিজির সঙ্গে যৌথভাবে আমি জনকপুর ও অযোধ্যার মধ্যে বাস পরিষেবা উদ্বোধন করেছি। গত মাসে আমরা দু’জনে বীরগঞ্জে প্রথম ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টের উদ্বোধন করেছি। এই চেক পোস্ট যখন পূর্ণ শক্তিতে কাজ শুরু করবে, তখন সীমান্ত বাণিজ্য এবং আসা-যাওয়া অনেক বেশি সহজ হবে। জয়নগর-জনকপুর রেলপথের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

এ বছরের শেষভাগেই আমরা এই রেল লাইন চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছি। এটি চালু হলে নেপাল ভারতের বিশাল রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়বে। আপতত আমরা বিহারের রাক্সৌল থেকে কাঠমান্ডু পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছি। নেপালবাসী যাতে জলপথে সমুদ্র পর্যন্ত পৌঁছতে পারেন এবং তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বিশ্ববাসীকে রপ্তানি করতে পারেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে তাদের প্রয়োজন অনুসারে পণ্য আমদানি করতে পারেন, সে ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। এই জলপথ কার্যকরি হলে নেপালে বাণিজ্য ও শিল্পোন্নয়ন হবে, কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ গড়ে উঠবে। এই প্রকল্পগুলি নেপালের সামগ্রিক সামাজিক ও আর্থিক পরিবর্তনকে সুনিশ্চিত করবে।

 

আজ ভারত ও নেপালের মধ্যে সর্বাধিক বাণিজ্যিক লেনদেন হচ্ছে। ফলে, ব্যবসায়ীদের উভয় দেশে আসা-যাওয়া বেড়েছে। গত মাসে আমরা কৃষিতে একটি নতুন বোঝাপড়ার কথা ঘোষণা করেছি। আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীও একটু আগে এ বিষয়ে কথা বলছিলেন। এই বোঝাপড়ার মাধ্যমে উভয় দেশের কৃষকদের উপার্জন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হবে। কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আমরা পরস্পরের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

বর্তমান যুগে প্রযুক্তি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। ভারত মহাকাশ প্রযুক্তিতে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পাঁচটি দেশের অন্যতম। আপনাদের হয়তো মনে আছে যে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আমি যখন প্রথমবার নেপালে এসেছিলাম, তখনই বলেছিলাম, ভারত নেপালের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য একটি উপগ্রহ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করার কথা ভাবছে। আমার সেই প্রতিশ্রুতি ভারত গত বছরই বাস্তবায়িত করেছে। গত বছর মহাকাশে পাঠানো সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট আজ পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে। নেপাল এর দ্বারা সম্পূর্ণ লাভবান হচ্ছে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

ভারত আর নেপালের উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা পাঁচটি ‘টি’-কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছি। এগুলি হ’ল –ট্র্যাডিশন, ট্রেড, ট্যুরিজম, টেকনোলজি এবং ট্রান্সপোর্ট; অর্থাৎ ঐতিহ্য, বাণিজ্য, পর্যটন, প্রযুক্তি এবং পরিবহণের মাধ্যমে আমরা উভয় দেশের উন্নয়নের পথকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

 

বন্ধুগণ,

 

সংস্কৃতি ছাড়া ভারত ও নেপালের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের একটি উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র হ’ল বাণিজ্য। নেপাল বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। কিন্তু ভারত থেকে আজও প্রায় ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেপালে সরবরাহ করা হয়। সেজন্য আমরা নতুন ট্রান্সমিশন লাইন বিছানোর কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

 

বন্ধুগণ,

 

২০১৪ সালে আমি নেপালের সংবিধান সভায় বলেছিলাম যে, ট্রাক বোঝাই করে তেল আনতে হবে কেন? সরাসরি পাইপ লাইনের মাধ্যমে তেল আসবে না কেন? আপনারা শুনে খুশি হবেন যে, আমরা মোতিহারি – অমলেখগঞ্জ অয়েল পাইপ লাইনের কাজও শুরু করে দিয়েছি।

 

ভারতে আমরা ‘স্বদেশ দর্শন’ নামক একটি প্রকল্প শুরু করেছি, যার মাধ্যমে আমরা ঐতিহাসিক মর্যাদাসম্পন্ন আস্থা স্থানগুলিকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা যেখানে যেখানে ভগবান রাম ও মা সীতার চরণ স্পর্শে ধন্য হয়েছে, সেই অঞ্চলগুলিকে রামায়ণ সার্কিটের মাধ্যমে যুক্ত করছি। সেই প্রক্রিয়ায় আমরা নেপালকেও যুক্ত করার পথে এগিয়ে এসেছি। এদেশে যেখানে যেখানে রামায়ণের চিহ্ন রয়েছে, সেই অঞ্চলগুলিকে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করে ভক্তদের সুলভে আকর্ষণীয় সফরের আনন্দ দিতে চাই। সেজন্য উভয় দেশের পর্যটন শিল্পকে আরও উন্নত করতে হবে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

প্রত্যেক বছর বিবাহ পঞ্চমীতে ভারত থেকে হাজার হাজার ভক্ত অবধ থেকে জনকপুর আসেন। সারা বছর ধরে ভারতীয় পর্যটক ও তীর্থযাত্রীরা নেপাল আসেন। এই তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে আমি আজ অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, জনকপুর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলির পর্যটন পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য নেপাল সরকারের প্রকল্পে ভারত সরকার ১০০ কোটি টাকা দিয়ে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পে নেপালের কেন্দ্রীয় সরকার ও এখানকার প্রভিনশিয়াল সরকারের মিলিত উদ্যোগে ভারত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। সেই রাজা জনকের সময় থেকেই এই জনকপুর ধাম শুধু অযোধ্যাকে নয়, গোটা ভারতীয় সমাজকে পারম্পরিকভাবে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি তো কেবল মা জানকীর দর্শন লাভের জন্য এখানে এসেছিলাম। আর, ভারতের ১২৫ কোটি জনগণের পক্ষ থেকে জনকপুরের জন্য মা জানকীর চরণে এই ঘোষণাগুলি সমর্পণ করে যাচ্ছি।

 

এমনই আরও দুটি কর্মসূচি হ’ল বুদ্ধিস্ট সার্কিট ও জৈন সার্কিট। এগুলির মাধ্যমে গৌতম বুদ্ধ এবং মহাবীর জৈন বিজরিত যত তীর্থ ক্ষেত্র ও ধর্মস্থান ভারতে রয়েছে, সবগুলিকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। নেপালেও বৌদ্ধ ও জৈনদের অনেক ধর্মস্থান রয়েছে। এগুলিকে আমাদের দেশের সংশ্লিষ্ট সার্কিটের সঙ্গে যুক্ত করতে পারলে উভয় দেশের পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের মধ্যে একটি সুন্দর মেল-বন্ধন গড়ে উঠতে পারে। এর ফলে, নেপালের নবীন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি পাবে।

ভাই ও বোনেরা,

 

আমাদের খাদ্যাভাস এবং ভাষায় অনেক সাদৃশ্য আছে। মৈথিলীভাষী মানুষ ভারতে যত আছেন, নেপালেও প্রায় সমসংখ্যক মানুষ আছেন। মৈথিলী কলা সংস্কৃতি ও সভ্যতার উৎকর্ষ সমগ্র বিশ্বে প্রশংসিত। উভয় দেশ যখন এই মৈথিলীর উন্নয়নে মিলিতভাবে সংহত প্রচেষ্টা চালাবে, তখন এই ভাষা ও সংস্কৃতির উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। আমি শুনেছি যে, বেশ কিছু মৈথিলী চিত্র নির্মাতা নেপাল-ভারত সহ কাতার ও দুবাইয়েও একই দিনে মৈথিলী চলচ্চিত্র রিলিজ করবেন। আমি এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। এই ধরণের উদ্যোগ যত বেশি হবে, তত ভালো। এখানে যেমন মৈথিলীভাষীর আধিক্য রয়েছে, ভারতেও তেমনই বহুসংখ্যক নেপালীভাষী মানুষ রয়েছেন। সমস্ত ভারতীয় ভাষায় নেপালী ভাষা ও সাহিত্যের অনুবাদ বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চলছে। আপনারা হয়তো জানেন যে, নেপালী ভাষা ভারতের সেই ভাষাগুলির অন্যতম, যেগুলিকে ভারতীয় সংবিধান স্বীকৃতি দিয়েছে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

আরেকটি ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা উভয় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ভারতের জনগণ গত চার বছর ধরে সারা দেশে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালু করেছে। আপনারা যাঁরা এখানকার সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্য বিহার বা তৎপার্শ্ববর্তী অন্যান্য রাজ্যগুলিতে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছেন, তাঁরা হয়তো দেখেছেন কিংবা শুনেছেন যে, বিগত তিন-চার বছরের মধ্যেই ভারতে ৮০ শতাংশেরও বেশি গ্রাম উন্মুক্ত পরিবেশে প্রাকৃতিক কর্ম থেকে মুক্ত ঘোষিত হয়েছে। ভারতের প্রত্যেক বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের জন্য স্বতন্ত্র শৌচালয় সুনিশ্চিত করা হয়েছে। আমি শুনে অত্যন্ত আনন্দিত যে, আপনারাও ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ এবং ‘স্বচ্ছ গঙ্গা অভিযান’ – এরই মতো উদ্যোগ নিয়ে জনকপুরের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থানগুলিকে পরিচ্ছন্ন করার অভিযানে সফল হয়েছেন। সেজন্য আমি এখানকার মেয়রকে ধন্যবাদ জানাই। পৌরাণিক গুরুত্বসম্পন্ন স্থানগুলিকে পরিচ্ছন্ন রাখার প্রচেষ্টায় নিযুক্ত যুবসমাজকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

 

মেয়রের সুযোগ্য নেতৃত্বে এখানকার নবীন প্রজন্মের মানুষেরা যেভাবে কাজ করেছেন, এখানকার বিধায়ক ও সাংসদ যেভাবে স্বচ্ছ জনকপুর অভিযানকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, সেজন্য আপনাদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই। ভাই ও বোনেরা, আজ আমি মা জানকীর দর্শনলাভ করেছি। আগামীকাল মুক্তিনাথ ধাম এবং আরেকবার পশুপতিনাথজির আশীর্বাদ গ্রহণের সুযোগ পাব। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, দেব আশীর্বাদ এবং জনগণের আশীর্বাদ থাকলে সমৃদ্ধ নেপাল এবং সমৃদ্ধ ভারত গড়ে তোলার সংকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব।

আরেকবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় ওলিজি, রাজ্য সরকার, নগর সরকার এবং এখানকার জনগণকে অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

 

জয় সিয়ারাম। জয় সিয়ারাম

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
India leads globally in renewable energy; records highest-ever 31.25 GW non-fossil addition in FY 25-26: Pralhad Joshi.

Media Coverage

India leads globally in renewable energy; records highest-ever 31.25 GW non-fossil addition in FY 25-26: Pralhad Joshi.
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
'Vande Mataram' rekindled an idea deeply rooted in India for thousands of years: PM Modi in Lok Sabha
December 08, 2025
Vande Mataram energised our freedom movement: PM
It is a matter of pride for all of us that we are witnessing 150 years of Vande Mataram: PM
Vande Mataram is the force that drives us to achieve the dreams our freedom fighters envisioned: PM
Vande Mataram rekindled an idea deeply rooted in India for thousands of years: PM
Vande Mataram also contained the cultural energy of thousands of years, it also had the fervor for freedom and the vision of an independent India: PM
The deep connection of Vande Mataram with the people reflects the journey of our freedom movement: PM
Vande Mataram gave strength and direction to our freedom movement: PM
Vande Mataram was the all-encompassing mantra that inspired freedom, sacrifice, strength, purity, dedication, and resilience: PM

आदरणीय अध्यक्ष महोदय,

मैं आपका और सदन के सभी माननीय सदस्यों का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं कि हमने इस महत्वपूर्ण अवसर पर एक सामूहिक चर्चा का रास्ता चुना है, जिस मंत्र ने, जिस जय घोष ने देश की आजादी के आंदोलन को ऊर्जा दी थी, प्रेरणा दी थी, त्याग और तपस्या का मार्ग दिखाया था, उस वंदे मातरम का पुण्य स्मरण करना, इस सदन में हम सब का यह बहुत बड़ा सौभाग्य है। और हमारे लिए गर्व की बात है कि वंदे मातरम के 150 वर्ष निमित्त, इस ऐतिहासिक अवसर के हम साक्षी बना रहे हैं। एक ऐसा कालखंड, जो हमारे सामने इतिहास के अनगिनत घटनाओं को अपने सामने लेकर के आता है। यह चर्चा सदन की प्रतिबद्धता को तो प्रकट करेगी ही, लेकिन आने वाली पीढियां के लिए भी, दर पीढ़ी के लिए भी यह शिक्षा का कारण बन सकती है, अगर हम सब मिलकर के इसका सदुपयोग करें तो।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

यह एक ऐसा कालखंड है, जब इतिहास के कई प्रेरक अध्याय फिर से हमारे सामने उजागर हुए हैं। अभी-अभी हमने हमारे संविधान के 75 वर्ष गौरवपूर्व मनाए हैं। आज देश सरदार वल्लभ भाई पटेल की और भगवान बिरसा मुंडा की 150वीं जयंती भी मना रहा है और अभी-अभी हमने गुरु तेग बहादुर जी का 350वां बलिदान दिवस भी बनाया है और आज हम वंदे मातरम की 150 वर्ष निमित्त सदन की एक सामूहिक ऊर्जा को, उसकी अनुभूति करने का प्रयास कर रहे हैं। वंदे मातरम 150 वर्ष की यह यात्रा अनेक पड़ावों से गुजरी है।

लेकिन आदरणीय अध्यक्ष जी,

वंदे मातरम को जब 50 वर्ष हुए, तब देश गुलामी में जीने के लिए मजबूर था और वंदे मातरम के 100 साल हुए, तब देश आपातकाल की जंजीरों में जकड़ा हुआ था। जब वंदे मातरम 100 साल के अत्यंत उत्तम पर्व था, तब भारत के संविधान का गला घोट दिया गया था। जब वंदे मातरम 100 साल का हुआ, तब देशभक्ति के लिए जीने-मरने वाले लोगों को जेल के सलाखों के पीछे बंद कर दिया गया था। जिस वंदे मातरम के गीत ने देश को आजादी की ऊर्जा दी थी, उसके जब 100 साल हुए, तो दुर्भाग्य से एक काला कालखंड हमारे इतिहास में उजागर हो गया। हम लोकतंत्र के (अस्पष्ट) गिरोह में थे।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

150 वर्ष उस महान अध्याय को, उस गौरव को पुनः स्थापित करने का अवसर है और मैं मानता हूं, सदन ने भी और देश ने भी इस अवसर को जाने नहीं देना चाहिए। यही वंदे मातरम है, जिसने 1947 में देश को आजादी दिलाई। स्वतंत्रता संग्राम का भावनात्मक नेतृत्व इस वंदे मातरम के जयघोष में था।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

आपके समक्ष आज जब मैं वंदे मातरम 150 निमित्त चर्चा के लिए आरंभ करने खड़ा हुआ हूं। यहां कोई पक्ष प्रतिपक्ष नहीं है, क्योंकि हम सब यहां जो बैठे हैं, एक्चुअली हमारे लिए ऋण स्वीकार करने का अवसर है कि जिस वंदे मातरम के कारण लक्ष्यावादी लोग आजादी का आंदोलन चला रहे थे और उसी का परिणाम है कि आज हम सब यहां बैठे हैं और इसलिए हम सभी सांसदों के लिए, हम सभी जनप्रतिनिधियों के लिए वंदे मातरम के ऋण स्वीकार करने का यह पावन पर्व है। और इससे हम प्रेरणा लेकर के वंदे मातरम की जिस भावना ने देश की आजादी का जंग लड़ा, उत्तर, दक्षिण, पूर्व, पश्चिम पूरा देश एक स्वर से वंदे मातरम बोलकर आगे बढ़ा, फिर से एक बार अवसर है कि आओ, हम सब मिलकर चलें, देश को साथ लेकर चलें, आजादी का दीवानों ने जो सपने देखे थे, उन सपनों को पूरा करने के लिए वंदे मातरम 150 हम सब की प्रेरणा बने, हम सब की ऊर्जा बने और देश आत्मनिर्भर बने, 2047 में विकसित भारत बनाकर के हम रहें, इस संकल्प को दोहराने के लिए यह वंदे मातरम हमारे लिए एक बहुत बड़ा अवसर है।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

दादा तबीयत तो ठीक है ना! नहीं कभी-कभी इस उम्र में हो जाता है।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

वंदे मातरम की इस यात्रा की शुरुआत बंकिम चंद्र जी ने 1875 में की थी और गीत ऐसे समय लिखा गया था, जब 1857 के स्वतंत्रता संग्राम के बाद अंग्रेज सल्तनत बौखलाई हुई थी। भारत पर भांति-भांति के दबाव डाल रहे थी, भांति-भांति के ज़ुल्म कर रही थी और भारत के लोगों को मजबूर किया जा रहा था अंग्रेजों के द्वारा और उस समय उनका जो राष्ट्रीय गीत था, God Save The Queen, इसको भारत में घर-घर पहुंचाने का एक षड्यंत्र चल रहा था। ऐसे समय बंकिम दा ने चुनौती दी और ईट का जवाब पत्थर से दिया और उसमें से वंदे मातरम का जन्म हुआ। इसके कुछ वर्ष बाद, 1882 में जब उन्होंने आनंद मठ लिखा, तो उस गीत का उसमें समावेश किया गया।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

वंदे मातरम ने उस विचार को पुनर्जीवित किया था, जो हजारों वर्ष से भारत की रग-रग में रचा-बसा था। उसी भाव को, उसी संस्कारों को, उसी संस्कृति को, उसी परंपरा को उन्होंने बहुत ही उत्तम शब्दों में, उत्तम भाव के साथ, वंदे मातरम के रूप में हम सबको बहुत बड़ी सौगात दी थी। वंदे मातरम, यह सिर्फ केवल राजनीतिक आजादी की लड़ाई का मंत्र नहीं था, सिर्फ हम अंग्रेज जाएं और हम खड़े हो जाएं, अपनी राह पर चलें, इतनी मात्र तक वंदे मातरम प्रेरित नहीं करता था, वो उससे कहीं आगे था। आजादी की लड़ाई इस मातृभूमि को मुक्त कराने का भी जंग था। अपनी मां भारती को उन बेड़ियों से मुक्ति दिलाने का एक पवित्र जंग था और वंदे मातरम की पृष्ठभूमि हम देखें, उसके संस्कार सरिता देखें, तो हमारे यहां वेद काल से एक बात बार-बार हमारे सामने आई है। जब वंदे मातरम कहते हैं, तो वही वेद काल की बात हमें याद आती है। वेद काल से कहा गया है "माता भूमिः पुत्रोऽहं पृथिव्याः" अर्थात यह भूमि मेरी माता है और मैं पृथ्वी का पुत्र हूं।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

यही वह विचार है, जिसको प्रभु श्री राम ने भी लंका के वैभव को छोड़ते हुए कहा था "जननी जन्मभूमिश्च स्वर्गादपि गरीयसी"। वंदे मातरम, यही महान सांस्कृतिक परंपरा का एक आधुनिक अवतार है।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

बंकिम दा ने जब वंदे मातरम की रचना की, तो स्वाभाविक ही वह स्वतंत्रता आंदोलन का स्वर बन गया। पूर्व से पश्चिम, उत्तर से दक्षिण वंदे, मातरम हर भारतीय का संकल्प बन गया। इसलिए वंदे मातरम की स्‍तुति में लिखा गया था, “मातृभूमि स्वतंत्रता की वेदिका पर मोदमय, मातृभूमि स्वतंत्रता की वेदिका पर मोदमय, स्वार्थ का बलिदान है, ये शब्द हैं वंदे मातरम, है सजीवन मंत्र भी, यह विश्व विजयी मंत्र भी, शक्ति का आह्वान है, यह शब्द वंदे मातरम। उष्ण शोणित से लिखो, वक्‍तस्‍थलि को चीरकर वीर का अभिमान है, यह शब्द वंदे मातरम।”

आदरणीय अध्यक्ष जी,

कुछ दिन पूर्व, जब वंदे मातरम 150 का आरंभ हो रहा था, तो मैंने उस आयोजन में कहा था, वंदे मातरम हजारों वर्ष की सांस्‍कृतिक ऊर्जा भी थी। उसमें आजादी का जज्बा भी था और आजाद भारत का विजन भी था। अंग्रेजों के उस दौर में एक फैशन हो गई थी, भारत को कमजोर, निकम्मा, आलसी, कर्महीन इस प्रकार भारत को जितना नीचा दिखा सकें, ऐसी एक फैशन बन गई थी और उसमें हमारे यहां भी जिन्होंने तैयार किए थे, वह लोग भी वही भाषा बोलते थे। तब बंकिम दा ने उस हीन भावना को भी झंकझोरने के लिए और सामर्थ्य का परिचय कराने के लिए, वंदे मातरम के भारत के सामर्थ्यशाली रूप को प्रकट करते हुए, आपने लिखा था, त्वं हि दुर्गा दशप्रहरणधारिणी,कमला कमलदलविहारिणी, वाणी विद्यादायिनी। नमामि त्वां नमामि कमलाम्, अमलाम् अतुलां सुजलां सुफलां मातरम्॥ वन्दे मातरम्॥ अर्थात भारत माता ज्ञान और समृद्धि की देवी भी हैं और दुश्मनों के सामने अस्त्र-शस्त्र धारण करने वाली चंडी भी हैं।

अध्यक्ष जी,

यह शब्द, यह भाव, यह प्रेरणा, गुलामी की हताशा में हम भारतीयों को हौसला देने वाले थे। इन वाक्यों ने तब करोड़ों देशवासियों को यह एहसास कराया की लड़ाई किसी जमीन के टुकड़े के लिए नहीं है, यह लड़ाई सिर्फ सत्ता के सिंहासन को कब्जा करने के लिए नहीं है, यह गुलामी की बेड़ियों को मुक्त कर हजारों साल की महान जो परंपराएं थी, महान संस्कृति, जो गौरवपूर्ण इतिहास था, उसको फिर से पुनर्जन्म कराने का संकल्प इसमें है।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

वंदे मातरम, इसका जो जन-जन से जुड़ाव था, यह हमारे स्वतंत्रता संग्राम के एक लंबी गाथा अभिव्यक्त होती है।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

जब भी जैसे किसी नदी की चर्चा होती है, चाहे सिंधु हो, सरस्वती हो, कावेरी हो, गोदावरी हो, गंगा हो, यमुना हो, उस नदी के साथ एक सांस्कृतिक धारा प्रवाह, एक विकास यात्रा का धारा प्रवाह, एक जन-जीवन की यात्रा का प्रवाह, उसके साथ जुड़ जाता है। लेकिन क्या कभी किसी ने सोचा है कि आजादी जंग के हर पड़ाव, वो पूरी यात्रा वंदे मातरम की भावनाओं से गुजरता था। उसके तट पर पल्लवित होता था, ऐसा भाव काव्य शायद दुनिया में कभी उपलब्ध नहीं होगा।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

अंग्रेज समझ चुके थे कि 1857 के बाद लंबे समय तक भारत में टिकना उनके लिए मुश्किल लग रहा था और जिस प्रकार से वह अपने सपने लेकर के आए थे, तब उनको लगा कि जब तक, जब तक भारत को बाटेंगे नहीं, जब तक भारत को टुकडों में नहीं बाटेंगे, भारत में ही लोगों को एक-दूसरे से लड़ाएंगे नहीं, तब तक यहां राज करना मुश्किल है और अंग्रेजों ने बाटों और राज करो, इस रास्ते को चुना और उन्होंने बंगाल को इसकी प्रयोगशाला बनाया क्यूंकि अंग्रेज़ भी जानते थे, वह एक वक्त था जब बंगाल का बौद्धिक सामर्थ्‍य देश को दिशा देता था, देश को ताकत देता था, देश को प्रेरणा देता था और इसलिए अंग्रेज भी चाहते थे कि बंगाल का यह जो सामर्थ्‍य है, वह पूरे देश की शक्ति का एक प्रकार से केंद्र बिंदु है। और इसलिए अंग्रेजों ने सबसे पहले बंगाल के टुकड़े करने की दिशा में काम किया। और अंग्रेजों का मानना था कि एक बार बंगाल टूट गया, तो यह देश भी टूट जाएगा और वो यावच चन्द्र-दिवाकरौ राज करते रहेंगे, यह उनकी सोच थी। 1905 में अंग्रेजों ने बंगाल का विभाजन किया, लेकिन जब अंग्रेजों ने 1905 में यह पाप किया, तो वंदे मातरम चट्टान की तरह खड़ा रहा। बंगाल की एकता के लिए वंदे मातरम गली-गली का नाद बन गया था और वही नारा प्रेरणा देता था। अंग्रेजों ने बंगाल विभाजन के साथ ही भारत को कमजोर करने के बीज और अधिक बोने की दिशा पकड़ ली थी, लेकिन वंदे मातरम एक स्वर, एक सूत्र के रूप में अंग्रेजों के लिए चुनौती बनता गया और देश के लिए चट्टान बनता गया।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

बंगाल का विभाजन तो हुआ, लेकिन एक बहुत बड़ा स्वदेशी आंदोलन खड़ा हुआ और तब वंदे मातरम हर तरफ गूंज रहा था। अंग्रेज समझ गए थे कि बंगाल की धरती से निकला, बंकिम दा का यह भाव सूत्र, बंकित बाबू बोलें अच्छा थैंक यू थैंक यू थैंक यू आपकी भावनाओं का मैं आदर करता हूं। बंकिम बाबू ने, बंकिम बाबू ने थैंक यू दादा थैंक यू, आपको तो दादा कह सकता हूं ना, वरना उसमें भी आपको ऐतराज हो जाएगा। बंकिम बाबू ने यह जो भाव विश्व तैयार किया था, उनके भाव गीत के द्वारा, उन्होंने अंग्रेजों को हिला दिया और अंग्रेजों ने देखिए कितनी कमजोरी होगी और इस गीत की ताकत कितनी होगी, अंग्रेजों ने उसको कानूनी रूप से प्रतिबंध लगाने के लिए मजबूर होना पड़ा था। गाने पर सजा, छापने पर सजा, इतना ही नहीं, वंदे मातरम शब्द बोलने पर भी सजा, इतने कठोर कानून लागू कर दिए गए थे। हमारे देश की आजादी के आंदोलन में सैकड़ों महिलाओं ने नेतृत्व किया, लक्ष्यावधि महिलाओं ने योगदान दिया। एक घटना का मैं जिक्र करना चाहता हूं, बारीसाल, बारीसाल में वंदे मातरम गाने पर सर्वाधिक जुल्म हुए थे। वो बारीसाल आज भारत का हिस्सा नहीं रहा है और उस समय बारीसाल के हमारे माताएं, बहने, बच्चे मैदान उतरे थे, वंदे मातरम के स्वाभिमान के लिए, इस प्रतिबंध के विरोध में लड़ाई के मैदान में उतरी थी और तब बारीसाल कि यह वीरांगना श्रीमती सरोजिनी घोष, जिन्होंने उस जमाने में वहां की भावनाओं को देखिए और उन्होंने कहा था की वंदे मातरम यह जो प्रतिबंध लगा है, जब तक यह प्रतिबंध नहीं हटता है, मैं अपनी चूड़ियां जो पहनती हूं, वो निकाल दूंगी। भारत में वह एक जमाना था, चूड़ी निकालना यानी महिला के जीवन की एक बहुत बड़ी घटना हुआ करती थी, लेकिन उनके लिए वंदे मातरम वह भावना थी, उन्होंने अपनी सोने की चूड़ियां, जब तक वंदे मातरम प्रतिबंध नहीं हटेगा, मैं दोबारा नहीं धारण करूंगी, ऐसा बड़ा व्रत ले लिया था। हमारे देश के बालक भी पीछे नहीं रहे थे, उनको कोड़े की सजा होती थी, छोटी-छोटी उम्र में उनको जेल में बंद कर दिया जाता था और उन दिनों खास करके बंगाल की गलियों में लगातार वंदे मातरम के लिए प्रभात फेरियां निकलती थी। अंग्रेजों की नाक में दम कर दिया था और उस समय एक गीत गूंजता था बंगाल में जाए जाबे जीवोनो चोले, जाए जाबे जीवोनो चोले, जोगोतो माझे तोमार काँधे वन्दे मातरम बोले (In Bengali) अर्थात हे मां संसार में तुम्हारा काम करते और वंदे मातरम कहते जीवन भी चला जाए, तो वह जीवन भी धन्य है, यह बंगाल की गलियों में बच्चे कह रहे थे। यह गीत उन बच्चों की हिम्मत का स्वर था और उन बच्चों की हिम्मत ने देश को हिम्मत दी थी। बंगाल की गलियों से निकली आवाज देश की आवाज बन गई थी। 1905 में हरितपुर के एक गांव में बहुत छोटी-छोटी उम्र के बच्चे, जब वंदे मातरम के नारे लगा रहे थे, अंग्रेजों ने बेरहमी से उन पर कोड़े मारे थे। हर एक प्रकार से जीवन और मृत्यु के बीच लड़ाई लड़ने के लिए मजबूर कर दिया था। इतना अत्याचार हुआ था। 1906 में नागपुर में नील सिटी हाई स्कूल के उन बच्चों पर भी अंग्रेजों ने ऐसे ही जुल्म किए थे। गुनाह यही था कि वह एक स्वर से वंदे मातरम बोल करके खड़े हो गए थे। उन्होंने वंदे मातरम के लिए, मंत्र का महात्म्य अपनी ताकत से सिद्ध करने का प्रयास किया था। हमारे जांबाज सपूत बिना किसी डर के फांसी के तख्त पर चढ़ते थे और आखिरी सांस तक वंदे मातरम वंदे मातरम वंदे मातरम, यही उनका भाव घोष रहता था। खुदीराम बोस, मदनलाल ढींगरा, राम प्रसाद बिस्मिल, अशफाकउल्ला खान, रोशन सिंह, राजेन्द्रनाथ लाहिड़ी, रामकृष्ण विश्वास अनगिनत जिन्होंने वंदे मातरम कहते-कहते फांसी के फंदे को अपने गले पर लगाया था। लेकिन देखिए यह अलग-अलग जेलों में होता था, अलग-अलग इलाकों में होता था। प्रक्रिया करने वाले चेहरे अलग थे, लोग अलग थे। जिन पर जुल्म हो रहा था, उनकी भाषा भी अलग थी, लेकिन एक भारत, श्रेष्ठ भारत, इन सबका मंत्र एक ही था, वंदे मातरम। चटगांव की स्वराज क्रांति जिन युवाओं ने अंग्रेजों को चुनौती दी, वह भी इतिहास के चमकते हुए नाम हैं। हरगोपाल कौल, पुलिन विकाश घोष, त्रिपुर सेन इन सबने देश के लिए अपना बलिदान दिया। मास्टर सूर्य सेन को 1934 में जब फांसी दी गई, तब उन्होंने अपने साथियों को एक पत्र लिखा और पत्र में एक ही शब्द की गूंज थी और वह शब्द था वंदे मातरम।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

हम देशवासियों को गर्व होना चाहिए, दुनिया के इतिहास में कहीं पर भी ऐसा कोई काव्य नहीं हो सकता, ऐसा कोई भाव गीत नहीं हो सकता, जो सदियों तक एक लक्ष्य के लिए कोटि-कोटि जनों को प्रेरित करता हो और जीवन आहूत करने के लिए निकल पड़ते हों, दुनिया में ऐसा कोई भाव गीत नहीं हो सकता, जो वंदे मातरम है। पूरे विश्व को पता होना चाहिए कि गुलामी के कालखंड में भी ऐसे लोग हमारे यहां पैदा होते थे, जो इस प्रकार के भाव गीत की रचना कर सकते थे। यह विश्व के लिए अजूबा है, हमें गर्व से कहना चाहिए, तो दुनिया भी मनाना शुरू करेगी। यह हमारी स्वतंत्रता का मंत्र था, यह बलिदान का मंत्र था, यह ऊर्जा का मंत्र था, यह सात्विकता का मंत्र था, यह समर्पण का मंत्र था, यह त्याग और तपस्या का मंत्र था, संकटों को सहने का सामर्थ्य देने का यह मंत्र था और वह मंत्र वंदे मातरम था। और इसलिए गुरुदेव रविंद्रनाथ टैगोर ने लिखा था, उन्होंने लिखा था, एक कार्ये सोंपियाछि सहस्र जीवन—वन्दे मातरम् (In Bengali) अर्थात एक सूत्र में बंधे हुए सहस्त्र मन, एक ही कार्य में अर्पित सहस्त्र जीवन, वंदे मातरम। यह रविंद्रनाथ टैगोर जी ने लिखा था।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

उसी कालखंड में वंदे मातरम की रिकॉर्डिंग दुनिया के अलग-अलग भागों में पहुंची और लंदन में जो क्रांतिकारियों की एक प्रकार से तीर्थ भूमि बन गया था, वह लंदन का इंडिया हाउस वीर सावरकर जी ने वहां वंदे मातरम गीत गाया और वहां यह गीत बार-बार गूंजता था। देश के लिए जीने-मरने वालों के लिए वह एक बहुत बड़ा प्रेरणा का अवसर रहता था। उसी समय विपिन चंद्र पाल और महर्षि अरविंद घोष, उन्होंने अखबार निकालें, उस अखबार का नाम भी उन्होंने वंदे मातरम रखा। यानी डगर-डगर पर अंग्रेजों के नींद हराम करने के लिए वंदे मातरम काफी हो जाता था और इसलिए उन्होंने इस नाम को रखा। अंग्रेजों ने अखबारों पर रोक लगा दी, तो मैडम भीकाजी कामा ने पेरिस में एक अखबार निकाला और उसका नाम उन्होंने वंदे मातरम रखा!

आदरणीय अध्यक्ष जी,

वंदे मातरम ने भारत को स्वावलंबन का रास्ता भी दिखाया। उस समय माचिस के डिबिया, मैच बॉक्स, वहां से लेकर के बड़े-बड़े शिप उस पर भी वंदे मातरम लिखने की परंपरा बन गई और बाहरी कंपनियों को चुनौती देने का एक माध्यम बन गया, स्वदेशी का एक मंत्र बन गया। आजादी का मंत्र स्वदेशी के मंत्र की तरह विस्तार होता गया।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

मैं एक और घटना का जिक्र भी करना चाहता हूं। 1907 में जब वी ओ चिदंबरम पिल्लई, उन्होंने स्वदेशी कंपनी का जहाज बनाया, तो उस पर भी लिखा था वंदेमातरम। राष्ट्रकवि सुब्रमण्यम भारती ने वंदे मातरम को तमिल में अनुवाद किया, स्तुति गीत लिखे। उनके कई तमिल देशभक्ति गीतों में वंदे मातरम की श्रद्धा साफ-साफ नजर आती है। शायद सभी लोगों को लगता है, तमिलनाडु के लोगों को पता हो, लेकिन सभी लोगों को यह बात का पता ना हो कि भारत का ध्वज गीत वी सुब्रमण्यम भारती ने ही लिखा था। उस ध्वज गीत का वर्णन जिस पर वंदे मातरम लिखा हुआ था, तमिल में इस ध्वज गीत का शीर्षक था। Thayin manikodi pareer, thazhndu panintu Pukazhnthida Vareer! (In Tamil) अर्थात देश प्रेमियों दर्शन कर लो, सविनय अभिनंदन कर लो, मेरी मां की दिव्य ध्वजा का वंदन कर लो।

आदरणीय अध्यक्ष महोदय,

मैं आज इस सदन में वंदे मातरम पर महात्मा गांधी की भावनाएं क्या थी, वह भी रखना चाहता हूं। दक्षिण अफ्रीका से प्रकाशित एक साप्ताहिक पत्रिका निकलती थी, इंडियन ओपिनियन और और इस इंडियन ओपिनियन में महात्मा गांधी ने 2 दिसंबर 1905 जो लिखा था, उसको मैं कोट कर रहा हूं। उन्होंने लिखा था, महात्मा गांधी ने लिखा था, “गीत वंदे मातरम जिसे बंकिम चंद्र ने रचा है, पूरे बंगाल में अत्यंत लोकप्रिय हो गया है, स्वदेशी आंदोलन के दौरान बंगाल में विशाल सभाएं हुईं, जहां लाखों लोग इकट्ठा हुए और बंकिम का यह गीत गाया।” गांधी जी आगे लिखते हैंं, यह बहुत महत्वपूर्ण है, वह लिखते हैं यह 1905 की बात है। उन्होंने लिखा, “यह गीत इतना लोकप्रिय हो गया है, जैसे यह हमारा नेशनल एंथम बन गया है। इसकी भावनाएं महान हैं और यह अन्य राष्ट्रों के गीतों से अधिक मधुर है। इसका एकमात्र उद्देश्य हम में देशभक्ति की भावना जगाना है। यह भारत को मां के रूप में देखता है और उसकी स्तुति करता है।”

अध्यक्ष जी,

जो वंदे मातरम 1905 में महात्मा गांधी को नेशनल एंथम के रूप में दिखता था, देश के हर कोने में, हर व्यक्ति के जीवन में, जो भी देश के लिए जीता-जागता, जिस देश के लिए जागता था, उन सबके लिए वंदे मातरम की ताकत बहुत बड़ी थी। वंदे मातरम इतना महान था, जिसकी भावना इतनी महान थी, तो फिर पिछली सदी में इसके साथ इतना बड़ा अन्याय क्यों हुआ? वंदे मातरम के साथ विश्वासघात क्यों हुआ? यह अन्याय क्यों हुआ? वह कौन सी ताकत थी, जिसकी इच्छा खुद पूज्‍य बापू की भावनाओं पर भी भारी पड़ गई? जिसने वंदे मातरम जैसी पवित्र भावना को भी विवादों में घसीट दिया। मैं समझता हूं कि आज जब हम वंदे मातरम के 150 वर्ष का पर्व बना रहे हैं, यह चर्चा कर रहे हैं, तो हमें उन परिस्थितियों को भी हमारी नई पीडिया को जरूर बताना हमारा दायित्व है। जिसकी वजह से वंदे मातरम के साथ विश्वासघात किया गया। वंदे मातरम के प्रति मुस्लिम लीग की विरोध की राजनीति तेज होती जा रही थी। मोहम्मद अली जिन्ना ने लखनऊ से 15 अक्टूबर 1937 को वंदे मातरम के विरुद्ध का नारा बुलंद किया। फिर कांग्रेस के तत्कालीन अध्यक्ष जवाहरलाल नेहरू को अपना सिंहासन डोलता दिखा। बजाय कि नेहरू जी मुस्लिम लीग के आधारहीन बयानों को तगड़ा जवाब देते, करारा जवाब देते, मुस्लिम लीग के बयानों की निंदा करते और वंदे मातरम के प्रति खुद की भी और कांग्रेस पार्टी की भी निष्ठा को प्रकट करते, लेकिन उल्टा हुआ। वो ऐसा क्यों कर रहे हैं, वह तो पूछा ही नहीं, न जाना, लेकिन उन्होंने वंदे मातरम की ही पड़ताल शुरू कर दी। जिन्ना के विरोध के 5 दिन बाद ही 20 अक्टूबर को नेहरू जी ने नेताजी सुभाष बाबू को चिट्ठी लिखी। उस चिट्ठी में जिन्ना की भावना से नेहरू जी अपनी सहमति जताते हुए कि वंदे मातरम भी यह जो उन्होंने सुभाष बाबू को लिखा है, वंदे मातरम की आनंद मठ वाली पृष्ठभूमि मुसलमानों को इरिटेट कर सकती है। मैं नेहरू जी का क्वोट पढ़ता हूं, नेहरू जी कहते हैं “मैंने वंदे मातरम गीत का बैकग्राउंड पड़ा है।” नेहरू जी फिर लिखते हैं, “मुझे लगता है कि यह जो बैकग्राउंड है, इससे मुस्लिम भड़केंगे।”

साथियों,

इसके बाद कांग्रेस की तरफ से बयान आया कि 26 अक्टूबर से कांग्रेस कार्यसमिति की एक बैठक कोलकाता में होगी, जिसमें वंदे मातरम के उपयोग की समीक्षा की जाएगी। बंकिम बाबू का बंगाल, बंकिम बाबू का कोलकाता और उसको चुना गया और वहां पर समीक्षा करना तय किया। पूरा देश हतप्रभ था, पूरा देश हैरान था, पूरे देश में देशभक्तों ने इस प्रस्ताव के विरोध में देश के कोने-कोने में प्रभात फेरियां निकालीं, वंदे मातरम गीत गाया लेकिन देश का दुर्भाग्य कि 26 अक्टूबर को कांग्रेस ने वंदे मातरम पर समझौता कर लिया। वंदे मातरम के टुकड़े करने के फैसले में वंदे मातरम के टुकड़े कर दिए। उस फैसले के पीछे नकाब ये पहना गया, चोला ये पहना गया, यह तो सामाजिक सद्भाव का काम है। लेकिन इतिहास इस बात का गवाह है कि कांग्रेस ने मुस्लिम लीग के सामने घुटने टेक दिए और मुस्लिम लीग के दबाव में किया और कांग्रेस का यह तुष्टीकरण की राजनीति को साधने का एक तरीका था।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

तुष्टीकरण की राजनीति के दबाव में कांग्रेस वंदे मातरम के बंटवारे के लिए झुकी, इसलिए कांग्रेस को एक दिन भारत के बंटवारे के लिए झुकना पड़ा। मुझे लगता है, कांग्रेस ने आउटसोर्स कर दिया है। दुर्भाग्य से कांग्रेस के नीतियां वैसी की वैसी ही हैं और इतना ही नहीं INC चलते-चलते MMC हो गया है। आज भी कांग्रेस और उसके साथी और जिन-जिन के नाम के साथ कांग्रेस जुड़ा हुआ है सब, वंदे मातरम पर विवाद खड़ा करने की कोशिश करते हैं।

आदरणीय अध्यक्ष महोदय,

किसी भी राष्ट्र का चरित्र उसके जीवटता उसके अच्छे कालखंड से ज्यादा, जब चुनौतियों का कालखंड होता है, जब संकटों का कालखंड होता है, तब प्रकट होती हैं, उजागर होती हैं और सच्‍चे अर्थ में कसौटी से कसी जाती हैं। जब कसौटी का काल आता है, तब ही यह सिद्ध होता है कि हम कितने दृढ़ हैं, कितने सशक्त हैं, कितने सामर्थ्यवान हैं। 1947 में देश आजाद होने के बाद देश की चुनौतियां बदली, देश के प्राथमिकताएं बदली, लेकिन देश का चरित्र, देश की जीवटता, वही रही, वही प्रेरणा मिलती रही। भारत पर जब-जब संकट आए, देश हर बार वंदे मातरम की भावना के साथ आगे बढ़ा। बीच का कालखंड कैसा गया, जाने दो। लेकिन आज भी 15 अगस्त, 26 जनवरी की जब बात आती है, हर घर तिरंगा की बात आती है, चारों तरफ वो भाव दिखता है। तिरंगे झंडे फहरते हैं। एक जमाना था, जब देश में खाद्य का संकट आया, वही वंदे मातरम का भाव था, मेरे देश के किसानों के अन्‍न के भंडार भर दिए और उसके पीछे भाव वही है वंदे मातरम। जब देश की आजादी को कुचलना की कोशिश हुए, संविधान की पीठ पर छुरा घोप दिया गया, आपातकाल थोप दिया गया, यही वंदे मातरम की ताकत थी कि देश खड़ा हुआ और परास्त करके रहा। देश पर जब भी युद्ध थोपे गए, देश को जब भी संघर्ष की नौबत आई, यही वंद मातरम का भाव था, देश का जवान सीमाओं पर अड़ गया और मां भारती का झंडा लहराता रहा, विजय श्री प्राप्त करता रहा। कोरोना जैसा वैश्विक महासंकट आया, यही देश उसी भाव से खड़ा हुआ, उसको भी परास्त करके आगे बढ़ा।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

यह राष्ट्र की शक्ति है, यह राष्ट्र को भावनाओं से जोड़ने वाला सामर्थ्‍यवान एक ऊर्जा प्रवाह है। यह चेतना परवाह है, यह संस्कृति की अविरल धारा का प्रतिबिंब है, उसका प्रकटीकरण है। यह वंदे मातरम हमारे लिए सिर्फ स्मरण करने का काल नहीं, एक नई ऊर्जा, नई प्रेरणा का लेने का काल बन जाए और हम उसके प्रति समर्पित होते चलें और मैंने पहले कहा हम लोगों पर तो कर्ज है वंदे मातरम का, वही वंदे मातरम है, जिसने वह रास्ता बनाया, जिस रास्ते से हम यहां पहुंचे हैं और इसलिए हमारा कर्ज बनता है। भारत हर चुनौतियों को पार करने में सामर्थ्‍य है। वंदे मातरम के भाव की वो ताकत है। वंदे मातरम यह सिर्फ गीत या भाव गीत नहीं, यह हमारे लिए प्रेरणा है, राष्ट्र के प्रति कर्तव्यों के लिए हमें झकझोरने वाला काम है और इसलिए हमें निरंतर इसको करते रहना होगा। हम आत्मनिर्भर भारत का सपना लेकर के चल रहे हैं, उसको पूरा करना है। वंदे मातरम हमारी प्रेरणा है। हम स्वदेशी आंदोलन को ताकत देना चाहते हैं, समय बदला होगा, रूप बदले होंगे, लेकिन पूज्य गांधी ने जो भाव व्यक्त किया था, उस भाव की ताकत आज भी हमें मौजूद है और वंदे मातरम हमें जोड़ता है। देश के महापुरुषों का सपना था स्वतंत्र भारत का, देश की आज की पीढ़ी का सपना है समृद्ध भारत का, आजाद भारत के सपने को सींचा था वंदे भारत की भावना ने, वंदे भारत की भावना ने, समृद्ध भारत के सपने को सींचेगा वंदे मातरम के भवना, उसी भावनाओं को लेकर के हमें आगे चलना है। और हमें आत्मनिर्भर भारत बनाना, 2047 में देश विकसित भारत बन कर रहे। अगर आजादी के 50 साल पहले कोई आजाद भारत का सपना देख सकता था, तो 25 साल पहले हम भी तो समृद्ध भारत का सपना देख सकते हैं, विकसित भारत का सपना देख सकते हैं और इस सपने के लिए अपने आप को खपा भी सकते हैं। इसी मंत्र और इसी संकल्प के साथ वंदे मातरम हमें प्रेरणा देता रहे, वंदे मातरम का हम ऋण स्वीकार करें, वंदे मातरम की भावनाओं को लेकर के चलें, देशवासियों को साथ लेकर के चलें, हम सब मिलकर के चलें, इस सपने को पूरा करें, इस एक भाव के साथ यह चर्चा का आज आरंभ हो रहा है। मुझे पूरा विश्वास है कि दोनों सदनों में देश के अंदर वह भाव भरने वाला कारण बनेगा, देश को प्रेरित करने वाला कारण बनेगा, देश की नई पीढ़ी को ऊर्जा देने का कारण बनेगा, इन्हीं शब्दों के साथ आपने मुझे अवसर दिया, मैं आपका बहुत-बहुत आभार व्यक्त करता हूं। बहुत-बहुत धन्यवाद!

वंदे मातरम!

वंदे मातरम!

वंदे मातरम!