- 1. ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষেইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মিঃ বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আমন্ত্রণে ভারতেরপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ইজরায়েল সফর করেন এ বছর ৪ থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত।শ্রী মোদীই হলেন প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি সফর করেন ঐ দেশটিতে। তাঁর এইঐতিহাসিক সফর দু’দেশের জনসাধারণের মৈত্রী সম্পর্ককে আরও নিবিড় করে তোলার লক্ষ্যে একবিশেষ পদক্ষেপ বলে স্বীকৃতি লাভ করেছে।শুধু তাই নয়, তাঁর এই সফরের মাধ্যমেদ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ক এক নিবিড় অংশীদারিত্বের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।
2. ভারত ও ইজরায়েল দুটি দেশই এক সুপ্রাচীন ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের অংশীদার।বহু শতাব্দী ধরেই সভ্যতার এই ঐতিহ্যকে লালন করে এসেছে এই দুটি দেশ। পারস্পরিকসম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করে তোলার লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেরপ্রসারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন ভারত ও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীদ্বয়। তাঁরা উভয়েইস্বীকার করেন যে সুদূর ঐতিহাসিক সময়কাল থেকেই ইহুদি সম্প্রদায়ভুক্ত জনসাধারণভারতকে তাঁদের নিজ ভূমি বলেই মনে করে এসেছে। ভারতে শ্রদ্ধা, সম্ভ্রম এবংআন্তরিকতায় বিশেষভাবে অভিভূত ইহুদি সম্প্রদায়।
3. দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে গত ২৫ বছরে এইসম্পর্কের প্রসার ও উন্নয়নের বিষয়টি পর্যালোচনাকালে দুই নেতাই এমন কিছু নীতি ও পদক্ষেপগ্রহণে আগ্রহ ও সম্মতি প্রকাশ করেন যার মধ্যে প্রতিফলিত হবে দু’দেশের জনসাধারণেরলক্ষ্য ও আশা-আকাঙ্ক্ষা। তাঁরা উভয়েই মনে করেন যে উন্নয়ন, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন,শিল্পোদ্যোগ, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ভারত ও ইজরায়েল পরস্পরের ঘনিষ্ঠসহযোগী হয়ে উঠতে পারে।
4. দু’দেশের উন্নয়নের এক বিশেষ কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে জল ও কৃষি ব্যবস্থাপনাক্ষেত্রে কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক স্থাপনে সহমত হন ভারত ও ইজরায়েলের দুইপ্রধানমন্ত্রীই। এজন্য জল সংরক্ষণ, বর্জ্য জলের ব্যবস্থাপনা ও কৃষিকাজে তারপুনর্ব্যবহার,জলকে লবণমুক্ত করা, জলের উপযোগিতার প্রসারে প্রয়োজনীয় সংস্কারমূলক কাজকর্ম এবংউন্নত জলপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গঙ্গা এবং অন্যান্য নদ-নদীর দূষণ মুক্তির ওপরবিশেষভাবে জোর দেওয়ার কথা বলেন তাঁরা।ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে যথেষ্ট সম্ভাবনাময়এই ধরনের বাণিজ্যিক মডেল বা আদর্শ তুলে ধরার লক্ষ্যে ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক এবংভারতের কৃষি মন্ত্রকের উদ্যোগে যে সমস্ত উৎকর্ষ কেন্দ্র বর্তমানে কাজ করে চলেছে,সেগুলির প্রসার ও বিকাশের ওপর জোর দেওয়া হবে বলে সহমত হন দুই প্রধানমন্ত্রী। এইবিষয়গুলিতে অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে একটি যৌথকর্মীগোষ্ঠী গড়ে তোলার প্রস্তাবেও সম্মত হন তাঁরা।
5. দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পূর্ণ সম্ভাবনার সদ্ব্যবহারের ওপরগুরুত্ব দেন দুই প্রধানমন্ত্রী। এ সম্পর্কে দ্রুত সুপারিশ পেশ করার জন্য তাঁরাদায়িত্ব অর্পণ করেন ভারত-ইজরায়েল সিইও ফোরামকে। উদ্ভাবন ও শিল্পোদ্যোগ ক্ষেত্রেদ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও উৎসাহিত করার কথাও বলেন দুই বিশ্ব নেতা। এজন্য স্টার্টআপ-এর ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও নিবিড় করে তোলার প্রশ্নে সহমত হন তাঁরা।
6. দুটি দেশের মধ্যে নারী প্রতিনিধি এবং বাণিজ্যিক প্রতিনিধিরা যাতে সহজেইযাতায়াত করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে ভারত ও ইজরায়েল দুটি দেশই আশা করে যে পাঁচ বছরপর্যন্ত মেয়াদে এন্ট্রি ভিসা চালু হয়ে যাবে ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে। কারণ তাঁরামনে করেন যে এর ফলে অর্থনৈতিক তথা বাণিজ্যিক বিনিময় কর্মসূচি আরও বেশি করে উৎসাহিতহবে।
7. ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে বিনিয়োগেরসুরক্ষা সম্পর্কে দু’দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরপ্রসঙ্গেকথাবার্তা শুরু করারপ্রশ্নে সহমত হন দুই প্রধানমন্ত্রীই।
8. ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর এবং ইজরায়েলের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনসম্পর্কিত জাতীয় কর্তৃপক্ষ ভারত-ইজরায়েল শিল্প গবেষণা ও উন্নয়ন তথা উদ্ভাবন তহবিলগঠনের লক্ষ্যে যে মউ সম্পাদনের যে উদ্যোগ গ্রহণ করে তাকে স্বাগত জানান দুইপ্রধানমন্ত্রীই। দুটি দেশের পক্ষ থেকেই ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার করে অর্থ বিনিয়োগকরা হবে এই তহবিল গঠনের জন্য। ভারত ও ইজরায়েলের সংস্থাগুলি যাতে যৌথ উদ্যোগেগবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে উৎসাহিত হতে পারে তা সম্ভব করে তুলতেই এই মউসম্পাদনের উদ্যোগ। এর ফলে একদিকে যেমন উদ্ভাবন প্রযুক্তির বিকাশ ঘটবে, অন্যদিকেতেমনই বাণিজ্যিক ব্যবস্থার প্রসার ও প্রয়োগের ক্ষেত্রেও নতুন নতুন সম্ভাবনারসৃষ্টি হবে।
9. দু’দেশের শিল্প, গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা এবং বিভিন্ন সরকারি এজেন্সিগুলিরমধ্যে জ্ঞান-নির্ভর বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের প্রসারে আগামী ২০১৮ সালে ভারতে যেপ্রযুক্তি সম্পর্কিত বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, তাতে একটি অংশীদারদেশ হিসেবে যোগদানের জন্য ভারতের আমন্ত্রণকে বিশেষ উৎসাহের সঙ্গেই স্বাগত জানায়ইজরায়েল।
10. ইজরায়েল মহাকাশ সংস্থা (আইএসএ) এবং ভারতীয়মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (ইসরো) মধ্যে বর্তমান সহযোগিতা প্রসারের বিষয়টিকেস্বাগত জানান দুই প্রধানমন্ত্রীই। অ্যাটমিক ক্লক্স, জিইও-এলইও, অপটিক্যাল সংযোগ,ক্ষুদ্র উপগ্রহ নির্মাণ ও উৎক্ষেপণ সম্পর্কিত দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে নিবিড় করেতোলার লক্ষ্যে মউ স্বাক্ষর ও সহযোগিতার বিষয়টিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা।পারস্পরিক কল্যাণের স্বার্থে দু’দেশের মহাকাশ সংস্থা দুটিকে আরও উৎসাহিত করার কথাওবলেন দুই প্রধানমন্ত্রী। এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে ইসরোর পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটিইজরায়েলি ন্যানো উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ঘটনা যে এক বিশেষ মাইলফলক তা স্বীকার করেন দুইপ্রধানমন্ত্রীই।
11. ভারত ও ইজরায়েল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহযোগিতাকে আরও উন্নত করে তোলার লক্ষ্যে যে সহমত প্রকাশ করেছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশকরেন শ্রী মোদী এবং মিঃ নেতানিয়াহু। যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রচেষ্টার মাধ্যমেসহযোগিতার বাতাবরণকে আরও উন্নত করে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা ওপরিচর্যা ক্ষেত্রেও এই কর্মসূচির প্রসার ঘটানো হবে। বৈজ্ঞানিক সহযোগিতাকে আরওএগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে দুই প্রধানমন্ত্রীই নির্দেশ দেন বিজ্ঞান ওপ্রযুক্তি সম্পর্কিত ভারত-ইজরায়েল যৌথ কমিটিকে।
12. বহু বছর ধরেই দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষাসহযোগিতার বিষয়টিকে বিশেষ স্বীকৃতিদানের মাধ্যমে দুই প্রধানমন্ত্রীই এই প্রশ্নেসম্মত হন যে এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে ভবিষ্যতের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় জোর দেওয়া উচিৎপ্রতিরক্ষা উৎপাদন, ইজরায়েল থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কর্মসূচিতে ইজরায়েলের অংশগ্রহণের মতো বিষয়গুলিতে।
13. সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই সাইবারনিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রসারে অঙ্গীকারবদ্ধ ভারত ও ইজরায়েল। এই বিশেষক্ষেত্রটিতে সহযোগিতার মাত্রাকে আরও উন্নীত করতে দু’দেশের জাতীয় স্তরে আরও বেশিকরে আলাপ-আলোচনা শুরু করার ওপর জোর দেন দুই প্রধানমন্ত্রী। সাইবার নিরাপত্তাক্ষেত্রে এক বিশেষ সহযোগিতা কাঠামো গঠনের মধ্য দিয়ে সাইবার সহযোগিতা সম্পর্কিতবিষয়গুলির প্রসারে সহমত হন দুই নেতাই।
14. সন্ত্রাসবাদ যে বিশ্বের শান্তি ওস্থিতিশীলতার পক্ষে খুবই বিপজ্জনক একথা স্বীকার করেন ভারত ও ইজরায়েলেরপ্রধানমন্ত্রীদ্বয়। যে কোন ধরনের সন্ত্রাসবাদী প্রচেষ্টার মোকাবিলায় তাঁরা যেঅঙ্গীকারবদ্ধ সেকথাও পুনরুচ্চারণ করেন তাঁরা। দুই প্রধানমন্ত্রীই মনে করেন যেসন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে পারে না। এই কারণেইসন্ত্রাসবাদী এবং তাদের সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণের অনুকূলে মতব্যক্ত করেন তাঁরা। সেইসঙ্গে, যে কোন ধরনের সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্ককে ধ্বংস করেদেওয়ার জন্য সন্ত্রাসের মদতদাতা বিভিন্ন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপরও বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন তাঁরা। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিযাতে কোনভাবে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের আশ্রয় গ্রহণ করতে না পারে তা নিশ্চিত করারওপরও বিশেষ জোর দেন দুই নেতাই। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস সম্পর্কে সুসংবদ্ধ সম্মেলনেরপ্রস্তাব যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণ করার সপক্ষে মত দেন তাঁরা।
15. স্বদেশভূমি এবং জনজীবনে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরার লক্ষ্যে সহযোগিতা চুক্তিতে যে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে, তার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধথাকার কথাও পুনরুচ্চারণ করেন দুই প্রধানমন্ত্রীই। সংশ্লিষ্ট চুক্তিটি যাতে দক্ষতারসঙ্গে রূপায়ণ করা সম্ভব হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মীগোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহিত করার কথাওবলেন তাঁরা।
16. উচ্চতর শিক্ষা এবং গবেষণা ক্ষেত্রেপারস্পরিক সহযোগিতা প্রসারের গুরুত্বকে তুলে ধরেন দুই প্রধানমন্ত্রীই। এ সম্পর্কিতচুক্তি এবং যৌথ গবেষণা অনুদান কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষা ও গবেষণা প্রচেষ্টাকে আরওএগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তাঁরা।
17. ভারত ও ইজরায়েল – এই দুটি দেশেরজনসাধারণের মধ্যে সংযোগ ও যোগাযোগের মাত্রাকে আরও উন্নীত করে তোলার কথাও বলেন শ্রীমোদী এবং মিঃ নেতানিয়াহু। দু’দেশের মধ্যে সফর ও পর্যটনকে উৎসাহিত করার জন্যসুযোগ-সুবিধার প্রসারের অনুকূলে মত প্রকাশ করেন তাঁরা। এজন্য ভারত ও ইজরায়েলেরমধ্যে বিমান সংযোগের প্রসারে সম্মত হন দুই প্রধানমন্ত্রীই।
18. দু’দেশের সমাজ ব্যবস্থাকে পরস্পরের কাছেনিয়ে আসার কাজে ভারতের ইহুদি সম্প্রদায় এবং ইজরায়েলে বসবাসকারী ভারতীয়সম্প্রদায়ভুক্ত জনসাধারণের বিশেষ অবদানের প্রশংসা করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।দু’দেশের জনসাধারণের সম্পর্ক আরও নিবিড় করে তোলার লক্ষ্যে ইজরায়েলে একটি ভারতীয়সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।তাঁর এই ঘোষণাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ভারতীয়সংস্কৃতির প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধার কথা ব্যক্ত করেন। ২১ জুন দিনটিকে আন্তর্জাতিকযোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর উদ্যোগকে ইজরায়েল যেবলিষ্ঠভাবে সমর্থন জানিয়েছে একথাও প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন তিনি।
19. ইজরায়েলে সেবা ও সুশ্রুষার কাজে যে সমস্তভারতীয়রা কাজ করছেন, তাঁদের অবদানের কথা স্বীকার করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি অনুসরণ করে ইজরায়েলে তাঁদের আগমনকে আরও সুগম করে তুলতেদ্বিপাক্ষিক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুকূলে মত প্রকাশ করেন তাঁরা।
20. ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন শান্তি প্রক্রিয়ারঅগ্রগতির বিষয়টিও স্থান পায় দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায়। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে ন্যায়েরভিত্তিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার গুরুত্বকে স্বীকার করেন উভয়েই। পারস্পরিকস্বীকৃতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভিত্তিতে দুটি দেশের পক্ষেই গ্রহণীয় এক সমাধানসূত্র যাতে দ্রুত খুঁজে পাওয়া যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন ও সহযোগিতার প্রসারেসম্মত হন দুই নেতাই।
21. প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীরইজরায়েল সফরকালে যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তার মধ্যে রয়েছে :
ক) ভারত-ইজরায়েল গবেষণা ও উন্নয়ন তথা প্রযুক্তিগতউদ্ভাবন তহবিল গঠনের লক্ষ্যে ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর এবং ইজরায়েলেরপ্রযুক্তিগত উদ্ভাবন সম্পর্কিত জাতীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে মউ সম্পাদন;
খ) ভারতের পানীয় জল ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থামন্ত্রকের সঙ্গে ইজরায়েলের জাতীয় জ্বালানি শক্তি, পরিকাঠামো এবং জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রকের ভারতে জল সংরক্ষণ সম্পর্কিত এক জাতীয় অভিযান চালু করার লক্ষ্যে মউসম্পাদন;
গ) ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের উত্তরপ্রদেশ জলনিগম এবং ইজরায়েলের জাতীয় জ্বালানি শক্তি, পরিকাঠামো এবং জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকেরমধ্যে ভারতে জলের উপযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংস্কার কর্মসূচি সম্পর্কিত একটি মউসম্পাদন;
ঘ) ভারত-ইজরায়েল উন্নয়ন সহযোগিতা – কৃষিক্ষেত্রে২০১৮-২০ সময়কালের জন্য তিন বছর মেয়াদি এক কর্মসূচি;
ঙ) অ্যাটমিক ক্লক্স ক্ষেত্রটিতে সহযোগিতাপ্রসারের লক্ষ্যে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এবং ইজরায়েল মহাকাশ সংস্থা(আইএসএ)-র মধ্যে সহযোগিতা পরিকল্পনা;
চ) জিইও-এলইও অপটিক্যাল সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রেসহযোগিতা প্রসারের লক্ষ্যে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এবং ইজরায়েল মহাকাশসংস্থা (আইএসএ)-র মধ্যে মউ সম্পাদন;
ছ) ক্ষুদ্র উপগ্রহ সম্পর্কিত সহযোগিতা প্রসারেরলক্ষ্যে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এবং ইজরায়েল মহাকাশ সংস্থা (আইএসএ)-রমধ্যে মউ সম্পাদন।
22. প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী তাঁকেআন্তরিকভাবে সমাদর ও আতিথেয়তা জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানান ইজরায়েল সরকারকে।দু’দেশের মধ্যেই সুবিধাজনক কোন এক সময়ে ভারত সফরের জন্য তিনি আমন্ত্রণ জানানইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মিঃ নেতানিয়াহুকে। তাঁর এই আমন্ত্রণ সানন্দেই গ্রহণ করেনইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
Prime Minister Shri Narendra Modi today held a constructive meeting with Mr. Ravi Kumar S, Chief Executive Officer of Cognizant, and Mr. Rajesh Varrier, Chairman & Managing Director.
During the discussions, the Prime Minister welcomed Cognizant’s continued partnership in advancing India’s journey across futuristic sectors. He emphasized that India’s youth, with their strong focus on artificial intelligence and skilling, are setting the tone for a vibrant collaboration that will shape the nation’s technological future.
Responding to a post on X by Cognizant handle, Shri Modi wrote:
“Had a wonderful meeting with Mr. Ravi Kumar S and Mr. Rajesh Varrier. India welcomes Cognizant's continued partnership in futuristic sectors. Our youth's focus on AI and skilling sets the tone for a vibrant collaboration ahead.
@Cognizant
@imravikumars”
Had a wonderful meeting with Mr. Ravi Kumar S and Mr. Rajesh Varrier. India welcomes Cognizant's continued partnership in futuristic sectors. Our youth's focus on AI and skilling sets the tone for a vibrant collaboration ahead.@Cognizant @imravikumars https://t.co/qsq4DbakfF
— Narendra Modi (@narendramodi) December 9, 2025


