ইতিহাসের পাতায় চৌরি চৌরার শহীদদের যথোচিত মর্যাদা দেওয়া হয়নি বলে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, যেসব শহীদ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীরা কম পরিচিত তাঁদের ঘটনাবলীকে সামনে আনার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে দেশ প্রবেশ করছে। সেই সময়ে এগুলি আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। শ্রী মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের চৌরি চৌরার ঘটনার শতবার্ষিকী উদযাপনের উদ্বোধনের সময় এই বক্তব্য রেখেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চৌরি চৌরার শহীদদের সম্পর্কে যতটা আলোচনা হওয়া উচিত ছিল তা হয়নি, যা দুর্ভাগ্যজনক। ‘চৌরি চৌরা’ সাধারণ মানুষের স্বতপ্রণোদিত এক সংগ্রাম। শ্রী মোদী বলেছেন, ‘যদিও ইতিহাসের পাতায় এই সংগ্রামে যুক্ত বিপ্লবীরা যথোচিত মর্যাদা পাননি, অথচ তাঁদের রক্ত দেশের মাটিতে মিশেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে একটি ঘটনায় ১৯ জন স্বাধীনতা সংগ্রামীকে ফাঁসি দেওয়ার নজির অত্যন্ত বিরল। তিনি বাবা রাঘবদাস ও পন্ডিত মদন মোহন মালব্যের ১৫০ জনকে ফাঁসির হাত থেকে বাঁচানোর উদ্যোগের কথা স্মরণ করেছেন।
ছাত্রছাত্রী ও যুবক-যুবতীরা স্বাধীনতা সংগ্রামের কম আলোচিত দিকগুলি নিয়ে কাজ করছে౼ এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে তরুণ লেখক-লেখিকাদের বই প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রকের আমন্ত্রণের প্রসঙ্গটি তিনি উল্লেখ করেছেন। শ্রী মোদী আশা করেন চৌরি চৌরার অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামীর কথা দেশ জানতে পারবে।
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানাতে স্থানীয় শিল্প ও সংস্কৃতি ও আত্মনির্ভরতা অর্জনের মধ্য দিয়ে চৌরি চৌরা শতবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ ও রাজ্য সরকার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় তিনি তার প্রশংসা করেছেন।