PM releases the Annual Report of the Indian Judiciary 2023-24
Our constitution is not merely a Book of Law, its a continuously ever- flowing, living stream: PM
Our Constitution is the guide to our present and our future: PM
Today every citizen has only one goal ,to build a Viksit Bharat: PM
A new judicial code has been implemented to ensure speedy justice, The punishment based system has now changed into a justice based system: PM

ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাজি, বিচারপতি বি আর গাভাইজি, বিচারপতি সূর্য কান্তজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালজি, অ্যাটর্নি জেনারেল শ্রী ভেঙ্কটরমনীজি, বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনন কুমার মিশ্রজি, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শ্রী কপিল সিবালজি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিগণ, অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ!

সংবিধান দিবস উপলক্ষে আপনাদের এবং দেশের সব নাগরিককে অভিনন্দন। ভারতের সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি সারা দেশের কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আজ আমি বিনীতভাবে ভারতের সংবিধান এবং গণপরিষদের সকল সদস্যকে শ্রদ্ধা জানাই।
বন্ধুগণ,

আমরা যখন এই তাৎপর্যপূর্ণ গণতান্ত্রিক উৎসব উদযাপন করছি, তখন আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, আজ মুম্বাইতে জঙ্গী হামলারও বর্ষপূরণের দিন। সেই হামলায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন, আমি তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই। সেইসঙ্গে, ভারতের নিরাপত্তাকে যারা চ্যালেঞ্জ জানায়, এমন যে কোনও জঙ্গী সংস্থার বিরুদ্ধে নির্ণায়ক পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে দেশের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করি।

 

বন্ধুগণ,

গণপরিষদে বিস্তারিত বিতর্কের সময়ে ভারতের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর আলোচনা হয়েছিল। আপনারা সকলেই সেই বিতর্ক সম্বন্ধে জানেন। সেই সময়ে ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর বলেছিলেন, “সংবিধান নিছক আইনজীবীদের একটি নথি নয়... এর চেতনা সর্বদাই যুগের চেতনা”। এখানে বাবাসাহেব যে চেতনার উল্লেখ করেছেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সংবিধানের সংস্থানগুলি সংবিধানকে পরিবর্তিত সময় ও পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা করার অনুমতি দেয়। আমাদের সংবিধানের রূপকাররা বুঝতে পেরেছিলেন যে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের স্বপ্ন ও আকাঙ্খা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে, স্বাধীন ভারত ও তার নাগরিকদের চাহিদা ও চ্যালেঞ্জগুলিও ক্রমশ বিকশিত হবে। তাই, তাঁরা আমাদের সংবিধানকে নিছক এক আইনি দলিল করে রাখেননি, একে এক গতিশীল অবিরাম প্রবাহিত ধারায় পরিণত করেছেন।

বন্ধুগণ,

সংবিধান আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যতের নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। গত ৭৫ বছর ধরে দেশ যখনই কোনও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, আমাদের সংবিধান তার উপযুক্ত সমাধান দিয়েছে। এমনকি, জরুরি অবস্থার সময়ে গণতন্ত্র যখন কড়া চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল, তখনও সংবিধান জোরালোভাবে সামনে এসে দাঁড়ায়। দেশের যে কোনও প্রয়োজনে, যে কোনও প্রত্যাশায় সংবিধান তার ভূমিকা পালন করেছে। সংবিধানের এই শক্তির কারণেই আজ জম্মু ও কাশ্মীরেও বাবাসাহেবের সংবিধান সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হতে পেরেছে। এই প্রথম সেখানেও সংবিধান দিবস পালিত হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

ভারত বর্তমানে এক অভূতপূর্ব রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমাদের সংবিধান আমাদের পথ দেখাচ্ছে, আমাদের সামনে বাতিঘর হয়ে থাকছে।

বন্ধুগণ,

মহান স্বপ্ন ও সংকল্প পূরণের মধ্যে ভারতের ভবিষ্যৎ নিহিত রয়েছে। আজ দেশের প্রতিটি নাগরিক একটি মাত্র লক্ষ্যকে সামনে রেখে একসূত্রে বাঁধা পড়েছেন – ‘বিকশিত ভারত’ গঠনের লক্ষ্য। ‘বিকশিত ভারত’ – এর অর্থ এমন এক দেশ, যেখানে প্রতিটি নাগরিক জীবনযাপনের উন্নত মান ও মর্যাদা উপভোগ করেন। এটাই সামাজিক ন্যায়ের এক প্রধান হাতিয়ার, যা সংবিধানের মূল চেতনাও বটে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্যের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ৫৩ কোটিরও বেশি ভারতীয়, যাঁরা ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতার বাইরে ছিলেন, তাঁরা গত এক দশকে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে যাঁরা গৃহহীন ছিলেন, গত ১০ বছরে এমন ৪ কোটি নাগরিককে স্থায়ী আবাসন দেওয়া হয়েছে। বছর পর বছর ধরে যাঁরা রান্নার গ্যাসের সংযোগের অপেক্ষায় ছিলেন, গত ১০ বছরে এমন ১০ কোটিরও বেশি মহিলা বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ পেয়েছেন। বাড়িতে কল খুললেই জল পড়বে, এটা এখন আমাদের খুব স্বাভাবিক মনে হয়। কিন্তু, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও মাত্র ৩ কোটি পরিবারে নলবাহিত জলের সংযোগ ছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ জলের সংযোগের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। আমার খুব ভালো লাগে যে, গত ৫-৬ বছরের মধ্যে আমাদের সরকার ১২ কোটিরও বেশি পরিবারে নলবাহিত জলের সংযোগ দিয়েছে। এতে নাগরিকদের, বিশেষ করে মহিলাদের জীবন আরও সহজ হয়েছে এবং সংবিধানের চেতনা শক্তিশালী হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

আপনারা জানেন যে, আমাদের সংবিধানের মূল পাণ্ডুলিপিতে ভগবান রাম, মা সীতা, হনুমানজি, বুদ্ধ, মহাবীর এবং গুরু গোবিন্দ সিংজির ছবি রয়েছে। এটাই ভারতের সংস্কৃতির প্রতীক। সংবিধানের এই ছবিগুলি আমাদের মানবিক মূল্যবোধের গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়। এই মূল্যবোধই আধুনিক ভারতের নীতি ও সিদ্ধান্তের ভিত্তি স্থাপন করেছে। ভারতীয়রা যাতে দ্রুত ন্যায় বিচার পান, তা নিশ্চিত করতে একটি নতুন বিচার বিভাগীয় বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে। শাস্তি-ভিত্তিক ব্যবস্থাকে বিচার-ভিত্তিক ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। রাজনীতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম – এর মতো ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি ও অধিকার সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যেও আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এছাড়া, ভিন্নভাবে সক্ষমদের জীবন যাতে আরও সহজ হয়, সেজন্যও নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বন্ধুগণ,

দেশ এখন নাগরিকদের জীবনযাত্রা সহজ করার দিকে ব্যাপকভাবে মনোনিবেশ করেছে। একটা সময় ছিল, যখন প্রবীণ পেনশন-প্রাপকদের, তাঁরা যে জীবিত আছেন, তা প্রমাণ করার জন্য ব্যাঙ্কে উপস্থিত হতে হ’ত। এখন তাঁরা নিজেদের বাড়িতে বসেই ব্যাঙ্কে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট দাখিল করতে পারেন। প্রায় দেড় কোটি নাগরিক এ পর্যন্ত এর থেকে উপকৃত হয়েছে। ভারত এমন এক দেশ, যেখানে প্রতিটি দরিদ্র পরিবার ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পায়। এখানে ৭০ বছরেরও বেশি বয়সী প্রতিটি মানুষ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার সুবিধা পান। দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার জন ঔষধি কেন্দ্র থেকে ৮০ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ পাওয়া যায়। একটা সময় ছিল, যখন আমাদের দেশে টিকাকরণের আওতা ৬০ শতাংশেরও কম ছিল। লক্ষ লক্ষ শিশু প্রতি বছর টিকা পেত না। আজ আমার বলতে ভালো লাগছে যে, মিশন ইন্দ্রধনুষ – এর আওতায় দেশে ১০০ শতাংশ টিকাকরণ সম্ভব হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলির শিশুরাও আজ টিকা পেয়েছে। এইসব উদ্যোগের ফলে গরীব ও মধ্যবিত্ত মানুষের উদ্বেগ অনেকটাই কমেছে।

বন্ধুগণ,

আমাদের দেশ আজ কীভাবে কাজ করছে, তার আরেকটি উদাহরণ হ’ল – উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা প্রচারাভিযান। দেশের ১০০টিরও বেশি জেলা, যেগুলিকে এক সময় পিছিয়ে পড়া জেলা বলা হ’ত, সেগুলির নতুন নাম দেওয়া হয়েছে উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা। সেখানে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম পুরোদমে চালানো হচ্ছে। এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলাগুলির মধ্যে অনেক জেলা আজ অন্য জেলাগুলির তুলনায় ভালো ফল করছে। এই মডেলের উপর ভিত্তি করে আমরা এখন উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্লক কর্মসূচিও শুরু করেছি।

বন্ধুগণ,

মানুষ তার প্রাত্যহিক জীবনে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, তা দূর করার উপরও বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। মাত্র কয়েক বছর আগেই দেশের ২.৫ কোটি পরিবারে সন্ধে হলেই অন্ধকার নেমে আসত। সেইসব পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করে তাদের জীবন আলোকিত করে তোলা সম্ভব হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতেও হাজার হাজার মোবাইল টাওয়ার বসানো হয়েছে। এতে মানুষ ৪-জি এবং ৫-জি সংযোগ পাচ্ছেন। আগে যখন আপনারা আন্দামান বা লাক্ষাদ্বীপে যেতেন, দেখতেন, সেখানে ব্রডব্যান্ড সংযোগ নেই। এখন সমুদ্রের নীচ দিয়ে অপ্টিক্যাল ফাইবার বিছিয়ে এইসব দ্বীপে উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। আমরা জানি, গ্রামীণ এলাকাগুলিতে জমি-বাড়ি নিয়ে কত বিবাদ হয়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতেও জমির রেকর্ড নিয়ে নানা সমস্যা দেখা দেয়। আজকের ভারত এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী স্বামিত্ব যোজনার আওতায় ড্রোনের সাহায্যে গ্রামের বাড়িগুলির মানচিত্র তৈরি করা হচ্ছে এবং বাসিন্দাদের আইনি কাগজপত্র দেওয়া হচ্ছে।

 

 

বন্ধুগণ,

দেশের অগ্রগতির জন্য আধুনিক পরিকাঠামো স্থাপনও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ। পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রকল্পগুলির কাজ সময় মতো শেষ হলে একদিকে যেমন দেশের সম্পদ বাঁচে, তেমনই সেই প্রকল্পগুলির উপযোগিতাও বাড়ে। এই ভাবনা থেকেই PRAGATI প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। সেখানে নিয়মিতভাবে পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির কাজের অগ্রগতি করা হয়। কিছু কিছু প্রকল্প তো ৩০-৪০ বছর ধরে বকেয়া পড়ে রয়েছে। আমি নিজে এইসব বৈঠকে পৌরহিত্য করি। আপনাদের জেনে ভালো লাগবে যে, এ পর্যন্ত ১৮ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখা হয়েছে এবং সেগুলি সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে যেসব বাধা ছিল, তা দূর করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ সময় মতো শেষ হলে মানুষের জীবনে তার ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আমাদের এইসব উদ্যোগ একদিকে যেমন দেশের বিকাশের গতি বাড়াচ্ছে, তেমনই সংবিধানের মূল ভাবনাকে শক্তিশালী করছে।

 

বন্ধুগণ,

ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদের কথা দিয়ে আমি আমার বক্তব্য শেষ করব। ১৯৪৯ সালে আজকের দিনেই গণপরিষদে তাঁর সমাপ্তি ভাষণে ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেছিলেন, “ভারতের এখন শুধু কিছু সৎ মানুষের প্রয়োজন, যাঁরা নিজেদের বদলে দেশের স্বার্থকে আগে রাখবেন”। “দেশ প্রথম, দেশ সবার উপরে” – এই চেতনাই ভারতের সংবিধানকে আরও অনেক শতাব্দী ধরে বাঁচিয়ে রাখবে। সংবিধান আমার উপরে যে কর্তব্যভার ন্যস্ত করেছে, আমি চেষ্টা করেছি নিজের গণ্ডীর মধ্যে থেকে তা পালন করার। আমি কখনও অন্য কোনও পরিসরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করিনি। সংবিধান আমাকে যে কাজের দায়িত্ব দিয়েছে, আমার সীমার মধ্যে থেকেই আমি সেই বিষয়ে আমার ভাবনাকে প্রকাশ করেছি। এই বিষয়ে এই ইঙ্গিতটুকুই যথেষ্ট, এ নিয়ে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।

আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Positive consumer sentiments drive automobile dispatches up 12% in 2024: SIAM

Media Coverage

Positive consumer sentiments drive automobile dispatches up 12% in 2024: SIAM
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 15 জানুয়ারি 2025
January 15, 2025

Appreciation for PM Modi’s Efforts to Ensure Country’s Development Coupled with Civilizational Connect