শেয়ার
 
Comments
এ দেশে দূরসঞ্চার প্রযুক্তি একটি ক্ষমতামাত্র নয়, বরং এক বিশেষ ক্ষমতায়ন প্রচেষ্টা
ভারতে আইটিইউ-এর আঞ্চলিক দপ্তর ও উদ্ভাবন কেন্দ্রের সূচনাকালে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর
‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি মাস্টার প্ল্যান’ হল এর এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
অ-ডিজিটাল ক্ষেত্রগুলিতেও ডিজিটাল ভারতের প্রভাব এখন অনস্বীকার্য।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের এক নতুন বাতাবরণ গড়ে উঠবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে সকলের জন্য এক সুষ্ঠু ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভারত যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাও যে এর ফলে উৎসাহিত হবে, একথাও মনে করেন তিনি।
এজন্য সমগ্র বিশ্বই আজ তাকিয়ে রয়েছে ভারতের প্রযুক্তিগত শক্তি ও প্রচেষ্টার দিকে।
এছাড়াও, ৬জি-র গবেষণা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষার একটি মঞ্চ এবং ‘কল বিফোর ইউ ডিগ’ অ্যাপটিরও সূচনা করেন।
এর ফলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে সহযোগিতার এক নিবিড় বাতাবরণ গড়ে তোলা যাবে
ভারতে যেভাবে আধার, ইউপিআই এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রসার ঘটেছে তার ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন যে এ সমস্ত কিছুই ভারতকে জ্ঞান-নির্ভর এক অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করেছে

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আমার সহকর্মীরা, ডঃ এস জয়শঙ্করজি, শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবজি এবং শ্রী দেবুসিং চৌহানজি, আইটিইউ-র সেক্রেটারি জেনারেল, অন্য বিশিষ্ট অতিথিগণ, ভদ্রমহোদয়া ও ভদ্রমহোদয়গণ!

আজকের দিনটি বিশেষ এবং পবিত্র দিন। আজ থেকে ‘হিন্দু ক্যালেন্ডার’ অনুযায়ী নববর্ষের সূচনা হচ্ছে। আমি ২০৮০ বিক্রম সম্বত-এর শুভেচ্ছা জানাই আপনাদের এবং সকল দেশবাসীকে। আমাদের বিশাল এবং বৈচিত্র্যময় দেশে বহু শতাবী ধরে বিভিন্ন ক্যালেন্ডার প্রচলিত। কোল্লাম শাসনকালে মালায়লাম ক্যালেন্ডার ছিল। ছিল তামিল ক্যালেন্ডার যা কয়েকশ’ বছর ধরে ভারতে তারিখ এবং সময় দেখার জন্য ব্যবহৃত হত। বিক্রম সম্বতও ২০৮০ বছর আগে থেকে প্রচলিত। গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডারের বয়স ২০২৩, কিন্তু তারও ৫৭ বছর আগে থেকে শুরু হয়েছে বিক্রম সম্বত। আমি খুশি যে টেলিকম, আইসিটি এবং সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবনের নতুন সূচনা হচ্ছে এই পূণ্য দিনে। আজ ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর আঞ্চলিক কার্যালয় এবং উদ্ভাবন কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়েছে। এছাড়াও, ৬জি-র পরীক্ষারমূলক সূচনাও হয়েছে আজকে। এই প্রযুক্তি সংক্রান্ত আমাদের দৃষ্টিপত্রেরও আজ আবরণ উন্মোচন হয়েছে। এটি শুধু ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় নতুন প্রাণসঞ্চার করবে তাই নয়, দক্ষিণ এশিয়া এবং গ্লোবাল সাউথের জন্য সমাধান ও উদ্ভাবনও করবে। এটি নতুন সুযোগের সৃষ্টি করবে বিশেষ করে, আমাদের শিক্ষাবিদ, উদ্ভাবক, স্টার্ট-আপ এবং শিল্পের জন্য।

বন্ধুগণ,

জি-২০-র সভাপতিত্বকালে ভারতের অগ্রাধিকার আঞ্চলিক বিভাজন হ্রাস করা। কয়েক সপ্তাহ আগে ভারত গ্লোবাল সাউথ শিখর সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। গ্লোবাল সাউথ-এর অনন্য প্রয়োজনের কথা ভেবে প্রযুক্তি, নকশা এবং মানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্লোবাল সাউথ এখন প্রযুক্তিগত বিভাজনের সেতুবন্ধ করতে চাইছে। আইটিইউ-এর এই আঞ্চলিক কার্যালয় ও উদ্ভাবন কেন্দ্র সেই লক্ষ্য পূরণে একটি বড়সড় পদক্ষেপ। আমার মনে হয় যে গ্লোবাল সাউথ-এ আন্তর্জাতিক যোগাযোগ গড়ে তুলতে ভারতের প্রয়াস অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক এবং গতিসম্পন্ন। এতে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির আইসিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং সংযোগ বৃদ্ধি পাবে। আমি এখানে উপস্থিত সকলকে বিশেষ করে, বিদেশ থেকে আগত সবাইকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানাই।

বন্ধুগণ,

প্রযুক্তিগত বিভাজনের সেতুবন্ধ করার কথা যখন ওঠে, তখন ভারতের কাছ অনেক কিছু প্রত্যাশা করাই স্বাভাবিক। ভারতের সম্ভাবনা, উদ্ভাবনী সংস্কৃতি, পরিকাঠামো, দক্ষ এবং উদ্ভাবন ক্ষমতাসম্পন্ন মানবসম্পদ ও সহায়ক নীতিগত পরিবেশ এই প্রত্যাশার ভিত্তি। এরই সঙ্গে ভারত দুটি বিষয় নিয়ে গর্ব করতে পারে। সেগুলি হল – আস্থা এবং মাত্রা। আমরা আস্থা এবং মাত্রা ব্যতিত প্রযুক্তিকে প্রতিটি কোণে পৌঁছে দিতে পারব। আমি বলব, বর্তমান প্রযুক্তির যুগে আস্থা হল পূর্বশর্ত। বর্তমানে সারা বিশ্ব ভারতের এই প্রয়াস নিয়ে আলোচনা করছে। আজকের ভারত সারা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংযুক্ত গণতন্ত্র যেখানে আছে ১০০ কোটি মোবাইল ফোন। সুলভ স্মার্টফোন এবং সস্তা ইন্টারনেট ডেটা ভারতের ডিজিটাল জগতের রূপান্তর ঘটিয়ে দিয়েছে। ভারতে প্রতি মাসে ৮০০ কোটির বেশি ইউপিআই ডিজিটাল পেমেন্ট হয়। ভারতে প্রতিদিন ৭ কোটি ই-অথেন্টিকেশন হয়। ভারতের CoWIN অ্যাপের মাধ্যমে ২২০ কোটির বেশি টিকাকরণ হয়েছে। গত কয়েক বছরে ভারত ডিবিটি-র মাধ্যমে ২৮ লক্ষ কোটির বেশি টাকা সরাসরি পৌঁছে দিয়েছে নাগরিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। আমরা জন ধন যোজনার মাধ্যমে আমেরিকার জনসংখ্যার চেয়েও বেশি মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছি। তারপর এই অ্যাকাউন্টগুলি ইউনিক ডিজিটাল আইডেন্টিটি বা আধার-এর মাধ্যমে যাচাই করা হয়েছে। তারপর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ১০০ কোটির বেশি মানুষকে সংযুক্ত করা হয়েছে। জন ধান-আধার-মোবাইল (জেএএম) – এই ত্রয়ীই এখন বিশ্বের কাছে গবেষণার বিষয়।

বন্ধুগণ,

টেলিকম প্রযুক্তি ভারতের কাছে শুধুই একটি শক্তির ধরন নয়, এটি মানুষের সশক্তিকরণের উপায়। বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তি ভারতে সর্বজনীন। সকলেই এর সুবিধা পাচ্ছে। গত কয়েক বছরে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকরণ ভারতে ঘটছে বিশাল আকারে। যদি আমরা ব্রডব্যাঙ্ক সংযোগের কথা বলি, ২০১৪-র আগে ভারতে এটি ব্যবহার করতেন ৬ কোটি মানুষ। বর্তমানে ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮০ কোটির বেশি। ২০১৪-র আগে ভারতে ইন্টারনেট সংযোগের সংখ্যা ছিল ২৫ কোটি, আজ তা ৮৫ কোটির বেশি।

বন্ধুগণ,

বর্তমানে ভারতের গ্রামে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা শহরের থেকে বেশি। এতেই প্রমাণ ডিজিটাল শক্তি কিভাবে দেশের কোণে কোণে পৌঁছচ্ছে। সরকার এবং বেসরকারি ক্ষেত্র মিলে ভারতে ২৫ লক্ষ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার বসিয়েছে। এই ক’বছরে প্রায় ২ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েত সংযুক্ত হয়েছে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে। বর্তমানে ৫ লক্ষের বেশি কমন সার্ভিস সেন্টার সারা দেশের গ্রামগুলিতে ডিজিটাল পরিষেবা প্রদান করছে। এই সকল পদক্ষেপের ফল আজ আমাদের ডিজিটাল অর্থনীতি দেশের সার্বিক অর্থনীতির তুলনায় আড়াইগুণ বেশি হারে এগোচ্ছে। নন-ডিজিটাল ক্ষেত্রও ডিজিটাল ইন্ডিয়া থেকে বলপ্রাপ্ত হচ্ছে। এর প্রমাণ আমাদের ‘পিএম গতি শক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান’। সব ধরনের পরিকাঠামোর তথ্যের ভাণ্ডার তৈরি করা হচ্ছে যা আনা হয়েছে মাত্র একটি প্ল্যাটফর্মে। এর লক্ষ্য পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিটি সম্পদের তথ্য পাওয়া যাবে একটি জায়গায় এবং প্রত্যেকেই তা তৎক্ষণাৎ পাবে। ‘কল বিফোর ইউ ডিগ’ অ্যাপ, যার আজ সূচনা হল তা এই ভাবনারই সম্প্রসারণ। আর এই ‘কল বিফোর ইউ ডিগ’-এর মানে এই নয় যে এটা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হবে। আপনারা জানেন যে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য খোঁড়াখুঁড়ির ফলে টেলিকম নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই নতুন অ্যাপের সাহায্যে খননকারী সংস্থাগুলি এবং যে সমস্ত দপ্তরের মাটির নিচে বিভিন্ন জিনিসপত্র আছে, তাদের মধ্যে সমন্বয় ঘটানো যাবে। এর ফলে, ক্ষতি অনেক কম হবে আর মানুষকে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাও কমবে।

বন্ধুগণ,

বর্তমানে ভারত দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে ডিজিটাল বিপ্লবের পরবর্তী ধাপে। আজকে ভারত সারা বিশ্বে দ্রুততম ৫জি-র দেশ। মাত্র ১২০ দিনে ১২৫টি শহরে ৫জি চালু হয়ে গেছে। আজ ৫জি পরিষেবা পৌঁছে গেছে দেশের প্রায় ৩৫০টি জেলায়। এছাড়াও, বর্তমানে আমরা ৫জি চালু হওয়ার মাত্র ছ’মাস পরেই ৬জি নিয়ে আলোচনা করছি। এতে বোঝা যায় ভারতের আত্মবিশ্বাস কতটা। আজ আমরা দৃষ্টিপত্র প্রকাশ করলাম। এটি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৬জি চালু করার প্রধান ভিত্তি হয়ে উঠবে।

বন্ধুগণ,

দেশজ টেলিকম প্রযুক্তি বর্তমানে বিশ্বের নানা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। ৪জি চালু হওয়ার আগে ভারত শুধুমাত্র ছিল টেলিকম প্রযুক্তির ক্রেতা। কিন্তু এখন ভারত সারা বিশ্বে টেলিকম প্রযুক্তির বৃহত্তম রপ্তানিকারক হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। ৫জি-র শক্তির সাহায্যে ভারত সারা বিশ্বের কর্মসংস্কৃতির বদল ঘটাতে অনেক দেশের সঙ্গে কাজ করছে। খুব শীঘ্রই ভারত ১০০টি নতুন ৫জি ল্যাব স্থাপন করবে। এতে ৫জি-র সঙ্গে যুক্ত সুবিধা, বাণিজ্যিক মডেল এবং কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। এই ১০০টি নতুন ল্যাব ভারতের প্রয়োজন অনুযায়ী ৫জি প্রয়োগের ব্যবস্থা করবে। সে ৫জি স্মার্ট ক্লাসরুমই হোক, কৃষিই হোক, অত্যাধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থাই হোক অথবা স্বাস্থ্য পরিষেবা - ভারত প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দ্রুত কাজ করছে। ভারতের ৫জি-র মান বিশ্বের ৫জি ব্যবস্থারই অংশ। ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির মান নির্ণয়ের জন্য আমরা কাজ করব আইটিইউ-এর সঙ্গে। আজকে যে ভারতীয় আইটিইউ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সূচনা হল তাতে ৬জি-র জন্য সঠিক পরিবেশ গড়ে তোলার সহায়ক হবে। আমি একথা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে আইটিইউ-এর ওয়ার্ল্ড টেলি-কমিউনিকেশন্স স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসেম্বলি আগামী বছর অক্টোবরে আয়োজিত হবে দিল্লিতে। সারা বিশ্ব থেকে প্রতিনিধিরা আসবেন ভারতে এই সভায় যোগ দিতে। আমি আপনাদের শুভেচ্ছা জানাই। সেইসঙ্গেই আমি এই ক্ষেত্রের কৃতবিদ্যদের কাছে আবেদন রাখব যে অক্টোবরের আগেই আমাদের কিছু করা উচিত যাতে বিশ্বের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর দেশগুলি পূর্ণ মাত্রায় ব্যবহার করতে পারে।

বন্ধুগণ,

ভারতের উন্নয়নের এই গতির দিকে লক্ষ্য রেখে এটা বলা যায় যে এই দশক ভারতের প্রযুক্তির দশক। ভারতের টেলিকম এবং ডিজিটাল মডেল সহজ, নিরাপদ, স্বচ্ছ আস্থাভাজন এবং পরীক্ষিত। দক্ষিণ এশিয়ার সকল বন্ধু দেশ এর সুযোগ নিতে পারে। আমার বিশ্বাস, আইটিইউ-এর এই কেন্দ্র এই ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। আরও একবার আমি এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে বিশ্বের নানা দেশ থেকে আগত অভ্যাগতদের স্বাগত জানাই এবং আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই।

অনেক ধন্যবাদ!

প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছিলেন

Explore More
ভারতের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লার প্রাকার থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

জনপ্রিয় ভাষণ

ভারতের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লার প্রাকার থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
Swachh Bharat Abhiyan: How India has written a success story in cleanliness

Media Coverage

Swachh Bharat Abhiyan: How India has written a success story in cleanliness
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Chhattisgarh steeped in corruption, misrule, scam under Congress: PM Modi
September 30, 2023
শেয়ার
 
Comments
People of Chhattisgarh have decided to not tolerate Congress' atrocities anymore: PM Modi in Bilaspur
It is my guarantee that your dreams are my resolution... Your dreams will be fulfilled only when there is a BJP government here: PM Modi in Chhattisgarh
If the Deputy CM of Chhattisgarh says that Delhi does no injustice, this should have been a matter of happiness for all, but Congress had a hurricane: PM Modi in Bilaspur
Chhattisgarh steeped in corruption, misrule, scam, says PM Modi

भारत माता की, भारत माता की।


जम्मो छत्तीसगढ़ के भाई-बहिनी, सियान महतारी मन ल जय जोहार।


बिलासपुर का आह्वान है, छत्तीसगढ़ का ऐलान है- छत्तीसगढ़ में परिवर्तन तय हो गया है। ये जो उत्साह यहां दिख रहा है कि ये परिवर्तन का उद्घोष है। कांग्रेस सरकार के अत्याचारों से त्रस्त छत्तीसगढ़ की जनता कह रही है- अउ नइ सहिबो, बदल के रहिबो ! अउ नइ सहिबो, अउ नइ सहिबो, अउ नइ सहिबो, बदल के रहिबो !

भाइयों-बहनों,
मैं बिलासपुर बहुत बार आया हूं। संगठन का काम करता था तब भी आता था। गुजरात में मुख्यमंत्री था तब भी रमन सिंह मुझे आपसे मिलने के लिए हर मौके पर बुलाते थे। और प्रधानमंत्री बनने के बाद भी हर बार आपके बीच में आया हूं। लेकिन ऐसा उमंग, उत्साह, न भूतो न भविष्यति। मैंने ऐसा उत्साह, ऐसी एनर्जी और पूरी तरह युवाशक्ति और मातृशक्ति, कल्पना से बाहर का दृश्य है। और अच्छा हुआ, पार्टी ने मुझे अंदर से जीप में आने का मुझे अवसर दिया ताकि मैं पुराने-पुराने लोगों के दर्शन तो कर पाया। लेकिन साथ-साथ इस एनर्जी को अनुभव कर पाया। इस उत्साह को अनुभव कर पाया। साथियों, मैं कल्पना कर सकता हूं कि परिवर्तन यात्रा ने कैसी कमाल की है छत्तीसगढ़ में। आज छत्तीसगढ़ आकंठ भ्रष्टाचार और कुशासन से त्रस्त है। रोजगार के नाम पर सिर्फ घोटाले ही घोटाले हैं। हर योजना में भ्रष्टाचार हावी है। इसलिए छत्तीसगढ़ कांग्रेस सरकार को हटाने और भाजपा को लाने के लिए आपलोग पूरी तरह तैयार हैं।

मेरे परिवारजनों,
अटल जी ने छत्तीसगढ़ की आकांक्षाओं को समझते हुए, इस प्रदेश का निर्माण किया था। ये भाजपा है, जिसने छत्तीसगढ़ के लोगों के सामर्थ्य को समझा। छत्तीसगढ़ का हाईकोर्ट हमारे बिलासपुर में है। ये काम भाजपा ने किया है। यहां साउथ ईस्ट सेंट्रल रेलवे का मुख्यालय है। ये राजस्व की दृष्टि से भारत के सबसे बड़े रेलवे जोन में से एक है। इसकी स्थापना भी अटल जी की सरकार के दौरान हुई थी। यानि छत्तीसगढ़ के विकास के लिए भाजपा केंद्र में हो या राज्य में पूरी तरह निरंतर समर्पित रही है। आज मैं आपको, आज मैं आपको एक गारंटी देने आया हूं कि आपके हर सपने को साकार करने के लिए मोदी कोई कसर बाकी नहीं छोड़ेगा।

छत्तीसगढ़ के मेरे भाई-बहन,
छत्तीसगढ़ के मेरे भाई-बहन आप लिख लीजिए, ये मोदी की गारंटी है। आपका सपना, आपका सपना अब मोदी का संकल्प है। छत्तीसगढ़ के हर परिवार का सपना तभी साकार होगा, जब छत्तीसगढ़ में भी भाजपा सरकार होगी। दिल्ली से मैं जितनी कोशिश करूं, यहां की कांग्रेस सरकार उसको फेल करने में जुटी रहती है। पिछले 5 वर्षों में छत्तीसगढ़ को केंद्र सरकार से हजारों करोड़ रूपए मिला है। यहां सड़क हो, रेल हो, बिजली हो, दूसरे ऐसे अनेक विकास के काम हों, हमने छत्तीसगढ़ के लिए, आपके लिए पैसे की कोई कमी नहीं रखी। और ये बात मैं कह रहा हूं ऐसा नहीं है। यहां के उपमुख्यमंत्री जी ने सार्वजनिक सभा में कही थी। और उपमुख्यमंत्री जी ने सच बोला तो ये पार्टी के ऊपर से नीचे तक तूफान खड़ा हो गया। उनको फांसी पर लटकाने के खेल खेलने लग गए। सार्वजनिक जीवन में हकीकतों को छिपाया नहीं जा सकता। अगर कांग्रेस के ये नेता, कांग्रेस सरकार के उपमुख्यमंत्री भरी जनसभा में ये कहते हैं कि दिल्ली कभी अन्याय नहीं करता है तो फिर हरेक को खुशी होनी चाहिए। लेकिन पूरी कांग्रेस में तूफान मच गया।

और भाइयों-बहनों, भारत सरकार ने अपनी जिम्मेदारी निभाते हुए, हम कभी ये नहीं कहते कि हम उपकार कर रहे हैं। छत्तीसगढ़ में हजारों करोड़ रुपये के इंफ्रास्ट्रक्चर प्रोजेक्ट हमने मंजूर किए, पैसे भेजे। कांग्रेस सरकार की वजह से या तो वो रुके हुए हैं या बहुत देरी से चल रहे हैं। हर प्रोजेक्ट में रोकटोक करने वाली कांग्रेस सरकार अगर यहां दोबारा आई तो छत्तीसगढ़ भला होगा, जरा जोर से बताइए छत्तीसगढ़ का भला होगा, आपका भला होगा, यहां के युवकों का भला होगा, यहां की माताओं-बहनों का भला होगा।

साथियों,
जब कांग्रेस की सरकार दिल्ली में थी, तब छत्तीसगढ़ के लिए, रेलवे के लिए, ये आंकड़ा याद रखोगे आप, मैं जो आंकड़ा बोलता हूं याद रखोगे आप। ऐसे नहीं, सबलोग बताओ आंकड़ा याद रखोगे। पक्का याद रखोगे। जब दिल्ली में रिमोट कंट्रोल से सरकार चल रही थी कांग्रेस की सरकार थी, और आजकल जो इंडी एलायंस बना है न, उनकी सरकार थी। रेलवे के लिए वर्ष में एवरेज औसतन 300 करोड़ रुपए छत्तीसगढ़ को मिलता था। कितना, जरा फिर से बोलो कितना...किसके समय में। मतलब कि कांग्रेस के समय में रेलवे के लिए 300 करोड़ रुपए मिलता था। लेकिन इस साल भाजपा सरकार ने मैं एक वर्ष की बात बताता हूं। सरकार ने छत्तीसगढ़ में रेलवे के विस्तार के लिए रेलवे के विस्तार के लिए 6 हज़ार करोड़ रुपए दिए हैं। कितने दिए हैं, कितने दिए हैं, किसने दिए हैं, किसने दिए हैं। आप बताइए कहां 300 करोड़ और कहां 6 हज़ार करोड़। ये है मोदी मॉडल। ये है मोदी का छत्तीसगढ़ के प्रति प्रेम। ये है मोदी का छत्तीसगढ़ के विकास के लिए कमिटमेंट। हमारा प्रयास है कि छत्तीसगढ़ में रेलवे ट्रैक का तेज़ी से बिजलीकरण हो, दोहरीकरण हो। हम चाहते हैं यहां बड़ी संख्या में तेज़ गति से चलने वाली ट्रेनें चल सकें, आप सभी को सुविधा हो। ये भाजपा सरकार ही है जिसने छत्तीसगढ़ को आधुनिक वंदे भारत ट्रेन भी दी है।

मेरे परिवारजनों,
गरीब के साथ जितना अन्याय कांग्रेस ने किया है, उतना किसी ने नहीं किया। कोरोना का इतना बड़ा संकट आया। गरीब के इस बेटे ने ये तय किया कि मैं अपने हर गरीब भाई-बहन को संकट की इस घड़ी में मुफ्त राशन दूंगा। हमने गरीब कल्याण अन्न योजना शुरू की। कोई भी परिवार ऐसा न हो जब इन कोरोना की मुसीबत के समय जिसका घर का चूल्हा न जले। ऐसा कोई बेटा-बेटी न हो जिसको रात को भूखा सोना पड़े। और इसीलिए मोदी ने अन्न के भंडार खोल दिए और देश के गरीबों को मुफ्त में अन्न दिया, आज भी चल रहा है। लेकिन छत्तीसगढ़ की कांग्रेस सरकार ने, आप सुनिए, गरीब के पेट जाने वाला अन्न, गरीब का जलने वाला चूल्हा, ये भी कांग्रेस के लोगों के लिए चोरी करने का माध्यम बन गया। कांग्रेस सरकार ने इसमें भी घोटाला कर दिया। आज यहां का हर लाभार्थी कांग्रेस सरकार से पूछ रहा है कि बताओ, हमारे हक का राशन कहां गया? पूछोगे कि नहीं पूछोगे, घर जाकरके बताओगे कि नहीं बताओगे। क्या कांग्रेस ने जवाब देना चाहिए कि नहीं देना चाहिए? आप मुझे बताइए साथियों, जो राशन में घोटाला करे, वो वापिस आने चाहिए क्या? उनको दोबारा मौका देना चाहिए क्या? और अगर मौका मिल गया तो ज्यादा घोटाला करेंगे कि नहीं करेंगे? छत्तीसगढ़ पूरी तरह तबाह हो जाएगा कि नहीं हो जाएगा। साथियों, ये तो मैं दिल्ली में बैठा हूं न तो थोड़ा भी डरते हैं। ये दुबारा मौका मिला, दुबारा मौका मिला तो घोटाले करने की इनकी हिम्मत इतनी बढ़ जाएगी, इतनी बढ़ जाएगी कि छत्तीसगढ़ में कोई उनको रोक नहीं पाएगा।

साथियों,
कांग्रेस शासन में अनेकों छोटे-छोटे बच्चों की कुपोषण से मौत की खबरें आई हैं। ये कितनी पीड़ादायक स्थिति है। किसी सरकार की इससे बड़ी असफलता भला क्या हो सकती है? कांग्रेस सरकार ने इस खौफनाक सच्चाई को दबाकर रखा है, छिपाकर रखा है। कांग्रेस नेताओं को अपने बच्चों के जीवन से बहुत सरोकार है, लेकिन आपके बच्चों से, आपके बच्चों के जीवन से कांग्रेस वालों को कोई लेना-देना नहीं है, उनको तो अपने बच्चों की जिंदगी बनानी है।

साथियों,
केंद्र की भाजपा सरकार का प्रयास है कि यहां से जो खनिज संपदा निकलती है, उसका एक हिस्सा यहीं के विकास में लगना चाहिए। इसके लिए भाजपा सरकार ने डिस्ट्रिक्ट मिनरल फंड बनाया है। इसके तहत छत्तीसगढ़ को भी करोड़ों रुपए दिए गए हैं। और जब हमने नियम बनाया तब रमन सिंह जी मुख्यमंत्री थे। वो मुझे स्पेशियली मुझसे मिलने आए थे। और रमन सिंह जी ने कहा कि साहब आपने ऐसा निर्णय किया है कि आपने हिसाब लगाया है कि क्या होगा। मैंने कहा बताइए। बोले मेरे कुछ जिले ऐसे हैं जिनको सिर्फ इस फंड से इतना पैसा मिलेगा, इतना पैसा मिलेगा जितना पहले बजट से नहीं मिला है और अब तो शायद इन जिलों के लिए हमें अतिरिक्त बजट भी नहीं बाटना पड़े और ये जिले आगे निकल जाएंगे। ये शब्द रमन सिंह जी ने आकरके मुझसे कहे थे। लेकिन कांग्रेस ने आते ही उसका भी बंटाधार कर दिया। हमारे छत्तीसगढ़ के दलितों, पिछड़ों और आदिवासियों के इन पैसों पर भी डाका डाल दिया। कांग्रेस ने यहां शराब घोटाला करके क्या कुछ नहीं कमाया है। अरे ये लोग तो ऐसे हैं गोबर को भी नहीं छोड़ा, गोबर को भी। कांग्रेस ने गौमाता के नाम पर भी घोटाला किया है।

साथियों,
कांग्रेस ने छत्तीसगढ़ के नौजवानों को क्या-क्या सपने दिखाए थे। और उन्हें क्या मिला- सिर्फ धोखा ! और छत्तीसगढ़ के नौजवान तो छह महीने में ही समझ गए थे मर गए। और जब लोकसभा का चुनाव आया तो सबकी सब सीटों पर भाजपा को विजयी बना दिया था। क्योंकि सब समझ गए थे कि ये धोखा है। भाइयों-बहनों PSC घोटाला, ये PSC घोटाला तो यहां के युवाओं के साथ बहुत बड़ा धोखा है। कांग्रेस की कुनीति को छत्तीसगढ़ के नौजवान भुगत रहे हैं। जिनकी नौकरी लगी- उनके सामने भी अनिश्चितता और जिनको बाहर किया गया, उनके साथ अन्याय। मैं छत्तीसगढ़ के युवाओं को आश्वस्त करता हूं कि जो भी इसके दोषी हैं, मेरे नौजवान लिखकर रखो, जो भी इसके दोषी हैं, भाजपा सरकार बनते ही उन पर कठोर कार्रवाई होगी।

मेरे परिवारजनों,
कांग्रेस ने छत्तीसगढ़ के धान किसानों को भी हमेशा धोखा दिया है, उनसे झूठ बोला है। यहां के धान किसानों का दाना-दाना, याद रखोगे, मैं बहुत जिम्मेवारी से बोल रहा हूं। याद रखोगे, यहां के धान किसानों का दाना-दाना, केंद्र की भाजपा सरकार खरीदती है। मोदी सरकार खरीदती है। छत्तीसगढ़ के किसानों का धान खरीदकर केंद्र सरकार ने एक लाख करोड़ रुपए से ज्यादा दिए हैं। कितने, फिर से बोलिए कितने, फिर से बोलिए कितने, घर-घर जाकर बताओगे, किसानों को जाकर बताओगे। यहां के धान किसानों को पैसे केंद्र की भाजपा सरकार देती है और दावे यहां कांग्रेस सरकार करती है। अब आपको बोलना चाहिए कि नहीं बोलना चाहिए, जोरों से बोलना चाहिए कि नहीं बोलना चाहिए, बार-बार बोलना चाहिए कि नहीं बोलना चाहिए, सच्चाई लोगों को पहुंचानी चाहिए कि नहीं पहुंचानी चाहिए। उनको बेनकाब करना चाहिए कि नहीं करना चाहिए। करोगे, ढीला मत बोलो, करोगे, करोगे, आप करोगे, पीछे वाले करेंगे, इधर वाले करेंगे, उधर वाले करेंगे। मैं फिर आपको विश्वास दिलाता हूं। भाजपा धान किसानों के प्रति समर्पित है। इसलिए यहां जब भाजपा सरकार बनेगी तो धान किसानों के हितों का पूरा ध्यान रखा जाएगा। और पाई-पाई किसान के पास पहुंचेगी।

साथियों,
मोदी ने पीएम किसान सम्मान निधि का इंतज़ाम ऐसा किया है कि सीधे पैसा किसान के बैंक अकाउंट में पहुंचता है। बीच में कोई बिचौलिया नहीं है, कोई कटकी कंपनी नहीं है। वरना कांग्रेस के एक प्रधानमंत्री ने कहा था कि दिल्ली से एक रूपया भेजते हैं, 15 पैसा पहुंचता है। अगर मेरे समय भी ऐसा हुआ होता तो आपको भला होता क्या। ये मोदी एक रुपया भेजता है तो 100 के 100 पैसे पहुंच जाते हैं भाइयों। कोई पंजा, कोई पंजा इस रुपये को घिस नहीं सकता है। पीएम किसान सम्मान निधि के तहत छत्तीसगढ़ के हर लाभार्थी किसान के खाते में 28 हजार रुपए तक पहुंचे हैं। हम आपकी हर जरूरत का ध्यान रख रहे हैं। केंद्र की भाजपा सरकार ने ये सुनिश्चित किया कि मुश्किल से मुश्किल समय में भी देश में खाद की कमी ना हो। आप भी जानते हैं कि दुनिया में ये कोरोना, ये लड़ाई इसके कारण खाद की कीमत बहुत बढ़ गई है। पिछले 100 साल में इतनी कीमत नहीं रही। इतनी कीमत बढ़ गई है। यूरिया की एक बोरी दुनिया में करीब-करीब 3 हज़ार रुपए तक बिकती है। कितने, कितने, जरा जोर से बोलो कितने में बिकती है। याद रखोगे और भारत में भारत के किसानों को ये बोरी 300 रुपए से भी कम कीमत में मिलती है। 300 रुपए से भी कम। कितने में रुपये में मिलती है, कितने में रुपये में मिलती है, दुनिया में कितने में मिलती है, दुनिया में कितने में मिलती है। कहां तीन हजार और कहां मेरे किसान को 300 रुपये हम यूरिया की बोरी देते हैं भाइयों। और इसके लिए भारत सरकार की तिजोरी में से केंद्र सरकार हज़ारों करोड़ रुपए खर्च कर रही है ताकि किसानों पर बोझ न बने।

मेरे परिवारजनों,
भाजपा सरकार का प्रयास है, गरीबों का जीवन आसान बने, उनका जीवन स्तर सुधरे। आपका जीवन स्तर ऊपर उठना है, तो मुझे लगता है कि जब आपको संतोष होता है, आपके सपने पूरे होते हैं न, तो मेरा संतोष भी बढ़ जाता है, मेरी ऊर्जा भी बढ़ जाती है। मेरा जीवन धन्य हो जाता है जब मेरे देश के गरीबों का कल्याण होता है। हमने शौचालय बनाया, तो दलित, पिछड़े और आदिवासी परिवारों की बहनों की मुश्किलें कम हुईं। हमने सौभाग्य योजना से मुफ्त बिजली कनेक्शन दिया, तो दलित, पिछड़े, आदिवासी परिवारों के घर रौशन हुए। उज्जवला का मुफ्त कनेक्शन दिया तो दलित, पिछड़े, आदिवासी परिवारों की बहनों को धुएं से मुक्ति मिली। हाल में ही उज्जवला की लाभार्थी बहनों के लिए गैस सिलेंडर को 400 रुपए सस्ता किया गया है। और मैंने देखा जब उज्ज्वला योजना शुरू हुई तब जितने परिवार थे। अब कुछ परिवारों में विभाजन होता है, बेटा अलग घर में रहने जाता है तो कुछ परिवार बढ़ गए हैं, तो हमारे कार्यकर्ता बताते थे कि साहब उज्जवला को थोड़ा नया शुरू करना पड़ेगा। पहले राउंड में तो सबको मिल गया लेकिन अब नए परिवार बस गए हैं। आपकी बात को ध्यान में रखकरके 75 लाख नए परिवार के लिए हमने प्रबंध कर दिया है। आने वाले दिनों जैसी-जैसी जरूरत होगी उनको भी उज्जवला गैस कनेक्शन मिल जाएगा। इससे छत्तीसगढ़ के भी अनेक परिवारों को लाभ होगा। हमने आयुष्मान भारत योजना से 5 लाख रुपए तक का मुफ्त इलाज सुनिश्चित किया है। इसका लाभ भी छत्तीसगढ़ के लाखों दलित, पिछड़े और आदिवासी परिवार उठा रहे हैं। और भाइयों-बहनों 5 लाख रुपए वाली आयुष्मान योजना ये दुनिया में सबसे बड़ी योजना है। दुनिया में सबसे बड़ी। और हमारे यहां तो आपने देखा होगा परिवार में हमारी माताएं-बहनें कितनी ही बीमारी हो, कितनी ही पीड़ा हो, काम करना भी मुश्किल हो, लेकिन माताएं-बहनें परिवार में किसी को पता नहीं चलने देती कि उसको बीमारी है। क्यों, क्योंकि मां-बहनों को लगता है कि अगर बच्चों पता चल गया कि बीमारी है, तो अस्पताल ले जाएंगे, खर्चा हो जाएगा, पैसे तो हैं नहीं, बच्चे कर्ज में डूब जाएंगे, और इसीलिए मां कहती है मैं पीड़ा सहन करूंगी लेकिन बेटे को कर्ज में डूबने नहीं दूंगी। हमारे देश में माताएं-बहनें पीड़ा सहती है लेकिन परिवार पर बोझ नहीं होने देती। ये पीड़ा, ये गरीब मां का बेटा समझता है। और इसीलिए आपके इस बेटे ने गारंटी दी है कि मेरी मां अब तेरा पांच लाख रुपये तक बिल ये तेरा बेटा दे देगा, तेरा बेटा। साथियों मोदी यानि मोदी यानि गारंटी पूरी होने की गारंटी है।

मेरे परिवारजनों,
मोदी ने आपको दी हुई एक और गारंटी पूरी कर दी है। अब लोकसभा और विधानसभा में बहनों के लिए 33 प्रतिशत सीटें आरक्षित हो जाएगी। भाजपा सरकार में नारीशक्ति वंदन अधिनियम अब सच्चाई बन चुका है। और कल ही हमारी राष्ट्रपति द्रौपदी मुर्मू जी जो आदिवासी महिला कल उस पर हस्ताक्षर करके अब उसको कानून भी बना दिया है। लेकिन भाइयों-बहनों मोदी तो करेगा, मोदी जो गारंटी देता है न वो पूरी करता है। लेकिन आपको खासकर माताओं-बहनों को बहुत सतर्क रहना होगा। बहुत मुश्किल से इतना बड़ा पड़ाव हमने पार किया है। 30 साल से लटका हुआ था। आप सोचिए, 30 साल। सरकारें आ गई, बोलती रही, नाटक करती रही, काम नहीं किया। कांग्रेस और इसके घमंडिया साथी, उनको लग रहा कि मोदी ने क्या कर दिया। वो गुस्से से भरे हुए हैं। उनको लगता है कि ये सारी माताएं-बहनें अब मोदी को ही आर्शीवाद देगी, उनकी नींद हराम हो गई है। और इसके कारण, डर के कारण अब वो नए-नए खेल रहे हैं। आपको मालूम है, न चाहते हुए भी उनको संसद में समर्थन क्यों करना पड़ा। क्यों करना पड़ा। माताएं-बहनें अब आपकी जो एकता और जागरूकता आई है न, इससे वो डर गए थे, इसीलिए उनको माताओं-बहनों के चरण में आना पड़ा है। लेकिन अब उन्होंने नया खेल शुरू किया है। अब वो बहनों में भी फूट डालना चाहते हैं। उनको लगता है बहनें संगठित हो गई तो इनका तो खेल पूरा। इसीलिए ये माताएं-बहनें संगठित न हो, जातिवाद में उनको तोड़ा जाए, भांति-भांति के तर्क देकरके उनमें विभाजन कर दिया जाए। भांति-भांति के झूठ फैला दिए जाएं। मैं छत्तीसगढ़ की माताओं-बहनों को कहना चाहता हूं ये आने वाले हजारों साल तक प्रभाव पैदा करने वाला निर्णय है। ये परिवार में माताओं-बहनों को नई शक्ति देने वाला काम हुआ है। आपकी बेटी का भविष्य उज्जवल बनाने का काम हुआ है। कृपा करें मेरी माताएं-बहनें ये झूठ बोलने वालों के झूठ में न फंस जाएं। ये आपको तोड़ने की कोशिश करे, मत करना। आपकी एकता बनी रहनी चाहिए। आपके आर्शीवाद बने रहने चाहिए ताकि आपके सपने ये मोदी पूरा कर पाएगा।

साथियों,
मोदी ने बहनों को उनके घर पानी से पाइप पहुंचाने की भी गारंटी दी है। सिर्फ 4 साल के भीतर ही, देश में 10 करोड़ ऐसे परिवारों के घर पाइप से पानी पहुंचाया गया है। लेकिन मुझे एक तकलीफ भी है। नल से जल के लिए छत्तीसगढ़ में जितनी तेज़ी से काम होना चाहिए था, वो नहीं हुआ है। यहां की सरकार को लगता है कि अगर माताओं-बहनों को पानी का जो कष्ट है वो चला जाएगा, माताओं-बहनों को रसोई तक नल से जल आएगा तो ये तो मोदी-मोदी करने लग जाएगी, और इसीलिए, इसीलिए वो माताओं-बहनों को नल से जल मिले नहीं, इसीलिए उस काम को धीरे-धीरे कर रहे हैं, पूरा नहीं कर रहे हैं। कांग्रेस की सरकार को मोदी और मोदी की योजनाएं, दोनों ही पसंद नहीं हैं। इसका एक और बड़ा उदाहरण गरीबों के घर की योजना है। अभी तक देशभर में 4 करोड़ से अधिक गरीब परिवारों को पक्के घर दिए जा चुके हैं। कितने, ऐसे नहीं, जरा जोर से बोलिए, कितने, कितने, कितने, किसको दिया है, चार करोड़ क्या, चार करोड़ क्या, चार करोड़ क्या, किसको दिया है। इस देश के गरीब परिवारों को चार करोड़ पक्का घर, आप कल्पना कर सकते हैं। छत्तीसगढ़ में जब तक रमन सिंह की सरकार थी, तो यहां भी हम तेज़ी से गरीबों के घर बना रहे थे। लेकिन जैसे ही यहां कांग्रेस की सरकार आई, तो उसमें घोटाले तलाशने लगे, कटकी कैसे करें, खोजने लगे। लेकिन मोदी ने ऐसा पक्का कर दिया है सीधा पैसा उस घर में जाता है। तो उनको बड़ी मुश्किल हो रही है, कुछ मिलता नहीं है तो काम क्यों करें। और ये क्या कर रहे हैं, मैं आपको बताना चाहता हूं। ये नहीं कर रहे हैं। मैं आज आपको एक वायदा करना चाहता हूं। यहां भाजपा सरकार बनने के बाद कैबिनेट का पहला फैसला, ये लिखकर रख लीजिए। भाजपा सरकार छत्तीसगढ़ में बनने के बाद पहला फैसला गरीबों के पक्के घर, जो भी बाकी है, सारे के सारे तेज गति से पूरे करके हर गरीब को पक्का घर दिया जाएगा।

मेरे परिवारजनों,
मोदी से कांग्रेस की ये नफरत इसलिए है क्योंकि उनको तकलीफ हो रही है कि पिछड़े समाज से आया हुआ ये इंसान प्रधानमंत्री कैसे बन गया। उनका तो आरक्षण था पीएम की कुर्सी पे। इसलिए वो मोदी के बहाने वो पूरे समाज को गाली देने से भी नहीं चूकते। कांग्रेस के नेताओं को लगता है कि इस समाज को गाली भी देंगे तो कुछ नहीं होगा। गरीब, दलित, आदिवासी, OBC सभी से कांग्रेस, नफरत करती है। कोर्ट सजा देती है, OBC को गाली देने के लिए सजा देती है। फिर भी सुधरने को तैयार नहीं है। OBC के लिए कितनी नफरत होगी इसका ये उदाहरण है। केंद्र में भाजपा सरकार बनी तो, दलित समाज से श्री रामनाथ कोविंद जी को हमने राष्ट्रपति पद का उम्मीदवार बनाया। कांग्रेस ने उनका भी विरोध किया। दूसरी बार सरकार बनी तो हमने भारत को पहली आदिवासी महिला राष्ट्रपति देने का फैसला किया। कांग्रेस ने आदिवासी बेटी का भी विरोध किया। ये विरोध वैचारिक नहीं था। अगर वैचारिक होता तो कांग्रेस अपनी विचारधारा के किसी नेता को मैदान में उतारती। लेकिन कांग्रेस ने बीजेपी के ही एक पुराने नेता को आदिवासी बेटी के विरोध में उम्मीदवार बनाया।

साथियों,
कांग्रेस, एससी समाज को कैसे अपमानित करती है, इसके बारे में गुरु बालदास जी प्रमुखता से आवाज़ उठाते रहे हैं। सतनामी समाज के साथ यहां कैसा बर्ताव हुआ है, ये भी सबने देखा है। ये कांग्रेस की पुरानी मानसिकता है। ये किसी भी दलित, पिछड़े या आदिवासी को आगे बढ़ता देख ही नहीं सकते। जो एक विशेष परिवार के दरबार में हाज़िरी लगाता है, इनके यहां वही आगे बढ़ पाता है।

मेरे परिवारजनों,
भाजपा के लिए सामाजिक न्याय, सबकी भागीदारी का, विकसित भारत के निर्माण का रास्ता है, हमारे पास पक्का रास्ता है। हाल में ही प्रधानमंत्री विश्वकर्मा योजना शुरु की गई है। 13 हज़ार करोड़ की ये योजना हमने अपने विश्वकर्मा परिवारों के जीवन को बेहतर बनाने के लिए बनाई है। इससे छत्तीसगढ़ के हमारे हज़ारों विश्वकर्मा साथियों को भी लाभ होगा। इस योजना से हमारे कुम्हार भाई-बहन, लोहार भाई-बहन, सुत्तार भाई-बहन, सुनार भाई-बहन, फूल की माला बनाने वाले मालाकार भाई-बहन, कपड़े धोने वाले परिवार, बाल काटने वाले परिवार, दर्जी परिवार, खिलौने बनाने वाले परिवार, राजमिस्त्री परिवार, ऐसे जो हमारे तमाम कारीगर हैं, शिल्पकार हैं, उनके लिए हजारों करोड़ की विश्वकर्मा योजना हमने बनाई है। इसके तहत सरकार ट्रेनिंग भी देगी। आधुनिक उपकरण खरीदने के लिए 15 हज़ार रुपए भी देगी। साथ ही, काम शुरु करने और आगे बढ़ाने के लिए लाखों रुपए का सस्ता ऋण भी उपलब्ध होगा। और हां, मैं अपने विश्वकर्मा साथियों को बता दूं कि आपसे बैंक गारंटी नहीं मांगेगा, मेरे विश्वकर्मा भाई मेरे शब्द सुन लीजिए, कोई बैंक आपसे गारंटी नहीं मांगेगा क्योंकि आपकी गारंटी मोदी ने पहले से ही लेके रखी हुई है।

साथियों,
छत्तीसगढ़, कांग्रेस के कुशासन को हटाने के लिए तैयार है। अब भाजपा कार्यकर्ताओं पर बहुत बड़ी जिम्मेदारी है। हमारा संगठन बहुत मजबूत है। छत्तीसगढ़ के बूथ-बूथ में हमारा नेटवर्क है। हमें अपना हर बूथ जीतना है, बूथ पर हर वोटर का दिल जीतना है। जब तक हर बूथ पर कमल नहीं खिलेगा, तब तक हम चैन से नहीं बैठेंगे। घर-घर जाएंगे, एक-एक मतदाता को मिलेंगे। हमारा एक ही नेता है कमल। हमारा एक ही उम्मीदवार है कमल। हमारा एक ही लक्ष्य है कमल को जिताना। इसी जोश के साथ हमें जुटना है और जन-जन को जोड़ना है। मैं फिर एक बार छत्तीसगढ़ भारतीय जनता पार्टी बधाई देता हूं। मैं आप सबका धन्यवाद करता हूं। मैंने ऐसी सभा, ऐसी ऊर्जावान सभा, आज मेरा मन गदगद हो गया दोस्तों। बहुत-बहुत धन्यवाद। मेरे साथ बोलिए-
भारत माता की जय ! भारत माता की जय ! भारत माता की जय !


भारत माता की जय ! भारत माता की जय ! वंदे ! वंदे ! वंदे ! वंदे ! वंदे ! वंदे ! वंदे ! भारत माता की जय ! भारत माता की जय ! भारत माता की जय ! बहुत-बहुत धन्यवाद।