It is time for appreciation, evaluation as well as introspection: PM Modi on Civil Services Day
Lives of people would transform when they are kept at the centre of decision making process: PM Modi
Strategic thinking is vital for success: PM Modi
Democracy is not any agreement, it is about participation: PM
Come, in 5 years till 2022, let us take inspiration from those who sacrificed their lives for our country's freedom and march towards building a New India: PM
Technology can become our additional strength, let's embrace it: PM

মঞ্চে উপস্থিত সকল সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং বিজ্ঞান ভবনে উপস্থিত সমস্ত আধিকারিকবৃন্দ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়মিত দৈনন্দিন প্রশাসনিক পরিষেবায় নেতৃত্ব প্রদানকারী অন্যান্য আধিকারিক ভদ্রমহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ। আপনাদের সবাইকে সিভিল সার্ভিস দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

 

আরেকবার আপনাদের সকলের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হ’ল। আজকের এই অনুষ্ঠান বেশ কয়েকটি দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। উৎসাহ প্রদান, মাননির্ধারণ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হ’ল অন্তর্দর্শন। আজ এটা ভাবার সময় এসেছে, বিগত দিনে আমরা যে সংকল্প গ্রহণ করেছিলাম, যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম, সে পথে আমরা কতটা এগিয়েছি, কতটা সফল হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষের জীবনে আমরা কতটা পরিবর্তন আনতে পেরেছি?

 

বন্ধুগণ, ব্যক্তি হোক কিংবা ব্যবস্থা, যতই সক্ষম কিংবা প্রভাবশালী হোক না কেন, ভালো কাজের জন্য নিরন্তর প্রেরণার প্রয়োজন রয়েছে। এই প্রেরণারই একটি মাধ্যম হ’ল পুরস্কার। প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার তেমনই একটি প্রচেষ্টা।

 

আজ এখানে অনেক আধিকারিক নিজের এলাকায় ভালো কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার পেয়েছেন। যাঁরা এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন, তাঁদের সকলকে আমি অনেক অভিনন্দন জানাই এবং ভবিষ্যতে এর থেকেও ভালো কাজ করার জন্য অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

 

বন্ধুগণ, প্রেরণার পাশাপাশি এই পুরস্কারের মাধ্যমে এ ধরণের ভালো কাজে বিস্তার ও ব্যাপকতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারের অগ্রাধিকারকে তুলে ধরে। এবার অগ্রাধিকার প্রোগ্রাম ও উদ্ভাবনের ক্যাটাগরিতেও পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অগ্রাধিকার প্রোগ্রামগুলির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা, দীনদয়াল উপাধ্যায় কৌশল বিকাশ যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং ডিজিটাল পেমেন্টস্‌ – এসব ক্ষেত্রে প্রচার ও প্রসারের জন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

 

যে প্রকল্পগুলির জন্য সম্মানিত করা হয়েছে, সেগুলি আমার নতুন ভারতের স্বপ্নকে সাকার করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অর্থ ব্যবস্থা ও সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের স্তরকে উন্নীত করতে তাঁদের ‘ইজ অফ লিভিং’-এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব ব্যাঙ্ক হোক কিংবা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সি ভারতে ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’-এর ক্ষেত্রে আবহ পরিবর্তনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা একথা ভুলতে পারব না যে আমাদের এত বড় প্রশাসনিক ফৌজ, এত বছরের অভিজ্ঞতা, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অগ্রজ আধিকারিকরা যা কিছু ভালো করে গেছেন! কিন্তু তারপরও সাধারণ মানুষ প্রতি মুহূর্তে সরকারের কাছ থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। তাঁরা নিরন্তর সংগ্রাম করেন এবং সরকারকে নিজেদের পাশে চায়, নিজেদের অধিকার অর্জনের জন্য তাঁরা ছটফট করতে থাকেন। এটাই ‘ইজ অফ লাইফ’-এর পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা।

 

আমরা যদি শুধু এটুকুই করে দিতে পারি যে, তাঁদেরকে নিজেদের অধিকারের জন্য হাত পাততে হবে না, তা হলেই দেখবেন ১২৫ কোটি মানুষের জীবনে যে পরিবর্তন আসবে, তা দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে বেশি সময় লাগবে না। আমাদের সেই শক্তিকে অনুভব করতে হবে; সেই সমস্ত ব্যবস্থা, নিয়ম-কানুন যদি আমরা মানুষকে কেন্দ্রে রেখে প্রয়োগ করি, তা হলে দেখতে দেখতে চোখের সামনে যে পরিবর্তন আসবে, তা আমাদের সন্তুষ্ট করে তুলবে। বাড়িতেও মায়ের চোখে ছেলে প্রতিদিন কিভাবে একটু একটু বড় হয়ে ওঠে, মা সেটা টের পান না। কিন্তু ছেলেটি দু-তিন বছর বাইরে কোথাও থেকে বাড়িতে ফিরে এলে মা তার থেকে চোখ সরাতে পারেন না। ছেলের বেড়ে দেখে আনন্দ পান।

তবে, আমাকে বলা হয়েছে যে, এই পুরস্কার পেয়ে আপনারা খুব খুশি। কিন্তু আমার খুশি হতে অনেক সময় লাগে। আমার মতে, আমরা কোনও কিছু পেয়ে সন্তুষ্ট হয়ে গেলে জীবন থেমে যায়। ভেতরের প্রাণশক্তি ফুরিয়ে যায়। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নতুন কিছু করার প্রচেষ্টাহীন, উৎসাহ ও উদ্দীপনাহীন জীবনকে আমি কখনই মহৎ বলে ভাবতে পারি না। এই পুরস্কার পাওয়ার পর আমাদের যে আধিকারিকরা অভিলাষী জেলাগুলিতে রয়েছেন, তাদেরকে এগিয়ে থাকা জেলাগুলির সঙ্গে, নিদেন পক্ষে তাঁদের রাজ্যে গড় উন্নয়নের সীমা পর্যন্ত নিজের জেলাকে তুলে আনার প্রচেষ্টা যাঁরা করবেন, আমি তাঁদেরকে স্বাগত জানাই। আর যাঁরা তা করবেন না, তাঁদের জন্য আমার মনে দুশ্চিন্তা হচ্ছে।

 

আমার মনে হয় না, জেলাস্তরে যে প্রশাসনিক আধিকারিকরা কাজ করছেন, তাঁদের বয়স খুব একটা বেশি কিংবা খুব বেশি সাংসারিক সমস্যায় জর্জরিত। সাধারণত, নবীন প্রাণশক্তিতে ভরপুর আধিকারিকরাই ঐ স্তরে কাজ করেন, তাঁদের সাহস করে নতুন কিছু করে দেখানোর স্পর্ধা থাকা উচিৎ এবং আমি চাই আপনারা পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকুন।

 

আমি চাইব যে, এবারের তালিকায় শেষ ২৫টি নাম যাঁদের রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে অগ্রজরা আলাদা করে কথা বলুন, তাঁদের সমস্যা বুঝুন। আমি কারও বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়ার পক্ষে নই। তাঁদের সমস্যা বুঝতে হবে, অঞ্চলের সমস্যা নাকি পারিবারিক সমস্যা – কিছু তো হবে! আমি মানতেই পারি না যে, আমাদের মদ্যে এমন কেউ হতে পারেন, যাঁরা কোনও কারণ ছাড়া পিছিয়ে পড়বেন। সাফল্যের ক্ষেত্রে প্রকল্পগুলির গুরুত্ব যতটা তার চেয়ে বেশি মানবিক স্পর্শের ভূমিকা রয়েছে। মানবিক স্পর্শ টিম স্পিরিট গড়ে তোলে। স্বপ্ন বাস্তবায়নের ইচ্ছাকে প্রবল করে তোলে। সেজন্য আমরা যাঁরা ভালো কাজ করেছেন, তাঁদেরকে পুরস্কৃত করেছি। কিন্তু যাঁরা পিছিয়ে রয়েছেন, তাঁদেরকে বেশি করে ভালোবাসা ও উৎসাহ দিয়ে, ভালো পরিবেশে ডেকে এনে বোঝার চেষ্টা করুন, কারণ এরা কেউ-ই নিষ্কর্মা নন, প্রত্যেকেই প্রাণশক্তিতে ভরপুর। প্রয়োজন শুধু তাঁদের প্রাণশক্তিকে ….

 

আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন বাড়িতে কোনও বাল্ব না জ্বললে আমাদের প্রথমেই মনে হয়, ওটা ফিউজ হয়ে গেছে। কিন্তু যাঁরা জানেন, তাঁরা বলেন, দাঁড়াও। তাঁরা আগে প্ল্যাগ ঠিক করেন, তারপরও যদি আলো না জ্বলে তখন বাল্বটিকে খুলে পরীক্ষা করেন। এই প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও কোনও প্রান্তিক অঞ্চলে বসে আমাদের কেউ, আমাদের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছন কি না, সেটাই আগে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। হয়তো সংযোগ স্থাপন করলেই তাঁর প্রাণশক্তি আবার বাল্বের মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠবে আর চারপাশকে আলোকিত করবে এবং অন্যের জীবনকে পরিবর্তিত করতে সক্ষম হয়ে উঠবে।

আজ এখানে আমার দুটো বই প্রকাশের সৌভাগ্য হয়েছে। যাঁরা প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁদের বিস্তারিত বিবরণ আর দ্বিতীয়টি হ’ল অভিলাষী জেলাগুলি সম্পর্কে। আমি যতটা জানি, এখন এখান থেকে বিপুল সংখ্যক আধিকারিকরা জেলায় যাচ্ছেন, একপ্রকার ক টু বেসিক মুভমেন্ট’ চলছে।

 

অনেকেই হয়তো ভাবেননি যে, এমন প্রধানমন্ত্রী আসবেন, যিনি এভাবে পেছনে পরে যাবেন। আমি দেখছি, প্রায় ১ হাজার জন আধিকারিক তেমন দূরদূরান্তের জেলাগুলি থেকে এসেছেন, যে জেলাগুলি সেই রাজ্যের গড় উন্নয়নের তুলনায় পিছিয়ে আছে। সবচেয়ে বড় কথা, তাঁরা কারও আদেশ পালন করতে এখানে আসেননি, অন্তর্প্রেরণা থেকে এসেছেন। আমার মনে হয়, এই অন্তর্প্রেরণাই এই অভিলাষী জেলাগুলিকে একদিন নেতৃত্ব প্রদানকারী ভূমিকা পালনে উন্নীত করবে। আপনারা দেখবেন, নির্দিষ্ট সময়সীমা ধার্য করে কাজ করলে  আগামী তিন বছরে এই ১১৫টি জেলা দেশের উন্নয়নে চালিকাশক্তি রূপে পরিগণিত হবে।

 

আর এই উন্নয়ন করতে হবে সমতা রক্ষা করে। আপনাকে ১০০-র লক্ষ্য দেওয়া হ’ল, তার মধ্যে আপনি ৮০টি বাস্তবায়নে সফল হলেন। কিন্তু সেই ৮০টি জেলার এক প্রান্তে করলেন, তা হলে হবে না।

 

আজ বাই-সাইকেলের দিন চলে গেছে, আগে আমরা যখন সাইকেল চালাতাম, হাওয়া ভরার একটা মিটার দিয়ে মাপতাম। কিন্তু কখনও দেখতাম যে, টিউবের কোনও একদিকে বেলুনের মতো ফুলে উঠেছে কিন্তু মিটারে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। এরকম এক জায়গায় ফুলে ওঠা টিউব দিয়ে সাইকেল চলতো না। উন্নয়নের ক্ষেত্রেও তেমনই এক জায়গায় কাজ হ’ল আর অন্য জায়গায় হ’ল না – এই বিষয়টি সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে।

 

আমরা চাইছি, ঐ ১১৫টি অভিলাষী জেলায় সমানভাবে উন্নয়ন যাত্রা এগিয়ে যাক, দেখবেন, দ্রুত পরিণাম আসবে। এই প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সকলের মনে একটি উৎসাহের সঞ্চার করবে। সেজন্য আমি মনে করি, শুধুমাত্র পরিসংখ্যান ঠিক রাখার জন্য আমাদের উন্নয়নের রেখাচিত্রকে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে কৌশলগত চিন্তাভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। এই কৌশলগত ভাবনাই মনকে যথাযথ পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত করে, অভজ্ঞতা সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, যাঁরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সবকিছু বিচার করতে পারেন, তারাই অধিক সফল হন। তখন আমাদের মনে হয়, এত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা কি আমার কাজ? আমি মানি যে, নেতার পক্ষে সবসময়ে সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা সম্ভব নয়। কিন্তু গোড়ার দিকে আপনারা যদি এটা করেন, তা হলে আপনার টিমে অন্যরাও এভাবে কাজ করতে অভ্যস্ত হবেন, তাঁদের এভাবে কাজ করার একটা অভ্যাস গড়ে উঠবে, স্বভাবে পরিণত হবে, যখন এই পরিবর্তন আপনি টের পাবেন, তখন থেকে আপনাকে আর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখতে হবে না, ব্যবস্থা নিজের গতিতে চলতে থাকবে।

 

রান্নার সময়ে কতটা নুন দিতে হবে, তা কি মায়েরা দাড়িপাল্লায় মেপে দেন! কোন খাবারে কতটা নুন দিতে হবে, সে সম্পর্কে একটা সময়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ অভ্যাসের অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁরা পরবর্তিকালে চোখ বন্ধ করে সঠিক মাপের নুন দিতে পারেন।

 

এই অভিলাষী জেলাগুলিকে আমাদের প্রত্যেক ক্ষেত্রে ওপরে তুলে আনতে হবে। কোনও একটি কিংবা দুটি বিষয়ে ভালো করে দেখালে হবে না। কিন্তু শুধুই সরকারি ব্যবস্থার মাধ্যমে যদি তা সম্ভব হ’ত, তা অনেক আগেই হয়ে যেত। এমনটা তো নয় যে, আপনাদের আগে ঐ জেলাগুলিতে কোনও যোগ্য আধিকারিক কাজ করেননি! এমনও হতে পারে যে, ঐ অভিলাষী জেলাগুলিতে কর্মজীবন শুরু করা আধিকারিকই আজ কোনও রাজ্যের মুখ্যসচিব। কাজেই আধিকারিকদের যোগ্যতার অভাবে কাজ হয়নি, একথা আমি কোনও সময়েই বলছি না।

ভারতের মতো দেশে সাফল্যের জন্য আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কোনও পাঁচ বছরের চুক্তি ব্যবস্থা নয়। এই পাঁচ বছরের চুক্তির ধারণা আমাদের এবং জনগণের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক। সেজনয এদেশের সাফল্যের ভিত্তি হওয়া উচিৎ গণঅংশীদারিত্ব। অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র। আপনাদের মধ্যে সকলেই জেলাস্তরে যখন কাজ করেছেন, কখনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় এলে কিভাবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করতে হয়েছে, সেকথা মনে করুন। তখন কিন্তু জনগণও নিজে থেকেই প্রশাসনের পাশে এসে দাঁড়ায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ গোটা সমাজকে প্রশাসনের পাশে এনে দাঁড় করিয়ে দেয় এবং সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করে আমরা সঙ্কট থেকে মুক্ত হই।

 

দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে মনে করা হয় যে, প্রশাসনে গণঅংশীদারিত্ব বৃদ্ধির মূল দায়িত্ব হ’ল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। এটা আমাদের ভুল ধারণা। তাঁদের যা করার তা তো তাঁরা করবেনই। কিন্তু আমরা যাঁরা শাসন ব্যবস্থায় রয়েছি, তাঁদেরকেও জনগণের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। এ ব্যাপারে আমি কিছু বললে ভাবা হবে যে, ২০১৯ সাল আসছে, এজন্য প্রধানমন্ত্রী তৎপর হয়েছেন আমাদের এখন ২৪ X ৭ ঘন্টা কাজ করতে হবে।

 

আপনারা জনগণের কাছে গেলে তাঁরা এমন ভাববেন না। তাঁরা ভাববেন, সাহেব আমাদের জন্য আমাদের জন্য এত পরিশ্রম করছেন, তিনি নিজে আমার এলাকায় এসেছেন, তাঁরা দ্রুত আপনার সঙ্গে যুক্ত হবেন এবং উন্নয়নের কাজে হাত লাগাবেন।

 

স্বাধীনতার আগে প্রশাসনের কাজ ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্য রক্ষা। কিন্তু স্বাধীনতার পর প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষাই হ’ল আপনাদের প্রধান কাজ। শুধু এই স্বপ্নটাই যদি আপনারা দেখতে পারেন, তা হলে যে আশা নিয়ে কাজ করতে এসেছেন, তা আপনাদের অবশ্যই সফল হবে। সেই স্বপ্ন হ’ল নতুন ভারতের স্বপ্ন। মহাত্মা গান্ধী যখন চম্পারণ সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তারপর দিনই কিন্তু স্বাধীনতা চলে আসেনি, আসা সম্ভবও ছিল না। কিন্তু মহাত্মা গান্ধী যদি আন্দোলনকারী নিয়মিত উৎসাহ না যুগিয়ে যেতেন, তা হলে দেশে আবালবৃদ্ধবনিতা সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্খা জাগাতে পারতেন না। তাঁদের স্বপ্ন সাকার করার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একদিন দেশকে স্বাধীন করে তুলেছিল।

আগামী ২০২২ সালে দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে এরচেয়ে বড় প্রেরণা আর কি হতে পারে! আমাদের পরিবারেও জন্মদিন কিংবা বিয়ের উৎসব পালনের জন্য আমরা অনেক আগে থেকেই একটু একটু করে প্রস্তুতি নিতে থাকি, যাতে সেই অনুষ্ঠান আমরা ধুমধাম করে পালন করতে পারি। দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও আমাদের এরকম প্রতিদিন যথাসম্ভব কাজ করে যেতে হবে।

যে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগ, তিতিক্ষা ও আত্মবলিদানের ফলে দেশ স্বাধীন হয়েছে, তাঁদের স্বপ্নের থেকে বড় প্রেরণা আর কিছু হতে পারে না। আসুন, আমরা যে স্বাধীনতা সংগ্রামীকেই ভালোবাসি না কেন, তাঁকেই স্মরণ করি এবং তাঁর প্রদর্শিত পথে এগিয়ে যাই। আমরা নতুন ভারতের সংকল্প নিয়ে কাজ করতে থাকলে একদিন নতুন ভারত গড়ে তোলার সৌভাগ্য আমাদের হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও তো আমাদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। তাদেরকে আমরা কেমন ব্যবস্থার মধ্যে রেখে যাব, তা নিয়ে ভাবতে হবে।

 

আমি গত ২০ বছর ধরে আপনাদের মধ্যেই লালিত পালিত হয়েছি। দীর্ঘকাল একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আমি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তার উৎস আপনারাই। আমার অভিজ্ঞতা থেকে অনুভব করেছি যে, পুরনো ব্যবস্থা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তাতে সময়ের সঙ্গে সংস্কারসাধন না করলে নতুন নতুন উদ্ভাবন সংযুক্ত না হলে আমাদের নির্ণয় প্রক্রিয়া দীর্ঘকাল অধিক ফলপ্রসূ হয় না। সৌভাগ্যক্রমে আজ প্রযুক্তি আমাদের অনেক দুর্বলতা দূর করে অতিরিক্ত শক্তি প্রদান করতে সক্ষম। সকল প্রক্রিয়াকে সরল করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।

 

আপনাদের হয়তো মনে আছে যে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবার যখন আপনাদের মধ্যে এসেছিলাম, তখন অনুরোধ করেছিলাম যে, মহাকাশ প্রযুক্তিকে কিভাবে বেশি করে আমাদের প্রশাসনের কাজে লাগানো হবে। আমি যুগ্মসচিব স্তরের আধিকারিকদের সপ্তাহান্তিক কাজ দিই, যাতে তাঁরা এই প্রক্রিয়া চালু রাখেন। এমন নয় যে, আমাদের আধিকারিকরা প্রযুক্তি বোঝেন না, কিন্তু তাঁরা প্রচলিত ব্যবস্থার পরিবর্তন করার চেষ্টা করেননি। ব্যক্তিগতভাবে যেসব প্রয়োগের কথা তাঁরা ভাবতেন, তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেত না।

 

এখন ধীরে ধীরে সবাই বুঝতে পারছেন যে, মহাকাশ প্রযুক্তিও মহাকাশ প্রযুক্তিও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যাঁরাই এ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেছেন এবং যোগ্য নবীন সঙ্গীদের সাহায্য নিয়েছেন তাঁরাই প্রশাসনিক ক্ষেত্রে দ্রুত সাফল্য পেয়েছেন।

 

আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে যে আধিকারিকরা ছিলেন, তাঁদের এই সৌভাগ্য হয়নি। আমরা সৌভাগ্যবান, সেজন্য নিজেদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রসারের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে যত বেশি সম্ভব ব্যবহার করা যায়, তা করতে হবে। এটাই সময়ের চাহিদা। একটা সময়ে অনেক আওয়াজ শোনা যেত, ‘একবিংশ শতাব্দী আসছে – একবিংশ শতাব্দী আসছে’। আজ যাঁরা অগ্রজ আধিকারিক তাঁরা সেই সময়ে হয়তো নতুন চাকরিতে ঢুকেছেন, তখন একটি কার্টুন খুব বিখ্যাত হয়েছিল। এক ভদ্রলোক রেলের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আর দূর থেকে ট্রেন আসছে। তখন কেউ লোকটিকে ধরে বলেন, আরে ভাই তোর ছোটার প্রয়োজন নেই, সে তো আসছেই। অর্থাৎ ‘একবিংশ শতাব্দী আসছে’। আজ সেই একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকও প্রায় সম্পূর্ণ হতে চলেছে। আমরা কি আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে, আমাদের ব্যবস্থাগুলিকে সেই একবিংশ শতাব্দীর অনুকূল করে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি?

 

আজ আপনাদের সামনে বিস্তারিতভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কথা বলা হয়েছে, এ বিষয়ে কথা বললে আজ অনেকেরই অবস্থা চালকহীন গাড়িতে সফর করার মতো হয়ে ওঠে। বিশ্ব অনেক বদলে গেছে। আমরা যতই বিশেষজ্ঞ ভাড়া করে আনি না কেন, নিজেদের ব্যবস্থাকে যদি মুক্ত মনে নিতে না পারি, তা হলে ঐ বিশারদরাই বা কি ভাববেন, আর সফলই বা কেমন করে হবেন?

আজ বিশ্বে উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হ’ল প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে না পারা।

 

বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তি বিপ্লবে ভারতের বড় অবদান রয়েছে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে, সেই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত বিশ্ব নিজের মতো উদ্ভাবনে যতটা এগিয়ে গেছে, আমরা কিন্তু ততটা পারিনি।

 

আমাদের যা কিছু শ্রেষ্ঠ শুধু তারই গুণগান করে বসে থাকলে চলবে না! বিগত ২০০ বছরে প্রযুক্তি মানবজাতির ওপর যতটা প্রভাব সৃষ্টি করেছে, তারচেয়ে অনেক বেশি বিগত ৪০ বছরে করেছে। আর আমি মনে করি, সাধারণ মানুষের জীবনে ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতেই এই প্রযুক্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।

 

যে কোনও সরকারের সাফল্যের পেছনে, ….. আমার ঠিক মনে নেই, কোথায় বলেছিলাম, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই কোনও অনুষ্ঠানে আমি কখনও বলেছিলাম, ন্যূনতম সরকার, অধিকতম প্রশাসন। আপনাদের আজকের এই পুরস্কারের পেছনে সরকারের কোন বিভাগ রয়েছে, যারা এই ন্যূনতম সরকার অধিকতম প্রশাসনের কল্পনাকে বাস্তবায়িত করছে।

 

হিন্দু ধর্মশাস্ত্রগুলিতে বলা হয়েছে যে, চার ধাম যাত্রা করলে মোক্ষলাভ করা যায়। কিন্তু সরকারে আমি দেখেছি, ৩২টি যাত্রার পরও ফাইলের মোক্ষলাভ হয় না। আমি নিজের জীবনে ‘শর্ট কাট’-এ বিশ্বাস করি না। আপনাদের হয়তো রেল সফরের বেশি সুযোগ হয় না। কিন্তু আমার জীবনের অনেকটা সময়েই রেল লাইনের ধারে কেটেছে। লোকে যাতে রেল লাইনের ওপর দিয়ে যাতায়াত না করে, সেজন্য সেখানে লেখা থাকত, ‘শর্ট কাট উইল কার্ট ইউ শর্ট’! কিন্তু প্রশাসনের ক্ষেত্রে কি আমরা প্রত্যেক ফাইলে প্রত্যেকের সিল ও সই করার পদ্ধতিকে সরল করতে পারি না!

 

হোয়াটস অ্যাপ এবং এসএমএস-এর যুগ এসে গেছে। কিন্তু আমরা দুপুরে বাড়িতে এসএমএস করে জানালাম যে, রাতে দু-জন খেতে আসবেন আবার ৫টার সময় ফোন করে জিজ্ঞেস করি যে, আমার এসএমএস পেয়েছিলে। এভাবেই প্রযুক্তি ও ব্যবস্থার ওপর ভরসা না করে আমরা অনেক বেশি সময় ও শক্তি অপচয় করি।

 

এই সিভিল সার্ভিস দিবসে আমাদের অন্তর্তদন্তে প্রয়োজন রয়েছে যে, আমরা কাজের গতিতে উন্নত বিশ্বের তুলনায় অনেক বেশি পিছিয়ে রয়েছি কি না? যে কাজ ২০৩০ সালের মধ্যে করে ফেলব ভাবছি, ভাবতে ভাবতে সে কাজ ২০৭০-এ গড়াবে না তো!

 

আপনারা কল্পনা করতে পারেন, অভিলাষী জেলাগুলির আজ যে অবস্থা, আমরা সঠিকভাবে কাজ না করলে বিশ্বের নজরে গোটা দেশকেই না একদিন জেলাগুলির মতো পশ্চাদপদ করে তুলি। অথচ, এদেশ সম্ভাবনাপূর্ণ। শক্তি-সামর্থ্যে টইটুম্বুর। জনগণ নতুন সবকিছুকে স্বীকার করে নিতে প্রস্তুত। পরিবর্তিত পরিস্থিতির বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার শক্তিও রাখে এই দেশ। আমরা কি তাঁদের সুযোগ্য নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত? আমরা কি কেবল ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে চলছি, নাকি সাধারণ মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার প্রেরণা নিয়ে এগিয়ে চলেছি? শুধুই ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে চললেই প্রত্যেক মাসের ১ তারিখে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতনের টাকা জমা হওয়া নিশ্চিত, কিন্তু সাধারণ মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার প্রেরণা নিয়ে এগিয়ে গেলে আমাদের জীবনে প্রতিটি মুহূর্ত সন্তুষ্টিতে ভরে উঠবে এবং সেই সন্তোষ প্রজন্ম থেক প্রজন্মান্তরে সঞ্চারিত হবে। আমাদের মনে এই প্রত্যয় থাকলে আমি মনে করি, আমরা দেশকে অনেক কিছু দিতে পারব।

সেজন্য আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ যে, আপনাদের কারও হয়তো দুই থেকে পাঁচ-দশ বছর চাকরি বাকি আবার কারও ছ’মাস থেকে এক বছর বাকি। আপনাদের একজন সাথী হিসাবে আমি আশ্বস্ত করছি যে, আর প্রযুক্তির মাধ্যমে দূরদূরান্তে বসে থাকা আমার যে নবীন বন্ধুরা আমার কথা শুনছেন, তাঁদেরকেও বলছি, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার আগে সরকার কি করেছে, কিভাবে করেছে – সেগুলি নিয়ে আমি বাঁচি না। আমি সাধারণ মানুষের ভালো চাই। আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চাই। শুরুতে যখন মুসৌরি আসার সুযোগ হয়েছিল, কথা ছিল যে, আমি আসব, ভাষণ দেব আর চলে যাব। আমি বললাম, না। আমি যাব এবং তাঁদের সঙ্গে থাকব। ভারতে ২০ শতাংশ জেলার দায়িত্ব যাঁদের হাতে আগামী তিন বছরের জন্য তুলে দেওয়া হচ্ছে, আমি দেখতে চাই যে, তাঁদের মনে কেমন প্রাণশক্তি রয়েছে, কেমন স্বপ্ন নিয়ে তাঁরা বাঁচে! আর শুনলে খুশি হবেন যে, আমি সেখান থেকে নিজে প্রাণশক্তিতে ভরপুর হয়ে ফিরে এসেছি। কারণ, এঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন অতুলনীয় প্রাণচঞ্চল।

 

এভাবেই আমি কাজের প্রস্তুতি নিই। সেজন্য আপনাদের একজন সঙ্গী হিসাবে কাজ করতে চাই। নির্বাচনের জন্য নয়, একসঙ্গে মিলেমিশে দেশের জন্য কাজ করতে চাই। দেশের শাসন ব্যবস্থায় আমার ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা সত্বেও আমি একবারও কাউকে টেলিফোন করে কাজের নির্দেশ দিইনি – এটাই আমার জীবনের বৈশিষ্ট্য। কারণ, দেশের উন্নয়ন ছাড়া আমার জীবনে আর কোনও স্বপ্ন নেই। ১২৫ কোটি ভারতবাসীর জীবনে পরিবর্তন আনা ছাড়া আমার আর কোনও ইচ্ছা নেই। এ যাবৎ আমি যেখানে যে ব্যবস্থায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, শুধুই এই একটি ভাব নিয়ে নিজেকে সমর্পণ করেছি। সেজন্য আমি বলছি বন্ধুরা আমার জীবনে আপনারা অসামান্য মানুষ, সামর্থবান, অভিজ্ঞতার ঐতিহ্য রয়েছে! আপনাদের এই শক্তি, সামর্থ, স্বপ্নকে আমি আপন করে নিয়ে ১২৫ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্নকে নিজের চোখের সামনে বাস্তবায়িত হতে দেখে যেতে চাই।

 

এই আশা রেখে আজ আপনাদের এই সিভিল সার্ভিস দিবসকে সঠিক অর্থে দেশের সাধারণ মানুষের উদ্দেশে সমর্পণ করছি। আপনারাও তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলুন। ২০২২ সালের মধ্যে ভারতের আশা-আকাঙ্খাগুলিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার অগ্রদূত হয়ে উঠুন। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India's financial ecosystem booms, to become $1 trillion digital economy by 2028

Media Coverage

India's financial ecosystem booms, to become $1 trillion digital economy by 2028
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Cabinet approves and announces Productivity Linked Bonus (PLB) for 78 days to railway employees
October 03, 2024

In recognition of the excellent performance by the Railway staff, the Union Cabinet chaired by the Prime Minister Shri Narendra Modi has approved payment of PLB of 78 days for Rs. 2028.57 crore to 11,72,240 railway employees.

The amount will be paid to various categories, of Railway staff like Track maintainers, Loco Pilots, Train Managers (Guards), Station Masters, Supervisors, Technicians, Technician Helpers, Pointsman, Ministerial staff and other Group C staff. The payment of PLB acts as an incentive to motivate the railway employees for working towards improvement in the performance of the Railways.

Payment of PLB to eligible railway employees is made each year before the Durga Puja/ Dusshera holidays. This year also, PLB amount equivalent to 78 days' wages is being paid to about 11.72 lakh non-gazetted Railway employees.

The maximum amount payable per eligible railway employee is Rs.17,951/- for 78 days. The above amount will be paid to various categories, of Railway staff like Track maintainers, Loco Pilots, Train Managers (Guards), Station Masters, Supervisors, Technicians, Technician Helpers, Pointsman, Ministerial staff and other Group 'C staff.

The performance of Railways in the year 2023-2024 was very good. Railways loaded a record cargo of 1588 Million Tonnes and carried nearly 6.7 Billion Passengers.

Many factors contributed to this record performance. These include improvement in infrastructure due to infusion of record Capex by the Government in Railways, efficiency in operations and better technology etc.