শেয়ার
 
Comments

 

বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

এত সকাল সকাল, এত বড় জনসমুদ্র! আমি ভাবতেও পারিনি! চারপাশে শুধু মানুষ আরমানুষ দেখতে পাচ্ছি! আমি সবার আগে আপনাদের সবার কাছে ক্ষমা চাইছি, কারণ আমরা যেআয়োজন করেছিলাম, তাতে ত্রুটি থেকে গেছে, অনেকে রোদে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁদের কষ্টহচ্ছে, তা সত্ত্বেও তাঁরা আশীর্বাদ জানাতে এসেছেন! আমি তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি,তাঁদের কাছে ক্ষমতা চাইছি। কিন্তু যাঁরা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁদেরকেআশ্বস্ত করছি যে, তাপে আপনারা উত্তপ্ত হচ্ছেন, আপনাদের এই তপস্যা কখনও বেকার হতেদেব না।

ভাই ও বোনেরা, আমি উত্তর প্রদেশ সরকারকে, বিশেষ করে উত্তর প্রদেশেরমুখ্যমন্ত্রীকে হৃদয় থেকে অনেক অভিনন্দন জানাই। কারণ, আজ তাঁরা একটি পশুধন আরোগ্যমেলার আয়োজন করেছেন। আর এই পশুধন আরোগ্য মেলায় গিয়ে দেখি বিভিন্ন স্থান থেকে ১৭০০গবাদি পশুকে এখানে আনা হয়েছে। আর সেই পশুগুলির চিকিৎসার জন্য অনেক বিশেষজ্ঞচিকিৎসক এসেছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, উত্তর প্রদেশ সরকার যেভাবে চেষ্টা করেছে,এবার তারা গোটা রাজ্যে এই মেলার আয়োজন করবে। রাজ্য সরকার গরিব কৃষকদের কথাভেবেছেন, যাঁরা পশুর লালন-পালনেও দ্বিধার শিকার ছিলেন, অনেকে আর্থিক দুরবস্থারকারণে চিকিৎসা করাতে পারেন না, এ ধরনের কৃষকরা এই পশুধন আরোগ্য সেবার ফলে অনেকউপকৃত হবেন।

আর আমরা জানি যে, কৃষির ক্ষেত্রে আমাদের কৃষকদের আয়ে সর্বাধিক সাহায্য করেপশুপালন আর দুগ্ধ উৎপাদন। আর সেজন্য পশুপালন এবং দুগ্ধ উৎপাদনের মাধ্যমে আমাদেরপশুধন আরোগ্য মেলার মাধ্যমে আগামীদিনে গ্রাম, গরিব, কৃষক, আমাদের পশুপালক; তাঁদেরজন্য উত্তম পরিষেবার আয়োজন করা হবে। এ কাজের জন্য আমি উত্তর প্রদেশ সরকারকে হৃদয়থেকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

 

ভাই ও বোনেরা, রাজনীতির স্বভাব হ’ল যে, এক্ষেত্রে সেই কাজকেই পছন্দ করা হয়,যাতে বেশি ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ভাই ও বোনেরা, আমরা ভিন্ন সংস্কারেলালিত-পালিত। আমাদের চরিত্র আলাদা। আমাদের জন্য দল থেকে দেশ বড়। সেজন্য আমাদেরঅগ্রাধিকার ভোটের হিসাবে নির্ধারিত হয় না।

আজ এই পশুধন মেলা – সেইসব পশুদের সেবা করছে, যারা কখনও ভোট দেবে না। এরাকারও ভোটার নয়। আর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত বিগত ৭০ বছরে পশুধনেরহিতে এ ধরনের অভিযান কখনও চালানো হয়নি। আরোগ্য সেবার ফলে পশুপালনে একটি সুবিধাহবে, একটি নতুন ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

আজ আমাদের দেশ দুগ্ধ উৎপাদনে অনেক এগিয়ে। কিন্তু বিশ্বে পশু প্রতি যতটা দুধপাওয়া যায়, সেই তুলনায় আমাদের এখানে অনেক কম দুধ পাওয়া যায়। আর সেজন্য পশুপালনব্যয়সাপেক্ষ হয়ে পড়ে। আমরা যদি পশুপ্রতি দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারি, তা হলে আমারবিশ্বাস, আমাদের কৃষকদের পশুপালনে রুচি বৃদ্ধি পাবে আর দুগ্ধ উৎপাদনের মাধ্যমেদেশে একটি নতুন আর্থিক বিপ্লবও জন্ম নেবে।

ভাই ও বোনেরা, আমার জন্ম গুজরাটে, আমার কর্মক্ষেত্রও ছিল গুজরাট, আর আমি দেখেছিযে, সেখানে সহকারি আন্দোলনের মাধ্যমে দুগ্ধ উৎপাদনে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা সেরাজ্যের কৃষকদের জীবনে একটি নতুন শক্তির যোগান দিয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে,লক্ষ্ণৌ-কানপুর এলাকায় গুজরাট থেকে আসা বনাস ডেয়ারি কৃষকদের কাছ থেকে দুধ কেনাশুরু করেছে। আর সেজন্য আগে কৃষকরা যে দরে দুধ বেচতেন এখন তার দ্বিগুণ দরে দুধবিক্রি করতে পারছেন। আমাকে বলা হয়েছে যে, আগামীদিনে কাশী এলাকার কৃষকদের কাছ থেকেওএই বনাস ডেয়ারি দুধ কেনা শুরু করবে।

আমার বিশ্বাস, এই অঞ্চলে বনাস ডেয়ারি তাদের কাজ শুরু করলে, কার দুধে কতটা‘ফ্যাট’ আছে, সেই ভিত্তিতে কেনা শুরু করলে কাশী অঞ্চলের কৃষকরা এখন থেকে অনেক বেশিদামে বিক্রি করতে পারবেন। এতে তাঁদের আয় বাড়বে। কৃষক-পশুপালক ও দুগ্ধ উৎপাদকদেরস্বার্থে গুজরাট সরকারের সাহায্যে বনাস ডেয়ারির সাহায্যে উত্তর প্রদেশ সরকার এই যেঅভিযান শুরু করেছে, সেজন্য আমি উত্তর প্রদেশ সরকার এবং এ রাজ্যের কৃষকদের শুভেচ্ছাজানাই।

ভাই ও বোনেরা, ২০২২ সালে ভারতে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হবে। দেশেরস্বাধীনতা সংগ্রামীরা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেগুলিকে সম্পূর্ণ রূপে বাস্তবায়িতকরতে আমাদের সকলকে শপথ নিতে হবে। পাঁচ বছরের জন্য সেই শপথ বাস্তবায়িত করতে,নিজেদের শক্তি ও সময়ের সদ্ব্যবহার করতে হবে। ভারতে ১২৫ কোটি জনসাধারণ যদি সংকল্পবাস্তবায়নে এক পা করে এগিয়ে যান, তা হলে দেশ ১২৫ কোটি পা এগিয়ে যাবে।

ভাই ও বোনেরা, আমাদের সংকল্প হ’ল ২০২২ সালের মধ্যে আমরা কৃষকদের আয় দ্বিগুণকরব। আর সেজন্য পশুপালন একটি উপায়, আধুনিক কৃষিপদ্ধতি আরেকটি উপায়। মৃত্তিকাস্বাস্থ্য কার্ডের মাধ্যমে নিয়মিত চাষের জমির গুণবত্তা খতিয়ে দেখলে কৃষকরা লাভবানহবেন। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

উত্তর প্রদেশে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর কৃষকরা যেভাবে দ্রুতগতিতেমৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ড পাচ্ছেন, তা থেকে আগামীদিনে তাঁরা অত্যন্ত উপকৃত হবেন!

একই রকমভাবে আমাদের মধ্যে কেউই নোংরা থাকা পছন্দ করি না। এমন কোনও মানুষনেই যিনি নোংরাকে ঘৃণা করেন না। কিন্তু পরিচ্ছন্নতা যে আমাদের দায়িত্ব, এই স্বভাবআমাদের দেশে গড়ে ওঠেনি। আমরা নোংরা করব, অন্য কেউ পরিষ্কার করবেন; আমাদের এইমানসিকতার পরিণাম হ’ল, আমাদের ভারত’কে যতটা পরিচ্ছন্ন করে রাখা উচিৎ, আমাদেরগ্রামগুলিকে যতটা পরিচ্ছন্ন করে রাখা উচিৎ, আমাদের শহরগুলিকে যতটা পরিচ্ছন্ন করেরাখা উচিৎ; আমরা রাখতে পারছি না! আপনাদের মধ্যে কেউ একথা অস্বীকার করতে পারবেন নাযে পরিচ্ছন্নতা, প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব, প্রত্যেক পরিবারের দায়িত্ব। পরিছন্নথাকলে শুধু গ্রাম কিংবা পাড়াকে দেখতে ভালো লাগবে তাই নয়, পরিচ্ছন্নতা আমাদের সুস্থথাকার জন্যও অত্যন্ত জরুরি। এমন অনেক রোগের প্রকোপ ক্রমবর্ধমান – যেগুলিঅপরিচ্ছন্নতা থেকে জন্মে নেয়।

সম্প্রতি ইউনিসেফ ভারতের ১০ হাজার পরিবারের মধ্যে সমীক্ষা চালায়। শৌচাগারনির্মাণ নিয়ে সমীক্ষা চালায়। গতকাল আমি একটি খবরের কাগজে পড়েছি যে, ইউনিসেফ-এরপ্রতিনিধি বলেছেন, বাড়িতে শৌচাগার থাকলে বছরে গড়ে ৫০ হাজার টাকা চিকিৎসার খরচবাঁচে। আজ এখনও পাশের গ্রামে আমার একটি শৌচাগার নির্মাণের কাজে হাত লাগানোড়সৌভাগ্য হয়েছে। সেই গ্রামের মানুষ ঠিক করেছেন যে, আগামী ২ অক্টোবরের মধ্যে তাঁদেরগ্রামকে ‘খোলা মাঠে প্রাতকৃত্য মুক্ত’ গ্রাম করে গড়ে তুলবেন।

তাঁরা সংকল্প নিয়েছেন যে, ২ অক্টোবরের পর গ্রামের কেউ আর খোলা মাঠেপ্রাকৃতিক কর্ম করতে যাবে না। আমি খুশি যে, নবরাত্রির এই পবিত্র উৎসবে আমার শৌচালয়নির্মাণে ইঁট গাঁথার সৌভাগ্য হয়েছে; আমার জন্য এটাও একটা পুজো। পরিচ্ছন্নতা আমারজন্য পুজো, পরিচ্ছন্নতা আমাদের দেশের গরিবদের রোগমুক্ত রাখবে। পরিচ্ছন্নতা দরিদ্রপরিবারের নিরাময়ের খরচ সাশ্রয় করবে। গরিবদের ভালোর জন্য আমাদের শুরু করা অভিযানেযাঁরাই সঙ্গ দিচ্ছেন, আমি তাঁদের শুভেচ্ছা জানাই।

যে গ্রামে আমি শৌচালয় নির্মাণে হাত লাগাতে গিয়েছিলাম, সেই গ্রামের মানুষশৌচালয়ের নাম দিয়েছেন ‘ইজ্জত ঘর’। শুনে খুবই আনন্দ পেয়েছি। শৌচালয় তো সত্যি সত্যিইএকটি ইজ্জত ঘর, বিশেষ করে মা-বোন-কন্যাদের জন্য ইজ্জত ঘর। আর যাঁর বাড়িতে ইজ্জত ঘরআছে, সেই বাড়িরও ইজ্জত আছে। যে গ্রামের প্রতি বাড়িতে ইজ্জত ঘর আছে, সেই গ্রামেরওইজ্জত আছে। এই নামকরণের জন্য আমি আপনাদের ও উত্তর প্রদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।আপনারা শৌচালয়ের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন। এই ইজ্জত ঘর নাম আগামীদিনেও ইজ্জত রক্ষারজন্য জাগ্রত থাকবে। আমার বিশ্বাস, যাঁর ইজ্জত রক্ষার চিন্তা আছে, সে ইজ্জত ঘরনির্মাণ করবে এবং সেটা ব্যবহার করবে।

ভাই ও বোনেরা, আমাদের দেশে আজও এমন কোটি কোটি পরিবার আছে, যাঁদের থাকারজন্য নিজস্ব বাড়ি নেই, নিজস্ব ছাদ নেই। তাঁরা এমন শোচনীয়ভাবে দিন কাটান, যা কোনওমানুষের পক্ষে বেমানান। ভাই ও বোনেরা, সেই গরিব ভাই ও বোনেদের যাতে দ্রুত মাথারওপর নিজস্ব ছাদ হয়, তা সুনিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

আর সেজন্য ভাই ও বোনেরা, আমরা একটি প্রকল্প শুরু করেছি। আমি জানি যে, সেটাঅনেক কঠিন কাজ। কিন্তু মুশকিল কাজ, মোদী না করলে কে করবেন?

আমরা ঠিক করেছি যে, ২০২২ সালে দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগেই ভারতেরপ্রত্যেক গরিবের মাথার ওপর ছাদ সুনিশ্চিত করব। সেই গরিব শহরবাসী হন কিংবা গ্রামের –যাঁর ঘর নেই তিনি ঘর পাবেন। আর যখন ইউরোপের অনেক দেশের মোট জনসংখ্যারও বেশিমানুষের জন্য বাড়ি তৈরি হবে, সেজন্য ইঁট, সিমেন্ট, লোহা, কাঠ লাগবে। নতুন নতুনমানুষের কর্মসংস্থান হবে। মিস্ত্রীরা কাজ পাবেন।

আজ আমি খুশি। আগে উত্তর প্রদেশে যে সরকার ছিল, তাদের আমরা দিল্লি থেকেচিঠির পর চিঠি পাঠিয়েছি, আপনাদের রাজ্যে কতজন মানুষের মাথার ওপর ছাদ নেই – তারতালিকা দিন। কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্প গড়ে তুলতে চাইছে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতেহচ্ছে যে, বিগত সরকার গৃহহীনদের ঘর নির্মাণের জন্য কোনও ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। আমরাঅনেক চাপ দেওয়ার পর, অনেক দেরী ১০ হাজার মানুষের একটি তালিকা তাঁরা পাঠিয়েছিলেন।কিন্তু যোগীজি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর দ্রুত কাজ শুরু হয়, আর তিনি কেন্দ্রীয়সরকারের কাছে লক্ষ লক্ষ গৃহহীন মানুষের তালিকা পাঠান। শুধু তাই নয়, যাঁদের বাড়িতৈরি হবে, তাঁদের জন্য অর্থ প্রদানের সৌভাগ্য আজ আমার হয়েছে।

ভাই ও বোনেরা, পরিচ্ছন্নতা থেকে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছনো, বিদ্যালয়গুলিতেশৌচাগার নির্মাণ, গ্রামগুলিকে খোলা মাঠে প্রাতঃকৃত্য মুক্ত করা, প্রত্যেক বাড়িতেবিদ্যুৎ ও পানীয় জল সরবরাহ – ইত্যাদি কাজের প্রতি আমাদের দেশ উদাসীন ছিল।

আমার গ্রাম ও গরিব কৃষকের জীবনে পরিবর্তন আসবে, মধ্যবিত্তের জীবনে পরিবর্তনআসবে, আমরা যেমন দেশ গড়তে চাই – তেমনই হবে! কিন্তু তার প্রথম শর্ত হ’ল – মধ্যবিত্তপরিবারগুলির সাহায্য চাই। তাঁদের জীবনে পরিবর্তন আসুক।

ভাই ও বোনেরা, গতকাল বারাণসীতে পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক বেশ কিছু প্রকল্পউদ্বোধনের সৌভাগ্য হয়েছে। প্রায় ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে এত বড় ‘স্যুয়েজট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ গড়ে উঠেছে যে কুড়ি বছর পর বেনারসের যত বিকাশ ও বিস্তার হোকনা কেন, এই ব্যবস্থা অপ্রতুল হবে না। এত বড় কাজ আমরা হাতে নিয়েছি।

আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিয়েছি। বর্জ্য থেকে সম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে কাজকরছি। আমরা হিসাব করে দেখেছি যে, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেই এই অঞ্চলের ৪০হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। আমরা এলইডি বাল্বের অভিযান শুরুকরেছি। আধিকারিকরা হিসেব করে জানিয়েছেন, শুধু কাশীতেই এই অভিযানে অংশগ্রহণ করে যতমানুষ বাড়িতে এলইডি বাল্ব লাগিয়েছেন, তাতে এক বছরে মানুষের বিদ্যুতের বিলে সাশ্রয়হবে ১২৫ কোটি টাকা। সাধারণ মানুষের সাশ্রয় হবে। কারও ৫০০ টাকা, কারও ১,০০০ টাকাআবার কারও ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় হবে, আর গোটা শহরের সাশ্রয় হবে প্রায় ১২৫কোটি টাকা। এভাবে আমরা দারিদ্র্য ও মধ্যবিত্ত মানুষকে অধিক পরিষেবা প্রদানেরপাশাপাশি সাশ্রয়ের ব্যবস্থা করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।

শুধু তাই নয়, কাশীর স্ট্রিট লাইটগুলি বদলে এলইডি করায় ইতিমধ্যেই আমরাবিদ্যুতের বিল থেকে ১৩ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পেরেছি। কাশী নগর নিগমের ১৩ কোটিটাকা সাশ্রয় হয়েছে। এই টাকা তাঁরা শহরের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারবেন। সহজ উপায়,শুধু পুরনো বাল্ব খুলে নতুন বাল্ব লাগিয়ে দিয়েছেন, আর নাগরিকদের ১৩ কোটি টাকাসাশ্রয় – ভাবতে পারছেন?

ভাই ও বোনেরা, কালো টাকা, দুর্নীতি ও বেইমানির বিরুদ্ধে আমি বড় লড়াই শুরুকরেছি। এই বেইমানদের লুটতরাজ বন্ধ করতে পারলে তবেই সাধারণ সৎ মানুষের জীবন সহজহবে। আমাদের এই লড়াইয়ের এ যাবৎ সাফল্য ইতিমধ্যেই উৎসবের রূপ ধারণ করছে। যেভাবেজিএসটি’র সঙ্গে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যুক্ত হচ্ছেন, যেভাবে আধার-এর সঙ্গে যুক্তহচ্ছেন; ফলস্বরূপ জনগণের এক এক টাকার হিসাব হচ্ছে, মাঝখান থেকে দালালরা যে টাকাখেয়ে যেত – তা বন্ধ হচ্ছে। এই সংস্কার কর্ম দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আর সেজন্য আমারভাই ও বোনেরা, এখানকার গ্রাম, গরিব আর কৃষকদের উন্নয়নে, আমাদের শহরগুলির উন্নয়নেএকটি মাত্র মন্ত্র নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। আপনারা এত বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত হয়ে আমাকেআশীর্বাদ জানিয়েছেন, আমি হৃদয় থেকে আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাই।

এই সংসদীয় ক্ষেত্র থেকে আপনারা মহেন্দ্র পান্ডেজি’কে নির্বাচিত করে যেউৎসাহ ও উদ্দীপনা প্রদর্শন করেছেন, তার জন্য আমি হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমিআরেকবার যোগী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলির সাফল্য কামনা করি, ছ’মাসের মধ্যেতিনি উত্তর প্রদেশের জনজীবনে পরিবর্তন আনতে পেরেছেন। সাফল্যের সঙ্গে এগিয়েযাচ্ছেন। তাকে আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা, অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

আমার সঙ্গে জোরে বলুন – ভারতমাতা কী – জয়

সমস্ত শক্তি দিয়ে বলুন – ভারতমাতা কী – জয়

ভারতমাতা কী – জয়

ভারতমাতা কী – জয়

ভারতমাতা কী – জয়

ভারতমাতা কী – জয়

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

Explore More
৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতির উদ্দেশে ভাষণের বঙ্গানুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতির উদ্দেশে ভাষণের বঙ্গানুবাদ
9 Years of PM Modi: 9 farmer welfare schemes introduced by Modi Govt

Media Coverage

9 Years of PM Modi: 9 farmer welfare schemes introduced by Modi Govt
...

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to flag off Goa’s first Vande Bharat Express on 3rd June
June 02, 2023
শেয়ার
 
Comments
This will be 19th Vande Bharat train in the country
Vande Bharat will cover journey between Mumbai and Goa in approximately seven and half hours; saving about one hour of journey time as compared to the current fastest train in the route
Train to provide world class experience to passengers and provide boost to tourism

Prime Minister Shri Narendra Modi will flag off Goa’s first Vande Bharat Express from Madgaon railway station, on 3rd June at 10:30 AM via video conferencing.

Realising Prime Minister’s vision of ‘Make in India’ and Aatmanirbhar Bharat, the state-of-the-art Vande Bharat Express will improve the connectivity in the Mumbai - Goa route and provide the people of the region the means to travel with speed and comfort. The train will be the 19th Vande Bharat train to run in the country.

The train will run between Mumbai's Chhatrapati Shivaji Maharaj Terminus and Goa’s Madgaon station. It will cover the journey in approximately seven and half hours which will help save about one hour of journey time, when compared with the current fastest train connecting the two places.

The indigenously made train, equipped with world class amenities and advanced safety features including KAVACH technology, will also boost tourism in both states.