আজ, আমরা – অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানেস, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন - একটি মুক্ত ও স্বাধীন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থিতিশীল পরিস্থিতি ফিরিয়ে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার জন্য টোকিওতে সমবেত হয়েছি।

মাত্র এক বছর আগে এই নেতৃবৃন্দ প্রথমবার মিলিত হয়েছিলেন। আজ টোকিওতে আমরা চতুর্থ বৈঠকের জন্য এবং ব্যক্তিগতভাবে দ্বিতীয় বৈঠকের বিষয়ে আহ্বান জানাচ্ছি। একটি গভীর বিশ্ব পর্যায়ের সঙ্কটের মুহূর্তে কোয়াড হল অনুকূল শক্তি, যা এই অঞ্চলের বাস্তব সুবিধা ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের সহযোগিতার প্রথম বছরে, আমরা একটি ইতিবাচক এবং ব্যবহারিক এজেন্ডা নিয়ে কোয়াড প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের দ্বিতীয় বছরে আমরা এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে বদ্ধপরিকর। একুশ শতকে এই অঞ্চলটি আরও স্থিতিশীল হয়ে উঠবে।

কোভিড-১৯ মহামারীর জেরে এখনও বিশ্বজুড়ে মানবিক ও অর্থনৈতিক যন্ত্রণা, দেশগুলির মধ্যে একতরফা পদক্ষেপের প্রবণতা এবং ইউক্রেনে একটি মর্মান্তিক যুদ্ধের পরিস্থিতির মাঝেও আমরা অবিচল রয়েছি। আমরা দৃঢ়ভাবে স্বাধীনতা, আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা, হুমকি বা বলপ্রয়োগ ছাড়াই যেকোনো সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান, স্থিতাবস্থা পরিবর্তনে কোনো একতরফা প্রচেষ্টা না করা, নৌ চলাচল ও বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয়ের নীতিগুলিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন জানায়। এগুলি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য ও বিশ্বের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। আমরা এই নীতিগুলিকে এই অঞ্চলে এবং এর বাইরেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একসঙ্গে সিদ্ধান্তগ্রহণ করব। আমরা আন্তর্জাতিক নিয়মভিত্তিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমাদের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করছি, যাতে দেশগুলিতে সমস্ত ধরণের সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বলপ্রয়োগ থেকে মুক্ত থাকে।

শান্তি ও স্থিরতা

আমরা ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং চলতি দুঃখজনক মানবিক সঙ্কটের বিষয়ে আমাদের নিজ নিজ প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এর প্রভাব মূল্যায়ন করেছি। কোয়াড নেতৃত্বরা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিরতা বজায় রাখতে আমাদের দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে জানিয়েছি যে, আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার কেন্দ্রবিন্দু হল আন্তর্জাতিক আইন, রাষ্ট্রসংঘের সনদ, সমস্ত দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান। আমরা জোর দিয়েছি যে, সব দেশকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে হবে।

কোয়াড এই অঞ্চলের অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আশিয়ান ঐক্য এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আশিয়ান দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তব রূপায়ণের জন্য দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনরায় জানাচ্ছি। আমরা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সহযোগিতার জন্য ইইউ কৌশল সম্পর্কিত বিষয়ে ইইউ-এর যৌথ যোগাযোগকে স্বাগত জানাই, যা ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ঘোষণা করা হয়েছিল। আমরা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চ্যাম্পিয়ন হবো। আমরা দৃঢ়ভাবে যেকোনো দমনপীড়নমূলক, উস্কানি বা একতরফা পদক্ষেপ যা স্থিতিবস্থাকে অস্থির করতে চায় এবং এলাকায় উত্তেজনা বাড়াতে চায়, এমন ধরণের সমস্ত কর্মকাণ্ডের দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা করছি।

ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে আমরা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপ রাষ্ট্রগুলিতে আমাদের সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চাই, যাতে তাদের আর্থিক উন্নতি, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও পরিবেশগত স্থিতিবস্থা জোরদার হয় এবং তাদের সমুদ্র সীমা নিরাপদ থাকে। এতে তাদের মৎস্য চাষের উন্নতিসাধন সম্ভব হবে, সু্স্থায়ী পরিকাঠামো গড়ে উঠবে, শিক্ষাগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন রোধ সম্ভবপর হবে। এই উদ্যোগ নেওয়ার ফলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপ রাষ্ট্রে এক জোটে এই সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে আমরা প্যাসিফিক আইল্যান্ড ফোরাম ঐক্যের ডাক এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিকাঠামোর প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি।

নিজেদের মধ্যে এবং আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে রাষ্ট্রসংঘ সহ বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা আরও জোরদার করে তুলব। ব্যক্তিগত এবং একত্রিতভাবে আমরা সময় মতো সমস্যা মোকাবিলা করব। আমরা কোরিয় উপদ্বীপের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করছি। আমরা উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও উৎক্ষেপরণের বিষয়ে নিন্দা জানাই। আমরা উত্তর কোরিয়াকে ইউএনএসসিআর-এর আওতায় সমস্ত বাধ্যবাধকা মেনে চলা, উস্কানি দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা মায়ানমারের সঙ্কটের বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে মায়ানমারে হিংসার অবসান, বিদেশী সহ সকল রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি, গঠনমূলক আলোচনা এবং গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছি। মায়ানমারে সমাধান খোঁজার জন্য আশিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির নেতৃত্বের প্রচেষ্টার প্রতি আমাদের সমর্থন পু্নর্ব্যক্ত করছি। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সন্ত্রাস ও হিংসার নিন্দা জানাই। যারা সন্ত্রাসকে ব্যবহার করতে চায়, তাদেরও নিন্দা জানাই। সন্ত্রাস গোষ্ঠীগুলি যাতে কোনোভাবেই আর্থিক বা সামরিক সহায়তা না পায় তার উপরেও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। আমরা ২৬/১১ মুম্বাই এবং পাঠানকোট হামলা সহ সন্ত্রাস হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আফগান ভূখণ্ডকে যাতে আর কখনো কোনো দেশক হুমকি বা আক্রমণ বা সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় বা প্রশিক্ষণ বা হামলার পরিকল্পনা বা আর্থিক সাহায্যের জন্য ব্যবহার না করতে পারে, তার উপর জোর দিয়েছি। একই সঙ্গে আমরা এফএটিএফ-এর সুপারিশের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার উপর জোর দিচ্ছি। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা সন্ত্রাস গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সমন্বিত ব্যবস্থা নিতে হবে।

কোভিড-১৯ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য নিরাপত্তা

দুই বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বে কোভিড-১৯-এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। সাধারণ মানুষ, স্বাস্থ্য কর্মী, ব্যবস্থাপনা ও অর্থনীতিতেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি উন্নত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী প্রয়াসের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য টিকা, পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং অন্য চিকিৎসায় সরঞ্জাম সংগ্রহের উপর জোর দিয়ে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মিলিত প্রয়াসের বিষয়ে প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করছি। এখনও পর্যন্ত কোয়াড অংশীদারেরা সম্মিলিতভাবে কোভ্যাক্স এএমসি-তে প্রায় ৫.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কমপক্ষে ২৬৫ মিলিয়ন ডোজ সহ মোট ৬৭০ মিলিয়নেরও বেশি ডোজ সরবরাহ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ টিকা সরবরাহের উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ সহ নিরাপদ, কার্যকরী, সাশ্রয়ী মূল্যে কোভিড-১৯ টিকা সরবরাহের বিষয় সুনিশ্চিত করেছি। কোয়াড টিকা অংশীদারিত্বের আওতায় ভারতে জৈবিক ই সুবিধায় জনসন অ্যান জনসন (জেঅ্যান্ডজে) টিকা উৎপাদন সম্প্রসারণের অগ্রগতিকে স্বাগত জানায়। এর ফলে কোভিড-১৯ –এর বিরুদ্ধে দীর্ঘ মেয়াদী লড়াইয়ে সুবিধা মিলবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু অনুমোদিত ভারতের তৈরি টিকা কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ডকে অনুদান হিসেবে দিয়েছে কোয়াড। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে দ্বিতীয় বিশ্ব কোভিড-১৯ শীর্ষ সম্মেলনকে স্বাগত জানাই। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও মহামারীর বিরুদ্ধে শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তুলবে। এর জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন।

পরিকাঠামো

আমরা পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করার জন্য আমাদের অঙ্গীকারের কথা পুনরায় জানাচ্ছি। এতে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমৃদ্ধি বাড়বে। আমরা ঋণ সমস্যা মোকাবিলা ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি ভাগ করে নিচ্ছি। কোয়াড আগামী ৫ বছরে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের পরিকাঠামো সহায়তা ও বিনিয়োগ বাড়াতে চায়। আমরা জি২০ কমন ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় ঋণ সংক্রান্ত সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় দেশগুলির ক্ষমতা জোরদার করার বিষয়ে কাজ চালাব। কোয়াড নেতৃ্ত্বের বৈঠকের ফাঁকে ৪টি দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলির বৈঠকের বিষকেও স্বাগত জানাই। আঞ্চলিক ও ডিজিটাল সংযোগ, স্বচ্ছ শক্তি, জ্বালানি সম্পর্কিত সুবিধা ক্ষেত্র সহ জলবায়ু মোকাবিলার মতো একাধিক বিষয়ে আমরা কাজ চালিয়ে যাব।

জলবায়ু

সাম্প্রতিক আইপিসিসি প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। আমরা প্যারিস চুক্তিকে দৃঢ়ভাবে বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজ আমরা “কোয়াড ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপ্টেশন অ্যান্ড মিটিগেশন প্যাকেজ” চালু করেছি। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জলবায়ু সংক্রান্ত যে কর্মসূচি রয়েছে তা প্রসারিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপ রাষ্ট্রগুলিতে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়েও সহমত পোষণ করেছি। ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্য নামিয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছি। আইন পাস করার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষেয় শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ান সরকারের প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানাই।

সাইবার নিরাপত্তা

অত্যাধুনিক সাইবার হুমকির সঙ্গে একটি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বিশ্বে আমরা সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য সম্মিলিত পদ্ধতির বিষয়ে জরুরি প্রয়োজনের কথা স্বীকার করেছি। আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোর উন্নতিসাধনে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোয়াড সাইবার নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের আওতায় ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি সহযোগিতা ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির কর্মসূচির বিষয়ে কাজ চালাবে।

সঙ্কটপূর্ণ এবং উদীয়মান প্রযুক্তি

কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ এবং উদীয়মান প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। ফাইভজি-র ক্ষেত্রে এবং ফাইভজি-র বাইরে টেলি যোগাযোগ সরবরাহের বৈচিত্র্যের উপর প্রস্তাবকে স্বাগত জানানো হয়েছে। আমরা বিশ্ব পর্যায়ে সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ শৃঙ্খলে কোয়াডের ক্ষমতা এবং দুর্বলতার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেছি। আন্তর্জাতিক টেলি কমিউনিকেশন ইউনিয়নের টেলি কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন ব্যুরোর অগ্রগতি এবং নতুন ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডস কো-অপারেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সহযোগিতা জোরদার করার আশা রাখছি।

কোয়াড গোষ্ঠী

আমরা স্বীকার করেছি যে, মানুষের সঙ্গে মানুষের বন্ধন হল কোয়াডের ভিত্তি। কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিতে এসটিইএম ক্ষেত্রে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের জন্য প্রতি বছর আমাদের দেশ থেকে ১০০ জন ছাত্র আমেরিকায় যাবে।

মহাকাশ

মহাকাশ সম্পর্কিত অ্যাপ্লিকেশন এবং প্রযুক্তিগুলি জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এবং মহাসাগর ও সামুদ্রিক সম্পদের সুস্থায়ী ব্যবহারের মতো একাধিক সমস্যাগুলির মোকাবিলায় অবদান রাখতে পারে। আমরা মহাকাশ ভিত্তিক সিভিল আর্থ অবজারভেশন ডেটা ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা চালাবো। এর পাশাপাশি মহাকাশ ক্ষেত্রে সুস্থায়ী ব্যবহারের জন্য নিয়ম নীতি, নির্দেশিকা ও পরামর্শগুলি প্রসারিত করব।

উপকূলবর্তী এলাকায় সচেতনতা এবং এইচএডিআর

উপকূলবর্তী অঞ্চলে সচেতনতার উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। উপকূলবর্তী অঞ্চলের সচেতনতার জন্য ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অংশীদারিত্ব মানবিক ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সাহায্য করেছে। চলতি বছরের তেসরা মার্চ ভার্চুয়াল বৈঠকের পরে আমরা আজ ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় ত্রাণ’-এর জন্য কোয়াড অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেছি। এই অংশীদারিত্ব সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে কার্যকরীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করে সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।

পরিসমাপ্তি

আজ, একটি মুক্ত ও স্বাধীন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য একটি যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমরা আবারও মৌলিক মূল্যবোধ এবং নীতিগুলির গুরুত্বের উপর জোর দিচ্ছি। এই অঞ্চলে কার্যকরি ফলাফলের জন্য নিরন্তর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়া আয়োজিত আমাদের পরবর্তী ব্যক্তিগত শীর্ষ সম্মেলনের বিষয়ে সহমত পোষণ করেছি।

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Make in India Electronics: Cos create 1.33 million job as PLI scheme boosts smartphone manufacturing & exports

Media Coverage

Make in India Electronics: Cos create 1.33 million job as PLI scheme boosts smartphone manufacturing & exports
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister pays homage to Sri Guru Gobind Singh Ji on sacred Parkash Utsav
December 27, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi paid homage to Sri Guru Gobind Singh Ji on the occasion of sacred Parkash Utsav, today. Shri Modi stated that he remains an embodiment of courage, compassion and sacrifice. "His life and teachings inspire us to stand for truth, justice, righteousness and to protect human dignity. Sri Guru Gobind Singh Ji’s vision continues to guide generations towards service and selfless duty" Shri Modi said.

The Prime Minister posted on X:

"On the sacred Parkash Utsav of Sri Guru Gobind Singh Ji, we bow in reverence to him. He remains an embodiment of courage, compassion and sacrifice. His life and teachings inspire us to stand for truth, justice, righteousness and to protect human dignity. Sri Guru Gobind Singh Ji’s vision continues to guide generations towards service and selfless duty.

Here are pictures from my visit to the Takhat Sri Harimandir Ji Patna Sahib earlier this year, where I also had Darshan of the Holy Jore Sahib of Sri Guru Gobind Singh Ji and Mata Sahib Kaur Ji."

"ਸ੍ਰੀ ਗੁਰੂ ਗੋਬਿੰਦ ਸਿੰਘ ਜੀ ਦੇ ਪਵਿੱਤਰ ਪ੍ਰਕਾਸ਼ ਉਤਸਵ 'ਤੇ ਅਸੀਂ ਉਨ੍ਹਾਂ ਨੂੰ ਸ਼ਰਧਾ ਸਹਿਤ ਪ੍ਰਣਾਮ ਕਰਦੇ ਹਾਂ। ਉਹ ਹਿੰਮਤ, ਹਮਦਰਦੀ ਅਤੇ ਕੁਰਬਾਨੀ ਦੇ ਪ੍ਰਤੀਕ ਹਨ।ਉਨ੍ਹਾਂ ਦਾ ਜੀਵਨ ਅਤੇ ਸਿੱਖਿਆਵਾਂ ਸਾਨੂੰ ਸੱਚ, ਨਿਆਂ, ਧਰਮ ਲਈ ਖੜ੍ਹੇ ਹੋਣ ਅਤੇ ਮਨੁੱਖੀ ਮਾਣ-ਸਨਮਾਨ ਦੀ ਰਾਖੀ ਲਈ ਪ੍ਰੇਰਿਤ ਕਰਦੀਆਂ ਹਨ। ਸ੍ਰੀ ਗੁਰੂ ਗੋਬਿੰਦ ਸਿੰਘ ਜੀ ਦਾ ਦ੍ਰਿਸ਼ਟੀਕੋਣ ਪੀੜ੍ਹੀਆਂ ਨੂੰ ਸੇਵਾ ਅਤੇ ਨਿਰਸਵਾਰਥ ਕਰਤੱਵ ਦੇ ਰਾਹ 'ਤੇ ਰਹਿਨੁਮਾਈ ਕਰਦਾ ਰਹਿੰਦਾ ਹੈ।

ਇਸ ਸਾਲ ਦੀ ਸ਼ੁਰੂਆਤ ਵਿੱਚ ਤਖ਼ਤ ਸ੍ਰੀ ਹਰਿਮੰਦਰ ਜੀ ਪਟਨਾ ਸਾਹਿਬ ਦੀ ਮੇਰੀ ਯਾਤਰਾ ਦੀਆਂ ਇੱਥੇ ਤਸਵੀਰਾਂ ਹਨ, ਜਿੱਥੇ ਮੈਨੂੰ ਸ੍ਰੀ ਗੁਰੂ ਗੋਬਿੰਦ ਸਿੰਘ ਜੀ ਅਤੇ ਮਾਤਾ ਸਾਹਿਬ ਕੌਰ ਜੀ ਦੇ ਪਵਿੱਤਰ ਜੋੜਾ ਸਾਹਿਬ ਦੇ ਦਰਸ਼ਨ ਵੀ ਹੋਏ ਸਨ।"