আমাদের সংবিধানের প্রণেতা বাবা সাহেব আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকী হওয়ায়, আজকের দিনটি আমাদের সকলের জন্য, সমগ্র দেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন: প্রধানমন্ত্রী
হরিয়ানা থেকে অযোধ্যা ধাম পর্যন্ত বিমান পরিষেবা শুরু হয়েছে আজ, অর্থাৎ এখন হরিয়ানার শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র ভূমি সরাসরি ভগবান রাম নগরীর সঙ্গে সংযুক্ত: প্রধানমন্ত্রী
একদিকে, আমাদের সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে উপর জোর দিচ্ছে অন্যদিকে, আমরা দরিদ্রদের কল্যাণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করছি: প্রধানমন্ত্রী

বিমান ভ্রমণকে নিরাপদ,  ব্যয় সাশ্রয়ী এবং সকলের জন্য সহজলভ্য করে তোলার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ হরিয়ানার হিসারে ৪১০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের মহারাজা অগ্রসেন বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। সমাবেশে ভাষনে তিনি হরিয়ানার জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। হরিয়ানার জনগণের শক্তি, ক্রীড়ানুরাগ এবং ভ্রাতৃত্ববোধকে রাজ্যের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসেবে স্বীকৃতি দেন। ফসলের মরশুমে এই ব্যস্ততার মধ্যে এই বিশাল সমাবেশের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শ্রী মোদী।

প্রধানমন্ত্রী গুরু জাম্বেশ্বর, মহারাজা অগ্রসেন এবং পবিত্র অগ্রোহ ধামকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। তিনি হরিয়ানার, বিশেষ করে হিসারের প্রতি তাঁর  স্মরণীয় স্মৃতি ভাগ করে নেন। তাঁর দল যখন তাঁকে রাজ্যের দায়িত্ব অর্পণ করেছিল তখন অনেক সহকর্মীর সঙ্গে হরিয়ানায় ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সময়কার স্মৃতি স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি হরিয়ানায় দলের ভিত্তি শক্তিশালী করার জন্য সহকর্মীদের নিষ্ঠা এবং প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। তিনি একটি উন্নত হরিয়ানা এবং একটি উন্নত ভারতের লক্ষ্যে তাঁর দলের প্রতিশ্রুতির প্রতি গর্ব প্রকাশ করেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ সমগ্র জাতির জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ এটি সংবিধানের প্রণেতা বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকী”। তিনি বলেন,  বাবাসাহেবের জীবন, সংগ্রাম এবং বার্তা তাঁর সরকারের ১১ বছরের যাত্রার ভিত্তিপ্রস্তর। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রতিটি নীতি এবং সরকারের প্রতিটি দিন বাবাসাহেবের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি নিবেদিত। তিনি সুবিধা থেকে বঞ্চিত, নিপীড়িত, শোষিত, দরিদ্র, আদিবাসী সম্প্রদায় এবং মহিলাদের জীবন উন্নত করার এবং তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন যে এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য তাদের সরকারের মন্ত্র হল ধারাবাহিক এবং দ্রুত উন্নয়ন।

শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র ভূমি এবং ভগবান রাম নগরীর মধ্যে সরাসরি সংযোগের প্রতীক হরিয়ানা থেকে অযোধ্যা ধাম পর্যন্ত বিমান চলাচলের শুরুর উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে যে শীঘ্রই অন্যান্য শহরে বিমান চলাচল শুরু হবে। তিনি হিসার বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা তুলে ধরেন। এই গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকের জন্য তিনি হরিয়ানার জনগণকে অভিনন্দন জানান।

চটি পরা ব্যক্তিরাও বিমানে চড়বেন, এই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে শ্রী মোদী বলেন, গত ১০ বছরে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় প্রথমবারের মতো বিমান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, যেসব এলাকায় আগে যথাযথ রেলওয়ে স্টেশন ছিল না, সেখানেও নতুন বিমানবন্দর তৈরি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, ২০১৪ সালের আগে ভারতে ৭৪টি বিমানবন্দর ছিল,কিন্তু বর্তমানে বিমানবন্দরের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়ে গেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, উড়ান প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৯০টি বিমানবন্দর সংযুক্ত করা হয়েছে, ৬০০টিরও বেশি রুট চালু রয়েছে। এর ফলে অনেকের জন্য ব্যয়সাশ্রয়ী মূল্যে বিমান ভ্রমণ সম্ভব হয়েছে। এর ফলে বার্ষিক বিমান ভ্রমণকারীদের সংখ্যা রেকর্ড সংখ্যক বেড়েছে বলে শ্রী মোদী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে, বিভিন্ন বিমান সংস্থা ২০০০টি নতুন বিমানের রেকর্ড অর্ডার দিয়েছে, যা পাইলট, বিমান পরিষেবা প্রদানকারী এবং অন্যান্য পরিষেবা প্রদানকারীদের জন্য অসংখ্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "হিসার বিমানবন্দর হরিয়ানার যুবসমাজের আকাঙ্ক্ষাকে উন্নীত করবে, তাদের নতুন সুযোগ এবং স্বপ্ন প্রদান করবে"।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকার দরিদ্রদের কল্যাণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি যোগাযোগের উপর জোর দিচ্ছে।” তিনি বাবাসাহেব আম্বেদকরের প্রতি আচরণের জন্য কংগ্রেস দলের সমালোচনা করে বলেন যে, তিনি জীবিত থাকাকালীন তারা তাকে অপমান করেছে, দুবার তার নির্বাচনী পরাজয়ের পরিকল্পনা করেছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। শ্রী মোদী বলেন যে, বাবাসাহেবের মৃত্যুর পর, দলটি তার উত্তরাধিকার মুছে ফেলার এবং তার ধারণাগুলিকে দমন করার চেষ্টা করেছে। তিনি উল্লেখ করেন যে ডঃ আম্বেদকর সংবিধানের রক্ষক ছিলেন, অথচ কংগ্রেস এর ধ্বংসকারী হয়ে ওঠে। তিনি বলেন যে ডঃ আম্বেদকর সাম্যের পক্ষে থাকলেও, কংগ্রেস দেশে ভোট-ব্যাংক রাজনীতির ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে।

শ্রী মোদী  বলেন  যে বাবাসাহেব আম্বেদকর প্রতিটি দরিদ্র এবং প্রান্তিক ব্যক্তির জন্য মর্যাদাপূর্ণ জীবনের স্বপ্ন দেখেছিলেন, এবং তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে সক্ষম করেছিলেন। তিনি পূর্ববর্তী সরকারের দীর্ঘ কার্যকালের মেয়াদে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেনীর জনগণের সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে আচরণ করার সমালোচনা করেন।  তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও, মাত্র ১৬% গ্রামীণ পরিবারের কাছে নলের জলের সংযোগ ছিল, যার ফলে তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের জনগণের উপর অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাব পড়েছে। তিনি জানান যে গত ৬-৭ বছরে, তাদের সরকার ১২ কোটিরও বেশি গ্রামীণ পরিবারে নলবাহিত পানীয়  জলের সংযোগ প্রদান করেছে। যার ফলে ৮০% গ্রামীণ বাড়িতে এই সুবিধা পৌঁছেছে। বাবাসাহেবের আশীর্বাদে,  দেশের প্রতিটি বাড়িতে নল বাহিত জল পৌঁছে যাবে বলে তিন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি শৌচাগারের অভাবের বিষয়টিও তুলে ধরেন। শ্রী মোদী ১১ কোটিরও বেশি শৌচাগার নির্মাণের জন্য সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন পূর্ববর্তী সরকারের শাসনকালে, এসসি, এসটি এবং ওবিসি সম্প্রদায়গুলি উল্লেখযোগ্যভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল, এমনকি ব্যাংকে প্রবেশাধিকারও ছিল একটি দূরবর্তী স্বপ্ন,। তিনি বলেন যে বীমা, ঋণ এবং আর্থিক সহায়তা তাদের জন্য কেবল আকাঙ্ক্ষা ছিল।  কিন্তু বর্তমানে সরকারের অধীনে, জন ধন অ্যাকাউন্টের সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হলেন এসসি, এসটি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষ একথা গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

শ্রী মোদী কংগ্রেস দলের আরও সমালোচনা করে বলেন,  যে তারা পবিত্র সংবিধানকে ক্ষমতা অর্জনের জন্য কেবল একটি হাতিয়ারে পরিণত করেছে। তিনি বলেন যে যখনই তারা ক্ষমতার সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল, তখনই এটি সংবিধানকে ভেঙে দিয়েছে। তিনি জরুরি অবস্থার কথা তুলে ধরেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে সংবিধানের মূল কথা হল সকলের জন্য অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিশ্চিত করা, কিন্তু তৎকালীন সরকার কখনও তা বাস্তবায়ন করেনি। তিনি উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়নের বিরোধিতার কথা উল্লেখ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন,  যে সংবিধানে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু কংগ্রেস তা তুষ্টিকরণের হাতিয়ারে পরিণত করেছে। তিনি কর্ণাটকের বর্তমান সরকার  যেভাবে ধর্মীয় ভিত্তিতে সরকারি টেন্ডারে সংরক্ষণ প্রদান করছে সেই সংক্রান্ত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলি তুলে ধরে। তিনি বলেন, বিধান এই ধরণের বিধান অনুমোদন করে না। তিনি বলেন যে তুষ্টিকরণ নীতিগুলি মুসলিম সম্প্রদায়ের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করেছে, কেবলমাত্র কয়েকজন চরমপন্থীকে উপকৃত করেছে এবং সমাজের বাকি অংশকে অবহেলিত, অশিক্ষিত এবং দরিদ্র করে রেখেছে। তিনি পূর্ববর্তী সরকারের ত্রুটিপূর্ণ নীতির সবচেয়ে বড় প্রমাণ হিসাবে ওয়াকফ আইনের প্রতি ইঙ্গিত করেন। তিনি বলেন যে ২০১৩ সালে, নির্বাচনের কয়েক মাস আগে, কংগ্রেস তাদের ভোট ব্যাংককে তুষ্ট করার জন্য ওয়াকফ আইন সংশোধন করে, এটিকে বেশ কয়েকটি সাংবিধানিক বিধানের উপরে তুলে ধরে।

কংগ্রেস মুসলিমদের কল্যাণের জন্য কাজ করার দাবি করলেও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর সমালোচনা করে শ্রী মোদী বলেন, দল যদি সত্যিই মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি যত্নশীল হতো, তাহলে তারা একজন মুসলিমকে তাদের দলের সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করত অথবা তাদের টিকিটের ৫০% মুসলিম প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ করত। তিনি বলেন যে, তাদের উদ্দেশ্য কখনোই মুসলিমদের প্রকৃত কল্যাণের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ  ছিল না। দরিদ্র, দুস্থ নারী ও শিশুদের উপকারের জন্য ওয়াকফের আওতায় থাকা বিশাল জমি মুষ্টিমেয় ভূমি মাফিয়াদের দ্বারা শোষিত হচ্ছে একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে এই মাফিয়ারা দলিত, অনগ্রসর শ্রেণী এবং উপজাতিদের জমি দখল করছে। তিনি বলেন যে ওয়াকফ আইনের সংশোধনী এই ধরনের শোষণের অবসান ঘটাবে। সংশোধিত আইনে একটি উল্লেখযোগ্য নতুন বিধানের উপর জোর দিয়ে শ্রী মোদী বলেন, এই বিধানে নিশ্চিত করা হয়েছে যে ওয়াকফ বোর্ডগুলি উপজাতিদের জমিতে হাত দিতে পারবে না। তিনি এটিকে উপজাতিদের স্বার্থ রক্ষার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যে নতুন বিধানগুলি ওয়াকফের পবিত্রতাকে সম্মান করবে, দরিদ্র ও মুসলিম পরিবার, মহিলা এবং শিশুদের অধিকার সমানভাবে বজায় রাখবে। তিনি বলেন যে এটি সংবিধানের প্রকৃত চেতনা এবং প্রকৃত সামাজিক ন্যায়বিচারকে প্রতিফলিত করে।

 

বাবাসাহেব আম্বেদকরের উত্তরাধিকারকে সম্মান জানাতে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে ২০১৪ সাল থেকে সরকারের গৃহীত অসংখ্য পদক্ষেপের উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ভারতে এবং বিদেশে বাবাসাহেবের সঙ্গে সম্পর্কিত স্থানগুলি বছরের পর বছর ধরে অবহেলিত ছিল। তিনি বলেন, যে মুম্বাইয়ের ইন্দু মিলে বাবাসাহেবের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্যও মানুষকে প্রতিবাদ করতে হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে তাদের সরকার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিকে উন্নত করেছে। যার মধ্যে মহোতে বাবাসাহেবের জন্মস্থান, লন্ডনে তাঁর শিক্ষাস্থল, দিল্লিতে তাঁর মহাপরিনির্বাণ স্থল এবং নাগপুরে তাঁর দীক্ষাভূমি-কে "পঞ্চতীর্থ"-এ রূপান্তরিত করা হয়েছে। তিনি সম্প্রতি বাবাসাহেবকে শ্রদ্ধা জানাতে দীক্ষাভূমি পরিদর্শনের কথা স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের সমালোচনা করে বলেন, তারা সামাজিক ন্যায়বিচারের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে  দাবি করলেও বাস্তবে তারা বাবাসাহেব এবং চৌধুরী চরণ সিংহকে তাদের শাসনকালে ভারতরত্ন প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি গর্বের  সঙ্গে বলেন যে, কেন্দ্রে বিজেপি-সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীনই বাবাসাহেবকে ভারতরত্ন প্রদান করা হয়েছিল, এবং তাদের দলই ক্ষমতায় থাকাকালীন চৌধুরী চরণ সিংহকে ভারতরত্ন প্রদান করেছিল।

দরিদ্রদের জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার এবং কল্যাণের পথকে ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য হরিয়ানা সরকারের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী পূর্ববর্তী সরকারের আমলে  হরিয়ানায় সরকারি চাকরির ভয়াবহ অবস্থার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন হরিয়ানাত পূর্ববর্তী সরকারের আমলে জনগণককে চাকরীর জন্য রাজনৈতিক সংযোগের উপর নির্ভর করতে হত অথবা পারিবারিক সম্পত্তি বিক্রি করে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হত। তিনি মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনির সরকারের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।  তিনি ঘুষ বা সুপারিশ ছাড়াই চাকরি প্রদানের ক্ষেত্রে হরিয়ানার অসাধারণ সাফল্যের প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে পূর্ববর্তী সরকারগুলি হরিয়ানার ২৫,০০০ যুবককে সরকারি চাকরি পেতে বাধা দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে, মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই যোগ্য প্রার্থীদের হাজার হাজার নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়েছিল। তিনি এটিকে তাদের সুশাসনের উদাহরণ হিসাবে বর্ণনা করেন এবং আগামী বছরগুলিতে হাজার হাজার নতুন চাকরি তৈরির জন্য সরকারের পথদিশার প্রশংসা করেন।

দেশের উন্নয়নে হরিয়ানার উল্লেখযোগ্য অবদান, সশস্ত্র বাহিনীতে বিপুল সংখ্যক যুবকের কর্মসংস্থানের কথা তুলে ধরে শ্রী মোদী এক পদ এক পেনশন (ও আর ও পি) প্রকল্প সম্পর্কে কয়েক দশক ধরে প্রতারণার জন্য পূর্ববর্তী সরকারগুলির সমালোচনা করেন এবং জোর দিয়ে বলেন যে তার সরকারই ও আর ও পি বাস্তবায়ন করেছে। তিনি জানান যে ও আর ও পি -এর আওতায় হরিয়ানার প্রাক্তন সৈনিকদের জন্য ১৩,৫০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।তিনি উল্লেখ করেন যে পূর্ববর্তী সরকার এই প্রকল্পের জন্য মাত্র ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল, যা দেশের সৈনিকদের বিভ্রান্ত করেছিল। তিনি মন্তব্য করেন যে পূর্ববর্তী সরকার কখনও দলিত, অনগ্রসর শ্রেণী বা সৈনিকদের বাস্তব অর্থে সমর্থন করেনি।

 

উন্নত ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে হরিয়ানার ভূমিকার প্রতি আস্থা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলা বা কৃষিক্ষেত্রে রাজ্যের বিশ্বব্যাপী প্রভাবের প্রশংসা করেন। তিনি হরিয়ানার যুবসমাজের প্রতি তার আস্থা প্রকাশ করেন এবং নতুন বিমানবন্দর এবং বিমানগুলিকে হরিয়ানার আকাঙ্ক্ষা পূরণের অনুপ্রেরণা হিসাবে বর্ণনা করেন। শ্রী মোদী এই নতুন মাইলফলকের জন্য হরিয়ানার জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নায়েব সিং সাইনি,  কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল প্রতিমন্ত্রী শ্রী মুরলিধর মোহন সহ অন্যান্য বিশিষ্টজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Exclusive: Just two friends in a car, says Putin on viral carpool with PM Modi

Media Coverage

Exclusive: Just two friends in a car, says Putin on viral carpool with PM Modi
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
India–Russia friendship has remained steadfast like the Pole Star: PM Modi during the joint press meet with Russian President Putin
December 05, 2025

Your Excellency, My Friend, राष्ट्रपति पुतिन,
दोनों देशों के delegates,
मीडिया के साथियों,
नमस्कार!
"दोबरी देन"!

आज भारत और रूस के तेईसवें शिखर सम्मेलन में राष्ट्रपति पुतिन का स्वागत करते हुए मुझे बहुत खुशी हो रही है। उनकी यात्रा ऐसे समय हो रही है जब हमारे द्विपक्षीय संबंध कई ऐतिहासिक milestones के दौर से गुजर रहे हैं। ठीक 25 वर्ष पहले राष्ट्रपति पुतिन ने हमारी Strategic Partnership की नींव रखी थी। 15 वर्ष पहले 2010 में हमारी साझेदारी को "Special and Privileged Strategic Partnership” का दर्जा मिला।

पिछले ढाई दशक से उन्होंने अपने नेतृत्व और दूरदृष्टि से इन संबंधों को निरंतर सींचा है। हर परिस्थिति में उनके नेतृत्व ने आपसी संबंधों को नई ऊंचाई दी है। भारत के प्रति इस गहरी मित्रता और अटूट प्रतिबद्धता के लिए मैं राष्ट्रपति पुतिन का, मेरे मित्र का, हृदय से आभार व्यक्त करता हूँ।

Friends,

पिछले आठ दशकों में विश्व में अनेक उतार चढ़ाव आए हैं। मानवता को अनेक चुनौतियों और संकटों से गुज़रना पड़ा है। और इन सबके बीच भी भारत–रूस मित्रता एक ध्रुव तारे की तरह बनी रही है।परस्पर सम्मान और गहरे विश्वास पर टिके ये संबंध समय की हर कसौटी पर हमेशा खरे उतरे हैं। आज हमने इस नींव को और मजबूत करने के लिए सहयोग के सभी पहलुओं पर चर्चा की। आर्थिक सहयोग को नई ऊँचाइयों पर ले जाना हमारी साझा प्राथमिकता है। इसे साकार करने के लिए आज हमने 2030 तक के लिए एक Economic Cooperation प्रोग्राम पर सहमति बनाई है। इससे हमारा व्यापार और निवेश diversified, balanced, और sustainable बनेगा, और सहयोग के क्षेत्रों में नए आयाम भी जुड़ेंगे।

आज राष्ट्रपति पुतिन और मुझे India–Russia Business Forum में शामिल होने का अवसर मिलेगा। मुझे पूरा विश्वास है कि ये मंच हमारे business संबंधों को नई ताकत देगा। इससे export, co-production और co-innovation के नए दरवाजे भी खुलेंगे।

दोनों पक्ष यूरेशियन इकॉनॉमिक यूनियन के साथ FTA के शीघ्र समापन के लिए प्रयास कर रहे हैं। कृषि और Fertilisers के क्षेत्र में हमारा करीबी सहयोग,food सिक्युरिटी और किसान कल्याण के लिए महत्वपूर्ण है। मुझे खुशी है कि इसे आगे बढ़ाते हुए अब दोनों पक्ष साथ मिलकर यूरिया उत्पादन के प्रयास कर रहे हैं।

Friends,

दोनों देशों के बीच connectivity बढ़ाना हमारी मुख्य प्राथमिकता है। हम INSTC, Northern Sea Route, चेन्नई - व्लादिवोस्टोक Corridors पर नई ऊर्जा के साथ आगे बढ़ेंगे। मुजे खुशी है कि अब हम भारत के seafarersकी polar waters में ट्रेनिंग के लिए सहयोग करेंगे। यह आर्कटिक में हमारे सहयोग को नई ताकत तो देगा ही, साथ ही इससे भारत के युवाओं के लिए रोजगार के नए अवसर बनेंगे।

उसी प्रकार से Shipbuilding में हमारा गहरा सहयोग Make in India को सशक्त बनाने का सामर्थ्य रखता है। यह हमारेwin-win सहयोग का एक और उत्तम उदाहरण है, जिससे jobs, skills और regional connectivity – सभी को बल मिलेगा।

ऊर्जा सुरक्षा भारत–रूस साझेदारी का मजबूत और महत्वपूर्ण स्तंभ रहा है। Civil Nuclear Energy के क्षेत्र में हमारा दशकों पुराना सहयोग, Clean Energy की हमारी साझा प्राथमिकताओं को सार्थक बनाने में महत्वपूर्ण रहा है। हम इस win-win सहयोग को जारी रखेंगे।

Critical Minerals में हमारा सहयोग पूरे विश्व में secure और diversified supply chains सुनिश्चित करने के लिए महत्वपूर्ण है। इससे clean energy, high-tech manufacturing और new age industries में हमारी साझेदारी को ठोस समर्थन मिलेगा।

Friends,

भारत और रूस के संबंधों में हमारे सांस्कृतिक सहयोग और people-to-people ties का विशेष महत्व रहा है। दशकों से दोनों देशों के लोगों में एक-दूसरे के प्रति स्नेह, सम्मान, और आत्मीयताका भाव रहा है। इन संबंधों को और मजबूत करने के लिए हमने कई नए कदम उठाए हैं।

हाल ही में रूस में भारत के दो नए Consulates खोले गए हैं। इससे दोनों देशों के नागरिकों के बीच संपर्क और सुगम होगा, और आपसी नज़दीकियाँ बढ़ेंगी। इस वर्ष अक्टूबर में लाखों श्रद्धालुओं को "काल्मिकिया” में International Buddhist Forum मे भगवान बुद्ध के पवित्र अवशेषों का आशीर्वाद मिला।

मुझे खुशी है कि शीघ्र ही हम रूसी नागरिकों के लिए निशुल्क 30 day e-tourist visa और 30-day Group Tourist Visa की शुरुआत करने जा रहे हैं।

Manpower Mobility हमारे लोगों को जोड़ने के साथ-साथ दोनों देशों के लिए नई ताकत और नए अवसर create करेगी। मुझे खुशी है इसे बढ़ावा देने के लिए आज दो समझौतेकिए गए हैं। हम मिलकर vocational education, skilling और training पर भी काम करेंगे। हम दोनों देशों के students, scholars और खिलाड़ियों का आदान-प्रदान भी बढ़ाएंगे।

Friends,

आज हमने क्षेत्रीय और वैश्विक मुद्दों पर भी चर्चा की। यूक्रेन के संबंध में भारत ने शुरुआत से शांति का पक्ष रखा है। हम इस विषय के शांतिपूर्ण और स्थाई समाधान के लिए किए जा रहे सभी प्रयासों का स्वागत करते हैं। भारत सदैव अपना योगदान देने के लिए तैयार रहा है और आगे भी रहेगा।

आतंकवाद के विरुद्ध लड़ाई में भारत और रूस ने लंबे समय से कंधे से कंधा मिलाकर सहयोग किया है। पहलगाम में हुआ आतंकी हमला हो या क्रोकस City Hall पर किया गया कायरतापूर्ण आघात — इन सभी घटनाओं की जड़ एक ही है। भारत का अटल विश्वास है कि आतंकवाद मानवता के मूल्यों पर सीधा प्रहार है और इसके विरुद्ध वैश्विक एकता ही हमारी सबसे बड़ी ताक़त है।

भारत और रूस के बीच UN, G20, BRICS, SCO तथा अन्य मंचों पर करीबी सहयोग रहा है। करीबी तालमेल के साथ आगे बढ़ते हुए, हम इन सभी मंचों पर अपना संवाद और सहयोग जारी रखेंगे।

Excellency,

मुझे पूरा विश्वास है कि आने वाले समय में हमारी मित्रता हमें global challenges का सामना करने की शक्ति देगी — और यही भरोसा हमारे साझा भविष्य को और समृद्ध करेगा।

मैं एक बार फिर आपको और आपके पूरे delegation को भारत यात्रा के लिए बहुत बहुत धन्यवाद देता हूँ।