দেশের সকল নাগরিক যাতে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পান, তা আমাদের অগ্রাধিকার: প্রধানমন্ত্রী
সবচেয়ে কঠিন সময়েও, চেতনা জাগ্রত রাখার জন্য ভারতে নতুন নতুন সামাজিক আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
আরএসএস হল ভারতের ভারতের অমর সংস্কৃতির আধুনিক অক্ষয় বট। এই অক্ষয় বট ভারতীয় সংস্কৃতি এবং আমাদের জাতীয় চেতনাকে নিরন্তর উজ্জীবিত করে চলেছে: প্রধানমন্ত্রী
যখন প্রচেষ্টার সময় আমাদের উপর মনোযোগ দেওয়া হয়, আমি নয়, যখন জাতির চেতনা সর্বাগ্রে, যখন নীতি ও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে দেশের জনগণের স্বার্থ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তখনই এর প্রভাব সর্বত্র দৃশ্যমান হয়: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বের যেখানে প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, ভারত সেখানে পাশে দাঁড়িয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
জাতি গঠনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ আমাদের যুবসমাজ ২০৪৭-এ উন্নত ভারত গড়ার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী আজ মহারাষ্ট্রের নাগপুরে মাধব নেত্রালয় প্রিমিয়াম সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। সেখানে সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি পবিত্র নবরাত্রি উৎসবের সূচনা উপলক্ষে চৈত্র শুক্লা প্রতিপদার তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশজুড়ে আজ গুড়ি পড়ওয়া, উগাদি এবং নবরেহ-এর মতো উৎসব পালিত হচ্ছে। এই দিনটির গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভগবান ঝুলেলাল এবং গুরু অঙ্গদ দেবের জন্মবার্ষিকীর সঙ্গেও মিলে যায়। তাছাড়া এই দিনটি অনুপ্রেরণার উৎস ডঃ কে বি হেডগেওয়ারের জন্মবার্ষিকী এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের গৌরবময় যাত্রার শতবর্ষ হিসাবেও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ডঃ হেডগেওয়ার এবং শ্রী গোলওয়ালকরের  প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতি মন্দিরে গিয়ে তিনি সম্মানিত বোধ করেছেন। 

এই সময়ে ভারতীয় সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন এবং আগামী মাসে এর প্রধান স্থপতি ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে শ্রী মোদী দীক্ষাভূমিতে ডঃ আম্বেদকরকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে তাঁর আশীর্বাদ কামনা করার কথা বলেন। তিনি নবরাত্রি এবং অন্যান্য  উৎসব উপলক্ষে নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানান।

নাগপুরকে সেবার পবিত্র কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে একটি মহৎ উদ্যোগের সম্প্রসারণকে স্বীকৃতি জানিয়ে শ্রী মোদী, মাধব নেত্রালয়ের অনুপ্রেরণামূলক সঙ্গীতের উপর মন্তব্য করেন, যা আধ্যাত্মিকতা, জ্ঞান, গর্ব এবং মানবতাকে প্রতিফলিত করে। তিনি মাধব নেত্রালয়কে এমন একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরেন যা দশকের পর দশক ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষের সেবা করে আসছে, পূজনীয় গুরুজির আদর্শ অনুসরণ করে এবং অগণিত মানুষের জীবনে আলো ফিরিয়ে আনছে।

মাধব নেত্রালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা উল্লেখ করে তিনি আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন যে, এই সম্প্রসারণ, এর সেবামূলক কাজগুলিকে ত্বরান্বিত করবে, হাজার হাজার নতুন মানুষের জীবনে আলো আনবে, তাঁদের জীবন থেকে অন্ধকার দূর করবে। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত সকলের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং তাঁদের শুভকামনা জানান।

প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লার প্রাকার থেকে বক্তব্য রাখার সময় ‘সবকে প্রয়াস’ শব্দবন্ধটি উচ্চারণ করার কথা পুনর্ব্যক্ত করে স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে দেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে মাধব নেত্রালয় এই প্রচেষ্টার পরিপূরক। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কোন নাগরিক যেন জীবনের মর্যাদা থেকে বঞ্চিত না হন, আর জাতির জন্য জীবন উৎসর্গকারী প্রবীণ নাগরিকদের যেন চিকিৎসার জন্য  উদ্বিগ্ন থাকতে না হয়। তিনি সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছে। শ্রী মোদী দেশজুড়ে হাজার হাজার জনঔষধি কেন্দ্রের কথাও উল্লেখ করেন। যেগুলি মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলিকে সুলভমূল্যে ঔষধ সরবরাহ করে। তিনি গত দশকে গ্রামে গ্রামে কয়েক লক্ষ  আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির প্রতিষ্ঠার কথা ও টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই সুযোগ-সুবিধাগুলি নাগরিকদের চিকিৎসা পরীক্ষার জন্য শত শত কিলোমিটার ভ্রমণের বাধ্যবাধকতা দূর করেছে।

 

সারা দেশে দ্বিগুণ সংখ্যক মেডিকেল কলেজ এবং তিনগুণ  এইমস হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকার নানারকম চেষ্টা চালাচ্ছে। তাছাড়া আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির পাশাপাশি, দেশ তার ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানকেও প্রচার করছে। তিনি ভারতের যোগব্যায়াম এবং আয়ুর্বেদের বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতি ও মর্যাদা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন।

যেকোনো জাতির অস্তিত্ব প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তার সংস্কৃতি এবং চেতনার প্রসারের উপর নির্ভর করে, একথা উল্লেখ করে  প্রধানমন্ত্রী ভারতের শতাব্দীর পর শতাব্দীকালীন দাসত্ব ও আক্রমণের ইতিহাস তুলে ধরেন। যা দেশের সামাজিক কাঠামো ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেছিল, তবুও ভারতের চেতনা জীবিত এবং স্থিতিস্থাপক ছিল। এর কৃতিত্ব তিনি বিভিন্ন ভক্তি আন্দোলনের নেতা গুরু নানক দেব, কবীর দাস, তুলসীদাস, সুরদাস, সন্ত তুকারাম, সন্ত একনাথ, সন্ত নামদেব এবং সন্ত জ্ঞানেশ্বরের কথা উল্লেখ করে বলেন, এরকম অসংখ্য মহাপুরুষ তাঁদের মৌলিক ধারণা দিয়ে ভারতের জাতীয় চেতনায় প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। ফলে এই আন্দোলনগুলি বৈষম্যের শৃঙ্খল ভেঙে সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে। স্বামী বিবেকানন্দের অবদানের উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি একটি হতাশাগ্রস্ত সমাজকে নাড়া দিয়েছিলেন, এর প্রকৃত মর্মকে স্মরণ করিয়ে  আত্মবিশ্বাস জাগিয়েছিলেন এবং  ভারতের জাতীয় চেতনা অক্ষুণ্ণ রেখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ঔপনিবেশিক শাসনের শেষ দশকগুলিতে এই চেতনা উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে ডঃ হেডগেওয়ার এবং গুরুজির ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, তাঁরা ১০০ বছর আগে জাতীয় চেতনা সংরক্ষণ ও প্রচারের জন্য যে চিন্তার বীজ বপন করেছিলেন তা এখন মহান বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। নীতি এবং আদর্শ এই বৃক্ষকে উচ্চতা দেয়,  আর লক্ষ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবকরা এর শাখা। তিনি আরও বলেন, আরএসএস হল ভারতের ভারতের অমর সংস্কৃতির আধুনিক অক্ষয় বট। এই অক্ষয় বট ভারতীয় সংস্কৃতি এবং আমাদের জাতীয় চেতনাকে নিরন্তর উজ্জীবিত করে চলেছে।

মাধব নেত্রালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের যাত্রা শুরুর পাশাপাশি দৃষ্টি এবং দিক নির্দেশের মধ্যে প্রাকৃতিক সংযোগের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী জীবনে দৃষ্টির তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, আমাদের বৈদিক আকাঙ্ক্ষা হল "পশ্যেমা শারদঃ শতম" অর্থাৎ আমরা যেন একশ বছর ধরে দেখতে পাই। প্রধানমন্ত্রীর বাহ্যিক দৃষ্টি এবং মনের দেখাকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে বলেন, বিদর্ভের মহান সাধক "প্রজ্ঞাচক্ষু" নামে পরিচিত শ্রী গুলাবরাও কৈশোরে দৃষ্টিশক্তি হারানোর পরেও অসংখ্য বই লিখেছেন।  শারীরিকভাবে তাঁর দৃষ্টিশক্তির অভাব ছিল, কিন্তু মনের চোখ দিয়ে তিনি যে গভীর দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী হয়েছিলেন, তা তাঁর জ্ঞান এবং বিচক্ষণতার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে ব্যক্তি ও সমাজ উভয়কেই ক্ষমতায়িত করার ক্ষেত্রে এবং  আরএসএস-র কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাধব নেত্রালয়কে বাহ্যিক দৃষ্টির উপাচার এবং  
অভ্যন্তরীণ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সংঘকে সেবার সমার্থক করে তুলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ উদ্ধৃত করে বলেন, জীবনের উদ্দেশ্য হল সেবা এবং পরোপকার। যখন সেবা মূল্যবোধের মধ্যে প্রোথিত হয়, তখন তা ভক্তি রূপে রূপান্তরিত হয়। যা প্রত্যেক আরএসএস স্বেচ্ছাসেবকের জীবনের সারমর্ম। এই চেতনাই তাদের প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অক্লান্তভাবে নিজেদের উৎসর্গ করতে অনুপ্রাণিত করে এবং কখনও ক্লান্ত হতে বা থেমে যেতে দেয় না। জীবনের তাৎপর্য তার স্থায়িত্বের মধ্যে নয় বরং এর উপযোগিতার মধ্যে। শ্রী মোদী "দেব থেকে দেশ" এবং "রাম থেকে রাষ্ট্র" গুরুজির এই নীতি দ্বারা পরিচালিত হয়ে কর্তব্যের প্রতি অঙ্গীকারের উপর জোর দেন। স্বেচ্ছাসেবকদের দেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম, পাহাড়ি অঞ্চল ও বনাঞ্চলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিঃস্বার্থ কাজের কথা উল্লেখ করেন। বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের কথা উল্লেখ করে বলেন, বিভিন্ন জনজাতি শিশুদের জন্য একল বিদ্যালয়, সাংস্কৃতিক জাগরণ অভিযান এবং সুবিধাবঞ্চিতদের সেবায় তাদের অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরেন। প্রয়াগ মহাকুম্ভের সময় এই স্বেচ্ছাসেবকরা যে ভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষকে সাহায্য করেছে, তার প্রশংসা করে তিনি বলেন, এমনকি বন্যা এবং ভূমিকম্পের মতো বিপর্যয়ের সময়ও এঁরা সুশৃঙ্খল ও স্বার্থহীন ভাবে সেবা করে যায়। তিনি বলেন, "সেবা হল একটি ত্যাগের আগুন, আর আমরা উৎসর্গের মতো পোড়াই, উদ্দেশ্যের সমুদ্রে মিশে যাই"।

 

গুরুজী সম্পর্কে একটি অনুপ্রেরণামূলক উপাখ্যান বলে শ্রী মোদী বলেন যে গুরুজী সঙ্ঘকে আলোর সঙ্গে তুলনা করেছেন,  একে সর্বব্যাপী বলেছেন। গুরুজীর শিক্ষা একটি জীবন মন্ত্র হিসেবে কাজ করে, সকলকে আলোর উৎস থেকে বাধা দূর করতে এবং অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করতে আহ্বান জানায়। তিনি "আমি নই, তুমি" এবং "আমার নয়, জাতির জন্য" নীতিগুলির মাধ্যমে স্বার্থহীনতার সারমর্ম তুলে ধরেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত এখন ৭০ বছর ধরে বহন করা উপনিবেশিক মানসিকতার বাইরে বেরিয়ে আসতে চাইছে। তাঁর সরকার হীনমন্যতার সঙ্গে বয়ে চলা  ঔপনিবেশিক অবশিষ্টাংশগুলিকে জাতীয় গর্বের নতুন অধ্যায় দিয়ে প্রতিস্থাপন করছে। পুরোনো অচল ব্রিটিশ আইনগুলিকে বাতিল করে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা চালু করার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি তিনি দিল্লির রাজপথকে কর্তব্য পথে রূপান্তর, ভারতীয় নৌবাহিনীর পতাকা থেকে ঔপনিবেশিক প্রতীকগুলি অপসারণের কথা উল্লেখ করে বলেন, এখন সেখানে গর্বের সঙ্গে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের প্রতীক রয়েছে। তিনি আন্দামান অঞ্চলের দ্বীপপুঞ্জের নাম পরিবর্তন করে বীর সাভারকর এবং নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নামে নামকরণের কথা বলেন।  

শ্রী মোদী বলেন, ভারতের "বসুধৈব কুটুম্বকম" নীতি বিশ্বের প্রতিটি কোণে পৌঁছে যাচ্ছে এবং ভারতের কর্মকাণ্ডে তা প্রতিফলিত হচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় ভারত আত্মীয়ের মতো বিশ্বকে টিকা সরবরাহ করেছে। "অপারেশন ব্রহ্ম"-র মাধ্যমে মায়ানমারে সাম্প্রতিক ভূমিকম্প সহ তুর্কি ও নেপালে ভূমিকম্প এবং মালদ্বীপে পানীয় জল সংকট মোকাবিলা ছাড়াও বিভিন্ন সংঘাতের সময় দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি সেসব দেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের নাগরিকদের উদ্ধারের ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের  অগ্রগতি গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বরকে আরও জোরদার করছে। 

 

তিনি জাতীয় চাহিদার প্রতি যুবসমাজের মনোযোগ, মেক ইন ইন্ডিয়ার সাফল্যে তাঁদের ভূমিকা এবং স্থানীয় পণ্যের প্রতি সোচ্চার সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন। ক্রীড়া ক্ষেত্র থেকে মহাকাশ অনুসন্ধান পর্যন্ত সমস্ত ক্ষেত্রে সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন যে ভারতের যুবসমাজ ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্য পূরণে দেশকে নেতৃত্ব দেবে। এক্ষেত্রে আরএসএসের কয়েক দশকের প্রচেষ্টা এবং নিষ্ঠা ফলপ্রসূ হচ্ছে, ভারতের উন্নয়নে নতুন অধ্যায় লিখছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯২৫ সালে আরএসএস প্রতিষ্ঠার সময় যে বিপরীত পরিস্থিতি ছিল স্বাধীনতাই ছিল মূল লক্ষ্য। তিনি সংঘের ১০০ বছরের যাত্রার তাৎপর্য উল্লেখ করে বলেন, ২০২৫ থেকে ২০৪৭ পর্যন্ত সময়কাল জাতির জন্য নতুন, উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যেতে এই সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি অযোধ্যায় শ্রী রামের মন্দির নির্মাণের সময় যা বলেছিলেন, তা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এটি পরবর্তী হাজার বছর ধরে একটি শক্তিশালী ভারতের ভিত্তি স্থাপনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন যে ডঃ হেডগেওয়ার এবং গুরুজীর মতো খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বদের নির্দেশনা জাতিকে শক্তিশালী করে তুলবে। তিনি একটি উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণে প্রজন্মের ত্যাগকে সম্মান জানানোর সংকল্প সুনিশ্চিত করে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

 

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী নিতিন গড়করি, আরএসএস প্রধান ডঃ মোহন ভাগবত, স্বামী গোবিন্দ দেবগিরি মহারাজ, স্বামী অবধেশানন্দ গিরি মহারাজ, ডঃ অবিনাশ চন্দ্র অগ্নিহোত্রী এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

 

 

 

 

 

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
India Semiconductor Mission: How India plans to become the world’s next chip powerhouse

Media Coverage

India Semiconductor Mission: How India plans to become the world’s next chip powerhouse
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM chairs high-level meeting to review the progress of the fisheries sector
May 15, 2025
Focus of the discussion on Fishing in the EEZ and High Seas
PM Calls for using Satellite Technology to Boost Fisheries and Fishermen Safety
PM Stresses Modernization of Fisheries with Smart Harbours, Drone Transport, and Value-Added Supply Chains
On the lines of agro tech in the agriculture sector, PM suggests enhanced adoption of fish tech in the fisheries sector for improving production, processing and marketing practices
PM discusses Fisheries in Amrit Sarovars and promotion of Ornamental Fisheries for livelihood support
PM suggests exploration of multifarious use of seaweeds for fuel purposes, as nutritional inputs, in pharmaceuticals and other sectors
PM calls for strategy to Boost Fish Supply in Landlocked Areas

Prime Minister Shri Narendra Modi chaired a high-level meeting to review the progress of the fisheries sector, with focus on Fishing in the Exclusive Economic Zone(EEZ) and High Seas, at his residence at Lok Kalyan Marg earlier today.

Prime Minister emphasized the extensive use of satellite technology to harness better use of fish resources and give safety instructions to fishermen.

Prime Minister stressed on modernization of the sector through smart harbours and markets, use of drones in transportation of the catch and its marketing. He said that there is a need to move toward a healthier system of functioning so as to add value in the supply chain.

Further, Prime Minister suggested exploration of the usage of drones, as per technical protocols, for transportation of fresh fish from production centres to big nearby markets in cities / towns in consultation with civil aviation.

Prime Minister underlined the need for improvements in processing and packaging of the produce. Facilitation of investments from the private sector was also discussed.

Regarding the use of technology, Prime Minister said that similar to agro tech in the agriculture sector, adoption of fish tech in the fisheries sector should be enhanced for improving the production, processing and marketing practices.

Prime Minister said that taking up fisheries production in Amrit Sarovars will not only improve the sustenance of these water bodies but also improve the livelihoods of the fishermen. He also highlighted that ornamental fisheries also needs to be promoted as an avenue for income generation.

Prime Minister said that a strategy should be worked out to serve the needs of landlocked areas where there is high demand for fish but not enough supply.

Prime Minister suggested that usage of seaweeds for fuel purposes, as nutritional inputs, in pharmaceuticals and other sectors should be explored. He said that all the departments concerned should work together and use technology to create the required outputs and outcomes in the seaweed sector, ensuring complete ownership.

Prime Minister also suggested undertaking capacity building of fishermen in modern fishing practices. He also suggested maintenance of a negative list of items that hinder the growth of the sector so that action plans can be made to overcome these and further enhance Ease of Doing Business and Ease of Living of the fishermen.

During the meeting, a presentation was also done on the progress made in important initiatives, compliances to the suggestions given during the last review, and the proposed enabling framework for sustainable harnessing of fisheries from the Indian Exclusive Economic Zone(EEZ) and High Seas.

Since 2015, Government of India has stepped-up investment to Rs. 38,572 crore through various GoI schemes and programs namely Blue Revolution Scheme, Fisheries and Aquaculture Infrastructure Development Fund (FIDF), Pradhan Mantri Matsya Sampada Yojana (PMMSY), Pradhan Mantri Matsya Samridhi Sah Yojana (PM-MKSSY) and Kisan Credit Card (KCC). India has registered an annual fish production of 195 lakh tons in 2024-25 with sectoral growth rate of more than 9%.

The meeting was attended by the Union Minister of Fisheries, Animal Husbandry and Dairying Shri Rajiv Ranjan Singh alias Lalan Singh, Principal Secretary to PM Dr. P.K. Mishra, Principal Secretary-2 to PM Shri Shaktikanta Das, Advisor to PM Shri Amit Khare, Secretary of the Department of Fisheries and senior officials.