প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ‘কৌশল দীক্ষান্ত সমারোহ’-এর সময় ৬২,০০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বিভিন্ন যুব-কেন্দ্রিক উদ্যোগের সূচনা করেছেন। দেশজুড়ে আইটিআই-এর সঙ্গে যুক্ত লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী এবং বিহারের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন যে, কয়েক বছর আগে সরকার আইটিআই-এর শিক্ষার্থীদের জন্য বৃহৎ পরিসরে সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের একটি নতুন ঐতিহ্য শুরু করেছিল। তিনি বলেন, আজ সেই ঐতিহ্যের আরেকটি মাইলফলক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে আজকের অনুষ্ঠান ভারতের দক্ষতা উন্নয়নকে অগ্রাধিকার প্রদানের প্রতীক। তিনি দেশজুড়ে যুবসমাজের জন্য শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুটি প্রধান উদ্যোগের সূচনা ঘোষণা করেন। শ্রী মোদী উল্লেখ করেন যে ৬০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে পিএম সেতু প্রকল্পের অধীনে, আইটিআইগুলি এখন শিল্পের সঙ্গে আরও দৃঢ়ভাবে সংহত হবে। তিনি আরও জানান যে, আজ দেশব্যাপী ‘নবোদয় বিদ্যালয়’ এবং ‘একলব্য মডেল স্কুল’ জুড়ে ১,২০০টি দক্ষতা পরীক্ষাগার উদ্বোধন করা হয়েছে।

শ্রী মোদী বলেন, এই অনুষ্ঠানের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল বিজ্ঞান ভবনে একটি সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজন করা। তবে, তিনি যেমনটি উল্লেখ করেছিলেন, শ্রী নীতিশ কুমারের প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গেই এটি একটি সাড়ম্ভর উদযাপনে পরিণত হয়েছিল - অর্থাৎ, অনুষ্ঠানটি একটি মেগা-উৎসবে রূপান্তরিত করারপ্রস্তাব দিয়েছিলেন শ্রী কুমার। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, এই মঞ্চ থেকে বিহারের যুবসমাজের জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা এবং প্রকল্প উৎসর্গ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিহারে একটি নতুন দক্ষতা প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ, একটি নতুন যুব কমিশন গঠন এবং হাজার হাজার তরুণকে স্থায়ী সরকারি চাকরির জন্য নিয়োগপত্র প্রদান। তিনি নিশ্চিত করেন যে, এই উদ্যোগগুলি বিহারের যুবসমাজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের গ্যারান্টি।
বিহারের মহিলাদের কর্মসংস্থান এবং স্বনির্ভরতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে সম্প্রতি আয়োজিত বৃহৎ কর্মসূচির কথা স্মরণ করে শ্রী মোদী মন্তব্য করেন যে, লক্ষ লক্ষ বোনেদের অংশগ্রহণে বিহারে যুব ক্ষমতায়নের জন্য আজকের এই মেগা কর্মসূচি রাজ্যের যুব ও মহিলাদের প্রতি তাঁদের সরকারের অগ্রাধিকারকেও চিহ্নিত করে।
ভারত জ্ঞান ও দক্ষতার দেশ, আর এই বৌদ্ধিক শক্তিই এর সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ, বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। তাঁর এও অভিমত, যখন দক্ষতা ও জ্ঞান জাতীয় চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় এবং সেগুলি পূরণে অবদান রাখে, তখনই তাদের প্রভাব বহুগুণ বেড়ে যায়। তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীর চাহিদা হল দেশের চাহিদা অনুযায়ী স্থানীয় প্রতিভা, স্থানীয় সম্পদ, স্থানীয় দক্ষতা এবং স্থানীয় জ্ঞানকে দ্রুত উন্নীত করা। এই লক্ষ্যে হাজার হাজার আইটিআই-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরে শ্রী মোদী মন্তব্য করেন যে, বর্তমানে আইটিআইগুলি প্রায় ১৭০টি কারবারে প্রশিক্ষণ প্রদান করে এবং বিগত ১১ বছরে, ১.৫ কোটিরও বেশি যুবককে এই শাখাগুলিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত যোগ্যতা অর্জন করা হয়েছে। তিনি গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন যে, এই দক্ষতাগুলি স্থানীয় ভাষায় প্রদান করা হয়, যা আরও ভাল বোধগম্যতা এবং সহজলভ্যতা নিশ্চিত করে। এই বছর, ১০ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী অল ইন্ডিয়া ট্রেড টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিল। আর এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের মধ্যে ৪৫-এরও বেশিকে ব্যক্তিকে সংবর্ধিত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী এই মুহূর্তে গর্ব প্রকাশ করে বলেন যে, পুরষ্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেই ভারতের গ্রাম এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসেছেন। তিনি তাঁদের মধ্যে কন্যা এবং দিব্যাঙ্গ সঙ্গীদের উপস্থিতির কথা তুলে ধরেন এবং নিষ্ঠা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তাঁদের কষ্টার্জিত সাফল্যের প্রশংসা করেন।
“ভারতের আইটিআইগুলি কেবল শিল্প শিক্ষার জন্য শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান নয়, বরং আত্মনির্ভর ভারত গঠনের জন্য কর্মশালা হিসেবেও কাজ করে”। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে, সরকার আইটিআই-এর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ক্রমাগত তাদের আর-ও উন্নত করার দিকে মনোনিবেশ করছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশে মাত্র ১০,০০০ আইটিআই ছিল, কিন্তু গত দশকে প্রায় ৫,০০০ নতুন আইটিআই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শ্রী মোদী বলেন যে, বর্তমান শিল্প দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য এবং আগামী ১০ বছরে ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণের জন্য এই আইটিআই নেটওয়ার্ক প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই সমন্বয় জোরদার করার জন্য, শিল্প ও আইটিআই-এর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তিনি পিএম সেতু প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করেন, যা ভারত জুড়ে ১,০০০-এরও বেশি আইটিআই প্রতিষ্ঠানকে উপকৃত করবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে, আইটিআইগুলিকে নতুন যন্ত্রপাতি, শিল্প প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতের দক্ষতার চাহিদা অনুসারে তৈরি পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে আপগ্রেড করা হবে। "পিএম সেতু প্রকল্প ভারতীয় যুবকদের বিশ্বব্যাপী দক্ষতার প্রয়োজনীয়তার সঙ্গেও সংযুক্ত করবে", শ্রী মোদী বলেন।
আজকের কর্মসূচিতে বিহারের অসংখ্য তরুণ-তরুণী যোগদান করেছেন। একথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী মন্তব্য করেন যে, এই প্রজন্ম হয়তো পুরোপুরি বুঝতে পারবে না যে দুই থেকে আড়াই দশক আগে বিহারের শিক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আন্তরিকভাবে স্কুল খোলা হয়নি, নিয়োগও করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে প্রত্যেক অভিভাবকই চান যে, তাঁদের সন্তান স্থানীয়ভাবে পড়াশোনা করুক এবং উন্নতি করুক। তবে, বাধ্যবাধকতার কারণে লক্ষ লক্ষ শিশুকে বিহার ছেড়ে বেনারস, দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের মতো জায়গায় চলে যেতে হয়েছিল। তিনি এটিকে অভিবাসনের আসল সূচনা হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন।

শ্রী মোদীর অভিমত, শিকড় আক্রান্ত একটি গাছকে পুনরুজ্জীবিত করা একটি বিরাট কৃতিত্ব এবং বিরোধী দলের অপশাসনের অধীনে বিহারের অবস্থাকে এমন একটি গাছের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, সৌভাগ্যবশত, বিহারের জনগণ শ্রী নীতিশ কুমারকে শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছেন এবং জোট সরকারের পুরো দল ভেঙে পড়া ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন যে, আজকের অনুষ্ঠানটি সেই রূপান্তরের এক ঝলক উপস্থাপন করেছে।
আজকের কৌশল সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিহার একটি নতুন দক্ষতা বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, শ্রী নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতরত্ন জননায়ক কর্পুরী ঠাকুরের নামে এই বিশ্ববিদ্যালয়টির নামকরণ করেছে। শ্রী মোদী উল্লেখ করেন যে, ভারতরত্ন কর্পুরী ঠাকুর তাঁর সমগ্র জীবন জনসেবা এবং শিক্ষার প্রসারে উৎসর্গ করেছিলেন, সমাজের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত অংশের উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিকভাবে সওয়াল করেছিলেন। তিনি এও নিশ্চিত করেন যে, তাঁর সম্মানে নামকরণ করা স্কিল ইউনিভার্সিটি সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারগুলি বিহারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে আধুনিকীকরণের জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। তিনি জানান, আইআইটি পাটনায় পরিকাঠামো সম্প্রসারণ শুরু হয়েছে এবং বিহার জুড়ে বেশ কয়েকটি প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধুনিকীকরণও শুরু হয়েছে। শ্রী মোদী এও ঘোষণা করেন যে, এনআইটি পাটনার বিহতা ক্যাম্পাস এখন মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, তিনি উল্লেখ করেন যে, পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়, ভূপেন্দ্র মণ্ডল বিশ্ববিদ্যালয়, ছাপরার জয়প্রকাশ বিশ্ববিদ্যালয় এবং নালন্দা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষাগত পরিকাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি, শ্রী নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন সরকার বিহারের যুবকদের শিক্ষার আর্থিক বোঝা কমাতে কেমন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে তা তুলে ধরে শ্রী মোদী উল্লেখ করেন যে, উচ্চ শিক্ষার জন্য ফি প্রদানে শিক্ষার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন যে, বিহার সরকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করে আসছে এবং এই প্রকল্পের অধীনে শিক্ষা ঋণ সুদমুক্ত করার জন্য এখন একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, ছাত্র বৃত্তির পরিমাণ ১,৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩,৬০০ টাকা করা হয়েছে।
"ভারত বিশ্বের সবচেয়ে তরুণ দেশগুলির মধ্যে একটি এবং বিহার হল এমন রাজ্যগুলির মধ্যে একটি যেখানে যুবসমাজের অনুপাত সবচেয়ে বেশি", বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে, যখন বিহারের যুবসমাজের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়, তখন জাতির শক্তি বৃদ্ধি পায়। তিনি নিশ্চিত করেন যে, তাঁদের সরকার বিহারের যুবসমাজকে আরও ক্ষমতায়িত করার জন্য পূর্ণ প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করছে। শ্রী মোদী আরও বলেন যে, অতীতে আজকের বিরোধী দলগুলি যখন শাস্নক্ষমতায় ছিল, তাঁদের তুলনায়, বিহারের শিক্ষা বাজেট বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আজ, বিহারের প্রায় প্রতিটি গ্রাম ও জনপদে একটি করে স্কুল রয়েছে এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল কলেজের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি জানান যে, কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি বিহারের ১৯টি জেলার জন্য কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় অনুমোদন করেছে। প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করে বলেন যে, একটা সময় ছিল যখন বিহারে আন্তর্জাতিক স্তরের ক্রীড়া পরিকাঠামোর অভাব ছিল, কিন্তু আজ, রাজ্যে অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গত দুই দশক ধরে, বিহার সরকার রাজ্যের অভ্যন্তরে ৫০ লক্ষ যুবক-যুবতীকে কিভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরে শ্রী মোদী মন্তব্য করেন যে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতেই বিহারের যুবক-যুবতীদের প্রায় ১০ লক্ষ স্থায়ী সরকারি চাকরি প্রদান করা হয়েছে। তিনি শিক্ষা বিভাগের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, যেখানে ব্যাপকভাবে শিক্ষক নিয়োগ চলছে। তিনি জানান যে, গত দুই বছরে বিহারে আড়াই লক্ষেরও বেশি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে, যার ফলে যুবকদের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং শিক্ষা ব্যবস্থার মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।

বিহার সরকার এখন নতুন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। একথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন যে, রাজ্যটি গত দুই দশকে যে পরিমাণ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে, আগামী পাঁচ বছরে তার দ্বিগুণ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে বলেন যে, এই সংকল্প স্পষ্ট যে, বিহারের যুবক- যুবতীদের বিহারের মধ্যেই চাকরি খুঁজে বের করা উচিত এবং কাজ করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রীর অভিমত যে, বিহারের যুবসমাজের জন্য এটি দ্বিগুণ বোনাসের সময়। তিনি দেশজুড়ে চলমান জিএসটি সঞ্চয় উৎসবের কথা তুলে ধরেন এবং জানান যে বাইক এবং স্কুটারের উপর জিএসটি হ্রাসের ফলে বিহারের যুবসমাজের মধ্যে যে আনন্দের সৃষ্টি হয়েছে তা তিনি অবহিত হয়েছেন। অনেক তরুণ ধনতেরাসের সময় এই কেনাকাটা করার পরিকল্পনাও করেছেন। শ্রী মোদী বিহার এবং দেশের যুবসমাজকে তাঁদের বেশিরভাগ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপর জিএসটি হ্রাসের জন্য অভিনন্দন জানান।
“দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতি স্বনির্ভর হয়ে ওঠে, রপ্তানি বৃদ্ধি পায় এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পায়”, বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি স্মরণ করেন যে ২০১৪ সালের আগে, ভারতকে "ভঙ্গুর পাঁচ" অর্থনীতির মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছিল, যেখানে নিম্ন প্রবৃদ্ধি এবং সীমিত কর্মসংস্থান ছিল। আজ, ভারত উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ তিন অর্থনীতির অন্যতম হয়ে ওঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । শ্রী মোদী মোবাইল ফোন, বৈদ্যুতিন, যানবাহন এবং প্রতিরক্ষার মতো ক্ষেত্রে উৎপাদন ও রপ্তানিতে অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন যে এই বৃদ্ধির ফলে বৃহৎ শিল্প এবং অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে আইটিআই-তে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবক-যুবতীরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে মুদ্রা প্রকল্প কোটি কোটি তরুণ-তরুণীকে তাঁদের নিজস্ব উদ্যোগ শুরু করতে সাহায্য করেছে। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী ১ লক্ষ কোটি টাকার প্রধানমন্ত্রী উন্নত ভারত রোজগার যোজনা বাস্তবায়নের ঘোষণা করেছেন, যা প্রায় ৩.৫ কোটি যুবককে বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

দেশের প্রত্যেক যুবক-যুবতীর জন্য সুযোগ-সুবিধাপূর্ণ এই সময়কে নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে, যদিও অনেক কিছুর বিকল্প থাকতে পারে, দক্ষতা, উদ্ভাবন এবং কঠোর পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে এই মন্তব্য করে তাঁর বক্তব্য শেষ করে বলেন যে, এই সমস্ত গুণাবলী ভারতের যুবসমাজের মধ্যে নিহিত এবং তাঁদের মিলিত শক্তিই একটি বিকশিত ভারতের শক্তি হয়ে উঠবে। অবশেষে তিনি সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

“দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতি স্বনির্ভর হয়ে ওঠে, রপ্তানি বৃদ্ধি পায় এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পায়”, বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি স্মরণ করেন যে ২০১৪ সালের আগে, ভারতকে "ভঙ্গুর পাঁচ" অর্থনীতির মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছিল, যেখানে নিম্ন প্রবৃদ্ধি এবং সীমিত কর্মসংস্থান ছিল। আজ, ভারত উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ তিন অর্থনীতির অন্যতম হয়ে ওঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । শ্রী মোদী মোবাইল ফোন, বৈদ্যুতিন, যানবাহন এবং প্রতিরক্ষার মতো ক্ষেত্রে উৎপাদন ও রপ্তানিতে অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন যে এই বৃদ্ধির ফলে বৃহৎ শিল্প এবং অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে আইটিআই-তে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবক-যুবতীরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে মুদ্রা প্রকল্প কোটি কোটি তরুণ-তরুণীকে তাঁদের নিজস্ব উদ্যোগ শুরু করতে সাহায্য করেছে। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী ১ লক্ষ কোটি টাকার প্রধানমন্ত্রী উন্নত ভারত রোজগার যোজনা বাস্তবায়নের ঘোষণা করেছেন, যা প্রায় ৩.৫ কোটি যুবককে বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

দেশের প্রত্যেক যুবক-যুবতীর জন্য সুযোগ-সুবিধাপূর্ণ এই সময়কে নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে, যদিও অনেক কিছুর বিকল্প থাকতে পারে, দক্ষতা, উদ্ভাবন এবং কঠোর পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে এই মন্তব্য করে তাঁর বক্তব্য শেষ করে বলেন যে, এই সমস্ত গুণাবলী ভারতের যুবসমাজের মধ্যে নিহিত এবং তাঁদের মিলিত শক্তিই একটি বিকশিত ভারতের শক্তি হয়ে উঠবে। অবশেষে তিনি সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী জয়ন্ত চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিহারের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিশ কুমার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী জুয়াল ওরাম, শ্রী রাজীব রঞ্জন সিং, শ্রী সুকান্ত মজুমদার এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।
সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
India is a country of knowledge and skill. This intellectual strength is our greatest power. pic.twitter.com/jek8W4BXnS
— PMO India (@PMOIndia) October 4, 2025
ITIs are not only premier institutions of industrial education, they are also the workshops of an Aatmanirbhar Bharat. pic.twitter.com/OKOnfSoolF
— PMO India (@PMOIndia) October 4, 2025
The PM-SETU Yojana will connect India's youth with the world's skill demands. pic.twitter.com/B0zWaPHbWU
— PMO India (@PMOIndia) October 4, 2025
Bharat Ratna Karpoori Thakur Ji devoted his entire life to social service and the advancement of education... The skill university being established in his name will serve as a powerful means to carry forward that vision. pic.twitter.com/AzMa8HRMYC
— PMO India (@PMOIndia) October 4, 2025
When the strength of the youth increases, the nation grows stronger. pic.twitter.com/lJI4vikRKf
— PMO India (@PMOIndia) October 4, 2025


