প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার আজ ভারত ও ব্রিটেনের বাণিজ্য মহলের শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এর আগে, ঐতিহাসিক ভারত-ব্রিটেন সর্বাঙ্গীন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি (কমপ্রেহেনসিভ ইকনোমিক অ্যান্ড ট্রেড এগ্রিমেন্ট - সিইটিএ) স্বাক্ষর করা হয়। দুদেশের স্বাস্থ্য, ওষুধ উৎপাদন শিল্প, অলঙ্কার শিল্প, গাড়ি শিল্প, জ্বালানী, টেলিকম, প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তি, পণ্য পরিবহণ, বস্ত্র, আর্থিক পরিষেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রথমসারির শিল্প ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। দুটি দেশের সর্বাঙ্গীন আর্থিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের মতো বিষয়গুলিতে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উভয় নেতা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দুদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাণিজ্য জগতের শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের মতবিনিময়ের সময়ে তাঁরা সিইটিএ-র সুফলকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। এর মধ্য দিয়ে দুটি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবন সংক্রান্ত কর্ম তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও প্রসারিত করতে তাঁরা অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানান। নতুন এই চুক্তি দুদেশের অর্থনীতির মানোন্নয়নে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে সাহায্য করবে এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সিইটিএ-র বিভিন্ন সুফলের বিষয় উল্লেখ করে উভয় নেতা বলেন, দুটি দেশের উদ্ভাবন এবং উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর মানোন্নয়ন ঘটবে। তাঁরা এসংক্রান্ত একটি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন, যেখানে অলঙ্কার, প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন পণ্য, উপভোক্তাদের জন্য নানাবিধ সামগ্রী প্রদর্শিত হয়েছে।
ভারত ও ব্রিটেনের বাণিজ্য জগতের নেতৃবৃন্দ ঐতিহাসিক এই বাণিজ্য চুক্তির প্রশংসা করেন। তাঁরা আশা করেন, এর মধ্য দিয়ে সর্বাঙ্গীন কৌশলগত অংশীদারিত্বের নতুন যুগের সূচনা হবে। এর ফলে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা যেমন বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, শিক্ষা, উদ্ভাবন, গবেষণা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ছোট-বড় ব্যবসা-বাণিজ্যকে সব ধরনের সহায়তা করতে দুই প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। নতুন এই চুক্তি দুদেশের মধ্যে আর্থিক ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আগামী দিনে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তাঁরা।


