Extraordinary transformation in India-Bangladesh relationship is a clear recognition of your strong and decisive leadership: PM Modi
Your decision to honour Indian soldiers who laid down their lives in 1971 war has deeply touched people of India: PM to Bangladesh PM
India has always stood for the prosperity of Bangladesh and its people: PM Modi
India will continue to be a willing partner in meeting the energy needs of Bangladesh: PM Modi
Agreement to open new Border Haats will empower border communities through trade and contribute to their livelihoods: PM
Bangabandu Sheikh Mujibur Rahman was a dear friend of India and a towering leader: PM Modi

মাননীয়প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং

সংবাদমাধ্যমেরপ্রতিনিধিবৃন্দ ,


প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনাকে ভারতে স্বাগত জানাতে পেরে আমি বিশেষভাবে আনন্দিত।


মাননীয়প্রধানমন্ত্রী ,


একবিশেষ শুভক্ষণে আপনার এই ভারত সফর। পয়লা বৈশাখের প্রাক্কালেই আপনার এ দেশে আগমন । এই উপলক্ষে আমিআপনাকে এবং বাংলাদেশের জনসাধারণকে জানাই শুভ নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা। দুটি দেশএবং দু’দেশের জনসাধারণের মধ্যে মৈত্রী সম্পর্কের এক সুবর্ণ অধ্যায়ের সূচনা করলআপনার এই ভারত সফর। আমাদের দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে যে পরিবর্তন ও সাফল্য আমরাচিহ্নিত করেছি, তাতে সুস্পষ্টভাবেই প্রতিফলিত আপনার বলিষ্ঠ ও বহু চিন্তাপ্রসূতনেতৃত্ব। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে যে সমস্ত ভারতীয় সেনা আত্মবলিদান দিয়েছিলেন, তাঁদেরসম্মান জানানোর লক্ষ্যে আপনার সিদ্ধান্ত স্পর্শ করে গেছে ভারতবাসীর হৃদয়কে।প্রত্যেক ভারতীয় একথা ভেবে গর্বিত সন্ত্রাসের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করারলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে গেছে ভারতীয়সেনাবাহিনী।


বন্ধুগণ,

আমাদেরদ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের সবক’টি বিষয়ই সম্পর্কেই মাননীয় শেখ হাসিনার সঙ্গে আমারআজকের বিশদ আলোচনা যথেষ্ট সফল হয়েছে বলেই আমার বিশ্বাস। আমাদের সহযোগিতারকর্মসূচিতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যগুলির দিকে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বলে আমরা দু’জনেইসহমত ব্যক্ত করেছি। আমাদের এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে নতুন নতুন পথেরসন্ধান ও সুযোগ অন্বেষণের ওপরও বিশেষ জোর দিয়েছি আমরা। নতুন নতুন ক্ষেত্রেসহযোগিতা প্রসারে আমরা আগ্রহী। বিশেষত, উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেত্রগুলিতে আমাদেরসহযোগিতার সম্পর্ককে আমরা আরও নিবিড় করে তুলতে ইচ্ছুক কারণ, দুটি দেশের সমাজব্যবস্থার মধ্যে যে যুবসমাজ বাস করে, এই বিশেষ ক্ষেত্রটির সঙ্গে তাঁদের এক গভীরযোগাযোগ রয়েছে। বৈদ্যুতিন ক্ষেত্র, তথ্যপ্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা, মহাকাশঅনুসন্ধান, অসামরিক পরমাণু শক্তি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিতে আমরাএকযোগে কাজ করে যেতে আগ্রহী।

বন্ধুগণ,


ভারতবরাবরই বাংলাদেশ এবং তার জনসাধারণের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সহযোগিতা করে যেতে প্রস্তুত।ভারত হল বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিনের এক বিশ্বস্ত অংশীদার। আমাদেরসহযোগিতার সুফলগুলি যাতে দু’দেশের জনসাধারণের কল্যাণে নিয়োজিত হয় তা নিশ্চিত করতেপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত ও বাংলাদেশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি সানন্দে ঘোষণা করছি যেবাংলাদেশের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলির রূপায়ণে বিশেষ সহজ ও সুবিধাজনকস্বার্থে ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তাদানের প্রস্তাব করেছে ভারত। গত ছ’বছরেবাংলাদেশের অনুকূলে আমরা আমাদের সহায়সম্পদ বন্টন করেছি ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরওবেশি। আমাদের উন্নয়নমূলক অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হল জ্বালানিনিরাপত্তা। এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে আমাদের অংশীদারিত্বের সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধিপেয়ে চলেছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে যে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের যোগান দেওয়া হচ্ছে,তাতে অতিরিক্ত ৬০ মেগাওয়াট আজ আমরা যুক্ত করতে পেরেছি। দু’দেশের পারস্পরিক সংযোগ ওযোগাযোগের মাধ্যমে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও আমরা দিয়েছি।নুমালিগড় থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত ডিজেল পাইপলাইন গড়ে তুলতে অর্থ সহায়তারপ্রস্তাবেও সম্মতি জানিয়েছি আমরা। বাংলাদেশে হাইস্পিড ডিজেল সরবরাহের জন্য একদীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সম্পাদন করেছে আমাদের তেল সংস্থাগুলি। যতদিন পর্যন্ত নাপাইপলাইন নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হচ্ছে, বাংলাদেশকে নিয়মিতভাবে তেলের যোগান দেওয়ারএক কর্মসূচিও আমরা স্থির করেছি। এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে অংশগ্রহণে এগিয়ে আসতে আমরাউৎসাহদান করছি দু’দেশেরই বেসরকারি সংস্থাগুলিকে। আগামীদিনগুলিতে বাংলাদেশেরজ্বালানি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সংক্রান্ত কয়েকটি চুক্তি সম্পাদিত হবে বলে আমরা আশা করি । বাংলাদেশেরজ্বালানি সংক্রান্ত চাহিদা মেটাতে এবং আগামী ‘২০২১ সালের মধ্যে সকলের জন্যবিদ্যুৎ’ কর্মসূচির লক্ষ্যপূরণে ভারত সাগ্রহে ও নিরন্তরভাবে সহযোগিতা করে যাবে ঐদেশের সঙ্গে।

বন্ধুগণ,


উন্নয়নেরলক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সংযোগ ওযোগাযোগ, আঞ্চলিক পর্যায়ে বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রকল্পের রূপায়ণে এবং আঞ্চলিকঅর্থনীতির সার্বিক প্রসারে যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। আজ এখানে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়ামুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের উত্তরোত্তর যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরও কিছু নতুনসংযোগ আমরা স্থাপন করতে পেরেছি। কলকাতা-খুলনা এবং রাধিকাপুর-বিরোল-এর মধ্যে আবারখুলে দেওয়া হয়েছে বাস ও রেল সংযোগ। অভ্যন্তরীণ জলপথের রুটগুলিকেও সর্বোচ্চ মাত্রায়ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। উপকূল জাহাজ সম্পর্কিত চুক্তির বাস্তবায়নে আমরাগ্রহণ করেছি এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ । দুটি দেশের মধ্যে জলপথে পণ্য চলাচলের ক্ষেত্রেও বিশেষঅগ্রগতি আমরা আনন্দের সঙ্গেই লক্ষ্য করেছি। অদূর ভবিষ্যতে বিবিআইএন মোটর যানচুক্তিও রূপায়িত হতে চলেছে বলে আমাদের বিশ্বাস। এর মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক পর্যায়ে সংযোগও যোগাযোগের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটবে।


বন্ধুগণ,

আমাদেরবাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও বৈচিত্র্যময় করে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা আমি এবংপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা – উভয়েই অনুভব করেছি। এর লক্ষ্য, দু’দেশের অর্থনীতিরমধ্যে সুদূরপ্রসারী সহযোগিতা গড়ে তোলা মাত্র নয়। এর ফলে উপকৃত হবে সমগ্র অঞ্চলই।এই লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা প্রয়োজন দু’দেশের শিল্প ও বাণিজ্যপ্রতিনিধিদের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দেশের এক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্নবাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল এখানে উপস্থিত রয়েছেন । তাঁদের এ দেশেস্বাগত জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। দু’দেশের অধিবাসীদের জন্য নতুন নতুন সীমান্ত হাটখুলে দেওয়ার জন্য যে চুক্তি আজ আমরা এখানে সম্পাদন করেছি, তা বাণিজ্যিক প্রচেষ্টারসঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগদানের মাধ্যমে দু’দেশের সীমান্ত অঞ্চলের নাগরিকদের সামনে জীবিকার্জনেরনতুন সুযোগ এনে দেবে।

বন্ধুগণ,


দক্ষতাবৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সাফল্যগুলিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমি বিশেষভাবেপর্যালোচনা করেছি। ভারতে, বাংলাদেশের ১,৫০০ সরকারি কর্মী ও আধিকারিকদের প্রশিক্ষণবর্তমানে সমাপ্তপ্রায় । আমাদের দেশের বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে ঠিকএকইভাবে আমরা প্রশিক্ষণদানের ব্যবস্থা করব বাংলাদেশ বিচার বিভাগের ১,৫০০ কর্মী ওআধিকারিকদের।


বন্ধুগণ,


আমাদেরএই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একদিকে যেমন এক সমৃদ্ধির বাতাবরণ গড়ে তুলেছে দু’দেশেরজনজীবনে, অন্যদিকে তেমনই সন্ত্রাস ও উগ্রপন্থার হাত থেকে তাঁদের রক্ষা করার কাজেও তাবিশেষভাবে সচেষ্ট রয়েছে। সন্ত্রাসের হুমকি শুধুমাত্র ভারত বা বাংলাদেশের পক্ষেইনয়, সমগ্র অঞ্চলের পক্ষেই বিপজ্জনক। সন্ত্রাস দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়সঙ্কল্পের আমরা বিশেষ প্রশংসা করি। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ‘কোনরকম সহনশীলতা নয়’হাসিনা সরকারের এই নীতি আমাদের সকলকেই উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করে। আমাদেরপারস্পরিক কর্মপ্রচেষ্টার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে দু’দেশের জনসাধারণের শান্তি,নিরাপত্তা এবং উন্নয়নকেই আমরা গুরুত্ব দিয়ে চলেছি। দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যেঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গড়ে তোলার যে কাজ বহুদিন ধরেই অসমাপ্ত ছিল, তা সম্পূর্ণ করারলক্ষ্যে আজ আমরা একটি চুক্তি সম্পাদনের মতো পদক্ষেপও গ্রহণ করতে পেরেছি।প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আমরা ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরঅর্থ সাহায্য করতে পেরে আনন্দিত। এই ঋণ সহায়তা প্রসারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশেরচাহিদা ও অগ্রাধিকারগুলিকেই আমরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দেব।

বন্ধুগণ,

আমাদেরদুটি দেশেরই রয়েছে এক সুদীর্ঘ স্থল সীমান্ত। ২০১৫-র জুন মাসে আমার ঢাকা সফরকালেস্থল সীমানা চুক্তি আমরা সম্পাদন করেছি। বর্তমানে এর রূপায়ণের কাজ চলছে। আমাদেরসাধারণ স্থল সীমান্তের পাশাপাশি অনেকগুলি নদীও বয়ে গেছে আমাদের দু’দেশের মধ্যদিয়ে। দু’দেশের নাগরিকদের জীবনযাপন ও জীবিকার্জনের এক বিশেষ উৎসই হল এই নদীসম্পদ।এর মধ্যে যে বিষয়টির দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে তা হল তিস্তা নদী। এই নদীভারতের পক্ষে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, সমান গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ এবং ভারত-বাংলাদেশসম্পর্কের ক্ষেত্রেও। আমি খুবই আনন্দিত যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আজ এখানেআমাদের এক সম্মানিত অতিথিরূপে উপস্থিত রয়েছেন । একথাও আমার অজানানয় যে বাংলাদেশের প্রতি তাঁর আবেগ ও অনুভূতি আমার মতোই সমান আন্তরিক। মাননীয়প্রধানমন্ত্রী, আমাদের প্রতিশ্রুতি ও নিরন্তর প্রচেষ্টা সম্পর্কে আমি আপনাকেনিশ্চিতভাবেই আশ্বাস দিতে চাই। শেখ হাসিনা, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আপনারসরকার এবং আমার সরকার মিলিতভাবে তিস্তার জলবন্টন সম্পর্কে দ্রুত এক সমাধানের পথখুঁজে পাবে।


বন্ধুগণ,

বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবর রহমান ছিলেন ভারতের এক প্রিয় বন্ধু। তাঁর ছিল এক গগনচুম্বী ব্যক্তিত্ব।বাংলাদেশের এই জনকের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও সম্ভ্রমের চিহ্নরূপে আমাদের এইরাজধানী নগরের একটি প্রধান সড়ক তাঁর নামেই উৎসর্গ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জীবন ওকর্মের ওপর যৌথ উদ্যোগে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনার প্রস্তাবেও আমরা সম্মত হয়েছি।ছবিটি মুক্তি পাবে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষে। প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনাজির সঙ্গে আমিও বঙ্গবন্ধুর ‘আনফিনিশ্‌ড মেমোয়ের্স’ বইটির হিন্দি অনুবাদপ্রকাশ করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। বাংলাদেশের জন্ম দেওয়ার লক্ষ্যে তাঁর জীবন,সংগ্রাম ও অবদান ভবিষ্যৎ প্রজন্মগুলিকেও অনুপ্রেরণা যুগিয়ে যাবে। আগামী ২০২১ সালেবাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর যৌথভাবেএক তথ্যচিত্র প্রযোজনার প্রস্তাবেও আমরা সহমত জ্ঞাপন করেছি।


মাননীয়প্রধানমন্ত্রী,


বঙ্গবন্ধুরদর্শন ও উত্তরাধিকারকে আপনি সাফল্যের সঙ্গেই বহন করে চলেছেন। আপনার নেতৃত্বেবাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে। তাই, বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতারসম্পর্কে যুক্ত হতে পেরে আমরা বিশেষভাবে আনন্দিত। আমাদের এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বহুপ্রজন্মের রক্ত ও আত্মীয়তার সূত্রে। আমাদের এই সম্পর্ক দু’দেশের জনসাধারণের জন্যএক সুরক্ষিত ও উন্নততর জীবন গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আপনাকে এবং ভারতেআগত আপনার প্রতিনিধিদলকে আরও একবার স্বাগত জানিয়ে আমি এখানেই আমার বক্তব্য শেষকরলাম।


ধন্যবাদ।

আপনাদেরসকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
World Exclusive | Almost like a miracle: Putin praises India's economic rise since independence

Media Coverage

World Exclusive | Almost like a miracle: Putin praises India's economic rise since independence
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
India–Russia friendship has remained steadfast like the Pole Star: PM Modi during the joint press meet with Russian President Putin
December 05, 2025

Your Excellency, My Friend, राष्ट्रपति पुतिन,
दोनों देशों के delegates,
मीडिया के साथियों,
नमस्कार!
"दोबरी देन"!

आज भारत और रूस के तेईसवें शिखर सम्मेलन में राष्ट्रपति पुतिन का स्वागत करते हुए मुझे बहुत खुशी हो रही है। उनकी यात्रा ऐसे समय हो रही है जब हमारे द्विपक्षीय संबंध कई ऐतिहासिक milestones के दौर से गुजर रहे हैं। ठीक 25 वर्ष पहले राष्ट्रपति पुतिन ने हमारी Strategic Partnership की नींव रखी थी। 15 वर्ष पहले 2010 में हमारी साझेदारी को "Special and Privileged Strategic Partnership” का दर्जा मिला।

पिछले ढाई दशक से उन्होंने अपने नेतृत्व और दूरदृष्टि से इन संबंधों को निरंतर सींचा है। हर परिस्थिति में उनके नेतृत्व ने आपसी संबंधों को नई ऊंचाई दी है। भारत के प्रति इस गहरी मित्रता और अटूट प्रतिबद्धता के लिए मैं राष्ट्रपति पुतिन का, मेरे मित्र का, हृदय से आभार व्यक्त करता हूँ।

Friends,

पिछले आठ दशकों में विश्व में अनेक उतार चढ़ाव आए हैं। मानवता को अनेक चुनौतियों और संकटों से गुज़रना पड़ा है। और इन सबके बीच भी भारत–रूस मित्रता एक ध्रुव तारे की तरह बनी रही है।परस्पर सम्मान और गहरे विश्वास पर टिके ये संबंध समय की हर कसौटी पर हमेशा खरे उतरे हैं। आज हमने इस नींव को और मजबूत करने के लिए सहयोग के सभी पहलुओं पर चर्चा की। आर्थिक सहयोग को नई ऊँचाइयों पर ले जाना हमारी साझा प्राथमिकता है। इसे साकार करने के लिए आज हमने 2030 तक के लिए एक Economic Cooperation प्रोग्राम पर सहमति बनाई है। इससे हमारा व्यापार और निवेश diversified, balanced, और sustainable बनेगा, और सहयोग के क्षेत्रों में नए आयाम भी जुड़ेंगे।

आज राष्ट्रपति पुतिन और मुझे India–Russia Business Forum में शामिल होने का अवसर मिलेगा। मुझे पूरा विश्वास है कि ये मंच हमारे business संबंधों को नई ताकत देगा। इससे export, co-production और co-innovation के नए दरवाजे भी खुलेंगे।

दोनों पक्ष यूरेशियन इकॉनॉमिक यूनियन के साथ FTA के शीघ्र समापन के लिए प्रयास कर रहे हैं। कृषि और Fertilisers के क्षेत्र में हमारा करीबी सहयोग,food सिक्युरिटी और किसान कल्याण के लिए महत्वपूर्ण है। मुझे खुशी है कि इसे आगे बढ़ाते हुए अब दोनों पक्ष साथ मिलकर यूरिया उत्पादन के प्रयास कर रहे हैं।

Friends,

दोनों देशों के बीच connectivity बढ़ाना हमारी मुख्य प्राथमिकता है। हम INSTC, Northern Sea Route, चेन्नई - व्लादिवोस्टोक Corridors पर नई ऊर्जा के साथ आगे बढ़ेंगे। मुजे खुशी है कि अब हम भारत के seafarersकी polar waters में ट्रेनिंग के लिए सहयोग करेंगे। यह आर्कटिक में हमारे सहयोग को नई ताकत तो देगा ही, साथ ही इससे भारत के युवाओं के लिए रोजगार के नए अवसर बनेंगे।

उसी प्रकार से Shipbuilding में हमारा गहरा सहयोग Make in India को सशक्त बनाने का सामर्थ्य रखता है। यह हमारेwin-win सहयोग का एक और उत्तम उदाहरण है, जिससे jobs, skills और regional connectivity – सभी को बल मिलेगा।

ऊर्जा सुरक्षा भारत–रूस साझेदारी का मजबूत और महत्वपूर्ण स्तंभ रहा है। Civil Nuclear Energy के क्षेत्र में हमारा दशकों पुराना सहयोग, Clean Energy की हमारी साझा प्राथमिकताओं को सार्थक बनाने में महत्वपूर्ण रहा है। हम इस win-win सहयोग को जारी रखेंगे।

Critical Minerals में हमारा सहयोग पूरे विश्व में secure और diversified supply chains सुनिश्चित करने के लिए महत्वपूर्ण है। इससे clean energy, high-tech manufacturing और new age industries में हमारी साझेदारी को ठोस समर्थन मिलेगा।

Friends,

भारत और रूस के संबंधों में हमारे सांस्कृतिक सहयोग और people-to-people ties का विशेष महत्व रहा है। दशकों से दोनों देशों के लोगों में एक-दूसरे के प्रति स्नेह, सम्मान, और आत्मीयताका भाव रहा है। इन संबंधों को और मजबूत करने के लिए हमने कई नए कदम उठाए हैं।

हाल ही में रूस में भारत के दो नए Consulates खोले गए हैं। इससे दोनों देशों के नागरिकों के बीच संपर्क और सुगम होगा, और आपसी नज़दीकियाँ बढ़ेंगी। इस वर्ष अक्टूबर में लाखों श्रद्धालुओं को "काल्मिकिया” में International Buddhist Forum मे भगवान बुद्ध के पवित्र अवशेषों का आशीर्वाद मिला।

मुझे खुशी है कि शीघ्र ही हम रूसी नागरिकों के लिए निशुल्क 30 day e-tourist visa और 30-day Group Tourist Visa की शुरुआत करने जा रहे हैं।

Manpower Mobility हमारे लोगों को जोड़ने के साथ-साथ दोनों देशों के लिए नई ताकत और नए अवसर create करेगी। मुझे खुशी है इसे बढ़ावा देने के लिए आज दो समझौतेकिए गए हैं। हम मिलकर vocational education, skilling और training पर भी काम करेंगे। हम दोनों देशों के students, scholars और खिलाड़ियों का आदान-प्रदान भी बढ़ाएंगे।

Friends,

आज हमने क्षेत्रीय और वैश्विक मुद्दों पर भी चर्चा की। यूक्रेन के संबंध में भारत ने शुरुआत से शांति का पक्ष रखा है। हम इस विषय के शांतिपूर्ण और स्थाई समाधान के लिए किए जा रहे सभी प्रयासों का स्वागत करते हैं। भारत सदैव अपना योगदान देने के लिए तैयार रहा है और आगे भी रहेगा।

आतंकवाद के विरुद्ध लड़ाई में भारत और रूस ने लंबे समय से कंधे से कंधा मिलाकर सहयोग किया है। पहलगाम में हुआ आतंकी हमला हो या क्रोकस City Hall पर किया गया कायरतापूर्ण आघात — इन सभी घटनाओं की जड़ एक ही है। भारत का अटल विश्वास है कि आतंकवाद मानवता के मूल्यों पर सीधा प्रहार है और इसके विरुद्ध वैश्विक एकता ही हमारी सबसे बड़ी ताक़त है।

भारत और रूस के बीच UN, G20, BRICS, SCO तथा अन्य मंचों पर करीबी सहयोग रहा है। करीबी तालमेल के साथ आगे बढ़ते हुए, हम इन सभी मंचों पर अपना संवाद और सहयोग जारी रखेंगे।

Excellency,

मुझे पूरा विश्वास है कि आने वाले समय में हमारी मित्रता हमें global challenges का सामना करने की शक्ति देगी — और यही भरोसा हमारे साझा भविष्य को और समृद्ध करेगा।

मैं एक बार फिर आपको और आपके पूरे delegation को भारत यात्रा के लिए बहुत बहुत धन्यवाद देता हूँ।