শতাব্দীর সূচনায় বিশ্বের বিকাশ হার ছিল ৩ শতাংশের সামান্য বেশি। অতিমারীর আগে এই হার দাঁড়ায় গড়ে প্রায় ৪ শতাংশ। একই সময়ে প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে নজিরবিহীনভাবে। এর প্রয়োগে সমতা বজায় রাখলে বিকাশ হার বৃদ্ধি, বৈষম্য হ্রাস এবং ধারাবাহিক উন্নয়নমূলক লক্ষ্য অর্জনে আমরা ঐতিহাসিক সুযোগ পেতে পারি। 
ধারাবাহিক উন্নয়নমূলক লক্ষ্য অর্জনের প্রশ্নে অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল রূপান্তর একান্ত জরুরি। বিভিন্ন জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশের অভিজ্ঞতা বলছে যে, সুপরিকল্পিত ডিজিটাল জনপরিকাঠামো এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঠিক প্রয়োগে প্রশাসনিক কাজে প্রাসঙ্গিক তথ্যের ব্যবহার দক্ষভাবে করা সম্ভব। এর ফলে, কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ে এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কাজে গতি আসে। নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন মানুষকে প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি আকৃষ্ট করে। এই প্রেক্ষিতে আমরা রাষ্ট্রসংঘের সামিল অফ দ্য ফিউচার – এ গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট যাতে গৃহীত হয়, সেই আবেদন রাখছি। মিশরের কায়রোয় বিশ্ব ডিজিটাল জনপরিকাঠামো শিখর সম্মেলনকেও আমরা স্বাগত জানাই। 
অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান উভয় ক্ষেত্রেই সাফল্যের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার এমন হওয়া উচিৎ, যাতে প্রতিটি নাগরিক তার সুবিধা পান এবং ক্ষুদ্র শিল্প ক্ষেত্রও উপকৃত হতে পারে। এরফলে, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলটিতে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য। ব্যবস্থাপনা এমন হওয়া উচিৎ, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক, উন্নয়নমুখী, নিরাপদ এবং ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকারকে সম্মান জানায়। বিপণন ক্ষেত্রে মুক্ত আধুনিক ও নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গী বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং আর্থিক ক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগের পথ সুগম করে। এরফলে, গোটা বিষয়টি আরও দক্ষ হয়ে ওঠে এবং প্রযুক্তিগত বিভিন্ন প্রণালীর মধ্যে মেলবন্ধনও সম্ভব হয়ে ওঠে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বর্ধিত জনসংখ্যার চাহিদা মেটানোর কাজও সহজ হয়। 
সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিগত প্রসারে অন্যতম শর্ত হ’ল – প্রযুক্তি নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ এবং সকলের জন্য সমান সুযোগের ব্যবস্থা করা। এক্ষেত্রে ডিজিটাল জনপরিকাঠামো এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে। এই দৃষ্টিভঙ্গী প্রতিযোগিতা ও উদ্ভাবনার প্রশ্নেও সহায়ক। এভাবে অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি ডিজিটাল অর্থনীতিতে বৈষম্য হ্রাস করাও সম্ভব। 
সমদর্শিতার এই পরিমণ্ডল গড়ে তুলতে গেলে ব্যক্তিগত তথ্যাদির নিরাপত্তা রক্ষা করা একান্ত জরুরি। বৌদ্ধিক সম্পদের অধিকার রক্ষার বিষয়টিও এখানে এসে পড়ে। 
উন্নয়নশীল গণতন্ত্রগুলির মূল ভিত্তি হ’ল – পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস। প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। নাগরিকদের অধিকার রক্ষা এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতার লক্ষ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে ভাষা ও সংস্কৃতিগত বৈচিত্র্যের বিষয়টিকেও মাথায় রাখা দরকার। 

 

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
India's energy sector records rapid growth in last 10 years, total installed capacity jumps 56%

Media Coverage

India's energy sector records rapid growth in last 10 years, total installed capacity jumps 56%
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM pays tributes to Dr. Syama Prasad Mukherjee on his Balidan divas
June 23, 2025

The Prime Minister Shri Narendra Modi today paid tributes to Dr. Syama Prasad Mukherjee on his Balidan Divas.

In a post on X, he wrote:

“डॉ. श्यामा प्रसाद मुखर्जी को उनके बलिदान दिवस पर कोटि-कोटि नमन। उन्होंने देश की अखंडता को अक्षुण्ण रखने के लिए अतुलनीय साहस और पुरुषार्थ का परिचय दिया। राष्ट्र निर्माण में उनका अमूल्य योगदान हमेशा श्रद्धापूर्वक याद किया जाएगा।”