ভারত-যুক্তরাজ্যের যৌথ বার্তা

Published By : Admin | October 9, 2025 | 15:24 IST

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে যুক্তরাজ্যের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্যার কিয়ার স্টারমার ২০২৫ সালের ৮–৯ অক্টোবর ভারত সফরে আসেন। প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের সঙ্গে উচ্চস্তরের এক প্রতিনিধিদলও ছিল। এই দলে ছিলেন ব্যবসা ও বাণিজ্য সচিব এবং বাণিজ্য সমিতির সভাপতি মহামান্য পিটার কাইল, স্কটল্যান্ডের সচিব মহামান্য ডগলাস আলেকজান্ডার, বিনিয়োগ মন্ত্রী মি. জেসন স্টকউড এবং ১২৫ জন সিইও, উদ্যোক্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

এটি প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের ভারতের প্রথম সরকারি সফর। ২০২৫ এর ২৩–২৪ জুলাই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্য সফরে ঐতিহাসিক ভারত–যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি (সি ই টি এ) স্বাক্ষর হয়। প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের বর্তমান সফর এই চুক্তির প্রেক্ষিতে উল্লেখযোগ্য।

প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রধানমন্ত্রী স্টারমার ৯ অক্টোবর মুম্বাইয়ে গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্ট-এ মূল ভাষণ প্রদান করেন। একই দিনে দুই নেতা সীমিত পরিসর এবং প্রতিনিধিদল-স্তরের বৈঠক করেন, যেখানে তাঁরা ভারত–যুক্তরাজ্য বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্বের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আন্তরজাতিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থার প্রতি তাঁদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তাঁরা পারস্পরিক আগ্রহের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ও আলোচনা করেন।

বৃদ্ধি

দুই প্রধানমন্ত্রী ভারত–যুক্তরাজ্য শীর্ষ সম্মেলনের পার্শ্বে মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত সিইও ফোরামের বৈঠককে স্বাগত জানান। তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব ভারত–যুক্তরাজ্য বিস্তৃত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি (সি ই টি এ)-র সুফল বাস্তবায়িত করতে এর অনুমোদন সম্পন্ন করার আশা ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রীরা সি ই টি এ-র শাসনব্যবস্থা ও প্রয়োগে সহায়তা করতে যৌথ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য কমিটি (জেটকো)-র পুনর্গঠনকেও স্বাগত জানান।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উচ্চস্তরের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের আসা নির্মাণ, পরিকাঠামো ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, উন্নত উৎপাদন, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, আর্থিক ও পেশাগত পরিষেবা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, সাধারণ পণ্য এবং খাদ্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনাকে প্রতিফলিত করছে। নীতি আয়োগ ও সিটি অফ লন্ডন কর্পোরেশনের মধ্যে যুক্তরাজ্য–ভারত পরিকাঠামো অর্থায়ন সেতু (ইউ কে আই আই এফ বি) দুই দেশই সুস্থায়ী উন্নয়নের যৌথ আকাঙ্ক্ষার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

দুই প্রধানমন্ত্রী বিমান চলাচল সংযোগ বৃদ্ধির ও সহযোগিতা সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ভারত–যুক্তরাজ্য বিমান পরিষেবা চুক্তির নবায়ন সহ অন্যান্য বিমান সম্পর্কিত বিষয়ে চলতে থাকা আলোচনাকে স্বাগত জানান। এটি মহাকাশ ও বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি করবে।

প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন

ভারত ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীরা অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার ও বৈশ্বিক উদ্ভাবনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অগ্রগামী প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে তাঁদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রযুক্তি নিরাপত্তা উদ্যোগ (টি এস আই)-এর ভিত্তিতে দুই নেতা টেলিকম, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এ আই ও স্বাস্থ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাস্তব অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

নেতারা টি এস আই,এর অধীনে নিম্নলিখিত উদ্যোগগুলির প্রতিষ্ঠাকে স্বাগত জানান:

* £২৪০ লক্ষ যৌথ তহবিল সহ ভারত–যুক্তরাজ্য সংযোগ ও উদ্ভাবন কেন্দ্রের প্রথম ধাপ, যা ৬জি-এর জন্য এ আই ভিত্তিক সংযোগ, নন-টেরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ক (এন টি এন) ও টেলিকম সাইবার নিরাপত্তার উন্নয়নে নিবেদিত।

* ভারত–যুক্তরাজ্য যৌথ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেন্দ্র, যা স্বাস্থ্য, জলবায়ু, অরথ প্রযুক্তি ও জীবপ্রকৌশলে দায়িত্বশীল ও বিশ্বস্ত এ আই ব্যবহার সম্ভব করবে।

* যুক্তরাজ্য–ভারত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ প্রক্রিয়াকরণ ও সহযোগিতা গিল্ড, যা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলকে শক্তিশালী ও বৈচিত্র্যময় করবে এবং উভয় দেশে বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি বাড়াবে। তাঁরা যুক্তরাজ্য–ভারত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খল পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের দ্বিতীয় পর্যার সূচনাও ঘোষণা করেন, যা খনিজ ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ, প্রযুক্তির ঐক্যকরন ও আইআইটি–আইএসএম ধানবাদের নতুন স্যাটেলাইট ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।

উভয় দেশ বায়োটেকনোলজি বা জীবপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা অগ্রসর করতে একমত হয়, যেখানে যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর প্রসেস ইনভেশন এবং ভারতের ব্রিক, এইচ আর আই, আই আই এস সি,  ও এন টি এবং ব্রিক- সি ডি এফ ডি'র মধ্যে একাধিক কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এসব অংশীদারিত্ব জৈব-উৎপাদন, ৩ডি বায়োপ্রিন্টিং ও জিনোমিক্স ক্ষেত্রে রূপান্তরমূলক প্রভাব ফেলবে।

প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা

দুই নেতা ভারত ও যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিনিময় সম্প্রসারণে একমত হন। যৌথ মহড়া, প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সম্প্রসারণ ঘটবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী যুক্তরাজ্যের ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের ভারত সফর ও ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে রয়্যাল নেভির "কঙ্কণ" মহড়াকে স্বাগত জানংকন"দুই দেশ ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দৃঢ় সামুদ্রিক নিরাপত্তা সহযোগিতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে ইন্দো–প্যাসিফিক ওশান ইনিশিয়েটিভ (আই পি ও আই)-এর অধীনে আঞ্চলিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা উৎকর্ষ কেন্দ্র (আর এম এস সি এ) প্রতিষ্ঠা অন্তর্ভুক্ত।

দুই নেতা ভারতীয় বায়ুসেনার যোগ্য প্রশিক্ষকদের যুক্তরাজ্যের রয়্যাল এয়ার ফোর্স প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থায় অগ্রগতিকে স্বাগত জানান। তাঁরা ভারতীয় নৌবাহিনীর মঞ্চে সামুদ্রিক বৈদ্যুতিক প্রপালশন সিস্টেম বিকাশে সহযোগিতার জন্য ভারত–যুক্তরাজ্য আন্তঃসরকারি চুক্তি (আই জি এ) চূড়ান্ত করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন।

এছাড়া, দুই নেতা লাইটওয়েট মাল্টিরোল মিসাইল (এল এম এম) সিস্টেমের প্রাথমিক সরবরাহ সরকার-থেকে-সরকার পথে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন, যা ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর ভাবনায় দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গড়ে তুলবে।

দুই প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থার দৃঢ় নিন্দা করেন এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা ও সমন্বিত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানান। তাঁরা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সন্ত্রাস দমন, চরমপন্থা মোকাবিলা, অর্থায়ন রোধ, সীমান্তপারে সন্ত্রাসী চলাচল প্রতিরোধ, এবং তথ্য বিনিময়, বিচারিক সহযোগিতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি জোরদার করার বিষয়ে একমত হন। তাঁরা ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলাকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করেন।

জলবায়ু ও জ্বালানি

নেতারা নেট-জিরো লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহযোগিতার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। তাঁরা ভারত–যুক্তরাজ্য জলবায়ু অর্থায়ন উদ্যোগ কে স্বাগত জানান, যা সবুজ প্রবৃদ্ধি ও নতুন অর্থায়নের সুযোগ উন্মোচন করবে।  যুক্তরাজ্য সরকার ও স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দুই দেশ যৌথভাবে ক্লাইমেট টেক স্টার্টআপ ফান্ডে বিনিয়োগের ঘোষণা করে।

তাঁরা অফশোর উইন্ড টাস্কফোর্স গঠনের ঘোষণা করেন এবং গ্লোবাল ক্লিন পাওয়ার অ্যালায়েন্স (জি সি পি এ) এর মাধ্যমে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার গ্রহণ করেন।

শিক্ষা, সংস্কৃতি ও জনগণের সংযোগ

নেতারা যুব, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত বিনিময়ের গুরুত্ব স্বীকার করেন, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাঁরা প্রথম বার্ষিক মন্ত্রীস্তরীয় কৌশলগত শিক্ষা সংলাপ এবং ২০২৫ এর মে মাসে স্বাক্ষরিত সাংস্কৃতিক সহযোগিতা কর্মসূচি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

উভয় পক্ষ নয়টি শীর্ষস্থানীয় যুক্তরাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতে শাখা খোলার অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ইউনিভার্সিটি অফ সাউদ্যাম্পটন গুরগাঁও ক্যাম্পাসে তার প্রথম ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের স্বাগত জানিয়েছে। ইউজিসি ইতিমধ্যেই ইউনিভার্সিটি অফ লিভারপুল, ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্ক, ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাবারডিন ও ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিস্টল এর জন্য লেটার অফ ইন্টেন্ট প্রদান করেছে। এছাড়া কুইন্স ইউনিভার্সিটি অফ বেলফাস্ট ও কভেন্ট্রি ইউনিভার্সিটি কে গিফট সিটিতে শাখা খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সফরের সময় ভারত সরকার ল্যাঙ্কাস্টার ইউনিভার্সিটির বেঙ্গালুরু ক্যাম্পাসের জন্য লেটার অফ ইন্টেন্ট প্রদান করে এবং ইউনিভার্সিটি অফ সারির গিফট সিটি ক্যাম্পাসের জন্য নীতিগত অনুমোদন প্রদান করে।

দুই প্রধানমন্ত্রী মাইগ্রেশন অ্যান্ড মোবিলিটি পার্টনারশিপ (এম এম পি) বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবেন বলে জানান। তাঁরা বেয়াইনি অনুপ্রবেশ রোধে সহযোগিতার অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

নেতারা যুক্তরাজ্যে ভারতীয় প্রবাসী সমাজকে দুই দেশের মধ্যে জীবন্ত সেতু হিসেবে অভিহিত করেন এবং দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সম্পর্ক দৃঢ় করার ক্ষেত্রে তাদের অবদানকে উচ্চ প্রশংসা করেন। তাঁরা যুক্তরাজ্য–ভারত সাংস্কৃতিক সহযোগিতা কর্মসূচীর মাধ্যমে সংস্কৃতি, শিল্প, পর্যটন ও খেলাধুলার ক্ষেত্রে দুই দেশের প্রতিভাকে একত্রিত করার সম্ভাবনার কথা বলেন।

আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা

দুই প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার প্রতি তাঁদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তাঁরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার সহ বহুপাক্ষিকতার সংস্কারকে এগিয়ে নিতে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে একমত হন। যুক্তরাজ্য পুনরায় ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ প্রাপ্তির ন্যায্য দাবির প্রতি তার দীর্ঘস্থায়ী সমর্থন ব্যক্ত করে।

প্রধানমন্ত্রীরা উল্লেখ করেন যে কমনওয়েলথের ২৫০ কোটি মানুষের যৌথ মূল্যবোধই তার প্রকৃত শক্তি। তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তন, সুস্থায়ী উন্নয়ন ও যুবশক্তির ক্ষেত্রে কমনওয়েলথ সংস্থা গুলির নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার গ্রহণ করেন।

দুই প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ইউক্রেনে ন্যায়সংগত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়াসকে সমর্থন জানান এবং এই লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান।

তাঁরা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা, আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা এবং শান্তিভঙ্গ না করার আহ্বান জানান। তাঁরা গাজা সংক্রান্ত মার্কিন শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন এবং অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, বন্দীদের মুক্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তাঁরা নিরাপদ ও সুরক্ষিত ইসরায়েলের পাশাপাশি, একটি কার্যকরী প্যালেস্তাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের দিকে একটি ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তির জন্য তাঁদের যৌথ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী স্টারমার প্রধানমন্ত্রী মোদীর উষ্ণ আতিথেয়তা ও সৌজন্যের জন্য ধন্যবাদ জানান। এই সফর দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব, অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও পারস্পরিক আস্থার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা ভারত–যুক্তরাজ্য বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্বের দৃঢ় বিকাশ ও ইতিবাচক গতিপথকে পুনরায় নিশ্চিত করেছে।

 

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
India’s Urban Growth Broadens: Dun & Bradstreet’s City Vitality Index Highlights New Economic Frontiers

Media Coverage

India’s Urban Growth Broadens: Dun & Bradstreet’s City Vitality Index Highlights New Economic Frontiers
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, the world sees the Indian Growth Model as a model of hope: PM Modi
November 17, 2025
India is eager to become developed, India is eager to become self-reliant: PM
India is not just an emerging market, India is also an emerging model: PM
Today, the world sees the Indian Growth Model as a model of hope: PM
We are continuously working on the mission of saturation; Not a single beneficiary should be left out from the benefits of any scheme: PM
In our new National Education Policy, we have given special emphasis to education in local languages: PM

विवेक गोयनका जी, भाई अनंत, जॉर्ज वर्गीज़ जी, राजकमल झा, इंडियन एक्सप्रेस ग्रुप के सभी अन्य साथी, Excellencies, यहां उपस्थित अन्य महानुभाव, देवियों और सज्जनों!

आज हम सब एक ऐसी विभूति के सम्मान में यहां आए हैं, जिन्होंने भारतीय लोकतंत्र में, पत्रकारिता, अभिव्यक्ति और जन आंदोलन की शक्ति को नई ऊंचाई दी है। रामनाथ जी ने एक Visionary के रूप में, एक Institution Builder के रूप में, एक Nationalist के रूप में और एक Media Leader के रूप में, Indian Express Group को, सिर्फ एक अखबार नहीं, बल्कि एक Mission के रूप में, भारत के लोगों के बीच स्थापित किया। उनके नेतृत्व में ये समूह, भारत के लोकतांत्रिक मूल्यों और राष्ट्रीय हितों की आवाज़ बना। इसलिए 21वीं सदी के इस कालखंड में जब भारत विकसित होने के संकल्प के साथ आगे बढ़ रहा है, तो रामनाथ जी की प्रतिबद्धता, उनके प्रयास, उनका विजन, हमारी बहुत बड़ी प्रेरणा है। मैं इंडियन एक्सप्रेस ग्रुप का आभार व्यक्त करता हूं कि आपने मुझे इस व्याख्यान में आमंत्रित किया, मैं आप सभी का अभिनंदन करता हूं।

साथियों,

रामनाथ जी गीता के एक श्लोक से बहुत प्रेरणा लेते थे, सुख दुःखे समे कृत्वा, लाभा-लाभौ जया-जयौ। ततो युद्धाय युज्यस्व, नैवं पापं अवाप्स्यसि।। अर्थात सुख-दुख, लाभ-हानि और जय-पराजय को समान भाव से देखकर कर्तव्य-पालन के लिए युद्ध करो, ऐसा करने से तुम पाप के भागी नहीं बनोगे। रामनाथ जी आजादी के आंदोलन के समय कांग्रेस के समर्थक रहे, बाद में जनता पार्टी के भी समर्थक रहे, फिर जनसंघ के टिकट पर चुनाव भी लड़ा, विचारधारा कोई भी हो, उन्होंने देशहित को प्राथमिकता दी। जिन लोगों ने रामनाथ जी के साथ वर्षों तक काम किया है, वो कितने ही किस्से बताते हैं जो रामनाथ जी ने उन्हें बताए थे। आजादी के बाद जब हैदराबाद और रजाकारों को उसके अत्याचार का विषय आया, तो कैसे रामनाथ जी ने सरदार वल्‍लभभाई पटेल की मदद की, सत्तर के दशक में जब बिहार में छात्र आंदोलन को नेतृत्व की जरूरत थी, तो कैसे नानाजी देशमुख के साथ मिलकर रामनाथ जी ने जेपी को उस आंदोलन का नेतृत्व करने के लिए तैयार किया। इमरजेंसी के दौरान, जब रामनाथ जी को इंदिऱा गांधी के सबसे करीबी मंत्री ने बुलाकर धमकी दी कि मैं तुम्हें जेल में डाल दूंगा, तो इस धमकी के जवाब में रामनाथ जी ने पलटकर जो कहा था, ये सब इतिहास के छिपे हुए दस्तावेज हैं। कुछ बातें सार्वजनिक हुई, कुछ नहीं हुई हैं, लेकिन ये बातें बताती हैं कि रामनाथ जी ने हमेशा सत्य का साथ दिया, हमेशा कर्तव्य को सर्वोपरि रखा, भले ही सामने कितनी ही बड़ी ताकत क्‍यों न हो।

साथियों,

रामनाथ जी के बारे में कहा जाता था कि वे बहुत अधीर थे। अधीरता, Negative Sense में नहीं, Positive Sense में। वो अधीरता जो परिवर्तन के लिए परिश्रम की पराकाष्ठा कराती है, वो अधीरता जो ठहरे हुए पानी में भी हलचल पैदा कर देती है। ठीक वैसे ही, आज का भारत भी अधीर है। भारत विकसित होने के लिए अधीर है, भारत आत्मनिर्भर होने के लिए अधीर है, हम सब देख रहे हैं, इक्कीसवीं सदी के पच्चीस साल कितनी तेजी से बीते हैं। एक से बढ़कर एक चुनौतियां आईं, लेकिन वो भारत की रफ्तार को रोक नहीं पाईं।

साथियों,

आपने देखा है कि बीते चार-पांच साल कैसे पूरी दुनिया के लिए चुनौतियों से भरे रहे हैं। 2020 में कोरोना महामारी का संकट आया, पूरे विश्व की अर्थव्यवस्थाएं अनिश्चितताओं से घिर गईं। ग्लोबल सप्लाई चेन पर बहुत बड़ा प्रभाव पड़ा और सारा विश्व एक निराशा की ओर जाने लगा। कुछ समय बाद स्थितियां संभलना धीरे-धीरे शुरू हो रहा था, तो ऐसे में हमारे पड़ोसी देशों में उथल-पुथल शुरू हो गईं। इन सारे संकटों के बीच, हमारी इकॉनमी ने हाई ग्रोथ रेट हासिल करके दिखाया। साल 2022 में यूरोपियन क्राइसिस के कारण पूरे दुनिया की सप्लाई चेन और एनर्जी मार्केट्स प्रभावित हुआ। इसका असर पूरी दुनिया पर पड़ा, इसके बावजूद भी 2022-23 में हमारी इकोनॉमी की ग्रोथ तेजी से होती रही। साल 2023 में वेस्ट एशिया में स्थितियां बिगड़ीं, तब भी हमारी ग्रोथ रेट तेज रही और इस साल भी जब दुनिया में अस्थिरता है, तब भी हमारी ग्रोथ रेट Seven Percent के आसपास है।

साथियों,

आज जब दुनिया disruption से डर रही है, भारत वाइब्रेंट फ्यूचर के Direction में आगे बढ़ रहा है। आज इंडियन एक्सप्रेस के इस मंच से मैं कह सकता हूं, भारत सिर्फ़ एक emerging market ही नहीं है, भारत एक emerging model भी है। आज दुनिया Indian Growth Model को Model of Hope मान रहा है।

साथियों,

एक सशक्त लोकतंत्र की अनेक कसौटियां होती हैं और ऐसी ही एक बड़ी कसौटी लोकतंत्र में लोगों की भागीदारी की होती है। लोकतंत्र को लेकर लोग कितने आश्वस्त हैं, लोग कितने आशावादी हैं, ये चुनाव के दौरान सबसे अधिक दिखता है। अभी 14 नवंबर को जो नतीजे आए, वो आपको याद ही होंगे और रामनाथ जी का भी बिहार से नाता रहा था, तो उल्लेख बड़ा स्वाभाविक है। इन ऐतिहासिक नतीजों के साथ एक और बात बहुत अहम रही है। कोई भी लोकतंत्र में लोगों की बढ़ती भागीदारी को नजरअंदाज नहीं कर सकता। इस बार बिहार के इतिहास का सबसे अधिक वोटर टर्न-आउट रहा है। आप सोचिए, महिलाओं का टर्न-आउट, पुरुषों से करीब 9 परसेंट अधिक रहा। ये भी लोकतंत्र की विजय है।

साथियों,

बिहार के नतीजों ने फिर दिखाया है कि भारत के लोगों की आकांक्षाएं, उनकी Aspirations कितनी ज्यादा हैं। भारत के लोग आज उन राजनीतिक दलों पर विश्वास करते हैं, जो नेक नीयत से लोगों की उन Aspirations को पूरा करते हैं, विकास को प्राथमिकता देते हैं। और आज इंडियन एक्सप्रेस के इस मंच से मैं देश की हर राज्य सरकार को, हर दल की राज्य सरकार को बहुत विनम्रता से कहूंगा, लेफ्ट-राइट-सेंटर, हर विचार की सरकार को मैं आग्रह से कहूंगा, बिहार के नतीजे हमें ये सबक देते हैं कि आप आज किस तरह की सरकार चला रहे हैं। ये आने वाले वर्षों में आपके राजनीतिक दल का भविष्य तय करेंगे। आरजेडी की सरकार को बिहार के लोगों ने 15 साल का मौका दिया, लालू यादव जी चाहते तो बिहार के विकास के लिए बहुत कुछ कर सकते थे, लेकिन उन्होंने जंगलराज का रास्ता चुना। बिहार के लोग इस विश्वासघात को कभी भूल नहीं सकते। इसलिए आज देश में जो भी सरकारें हैं, चाहे केंद्र में हमारी सरकार है या फिर राज्यों में अलग-अलग दलों की सरकारें हैं, हमारी सबसे बड़ी प्राथमिकता सिर्फ एक होनी चाहिए विकास, विकास और सिर्फ विकास। और इसलिए मैं हर राज्य सरकार को कहता हूं, आप अपने यहां बेहतर इंवेस्टमेंट का माहौल बनाने के लिए कंपटीशन करिए, आप Ease of Doing Business के लिए कंपटीशन करिए, डेवलपमेंट पैरामीटर्स में आगे जाने के लिए कंपटीशन करिए, फिर देखिए, जनता कैसे आप पर अपना विश्वास जताती है।

साथियों,

बिहार चुनाव जीतने के बाद कुछ लोगों ने मीडिया के कुछ मोदी प्रेमियों ने फिर से ये कहना शुरू किया है भाजपा, मोदी, हमेशा 24x7 इलेक्शन मोड में ही रहते हैं। मैं समझता हूं, चुनाव जीतने के लिए इलेक्शन मोड नहीं, चौबीसों घंटे इलेक्शन मोड में रहना जरूरी होता है, इमोशनल मोड में रहना जरूरी होता है, इलेक्शन मोड में नहीं। जब मन के भीतर एक बेचैनी सी रहती है कि एक मिनट भी गंवाना नहीं है, गरीब के जीवन से मुश्किलें कम करने के लिए, गरीब को रोजगार के लिए, गरीब को इलाज के लिए, मध्यम वर्ग की आकांक्षाओं को पूरा करने के लिए, बस मेहनत करते रहना है। इस इमोशन के साथ, इस भावना के साथ सरकार लगातार जुटी रहती है, तो उसके नतीजे हमें चुनाव परिणाम के दिन दिखाई देते हैं। बिहार में भी हमने अभी यही होते देखा है।

साथियों,

रामनाथ जी से जुड़े एक और किस्से का मुझसे किसी ने जिक्र किया था, ये बात तब की है, जब रामनाथ जी को विदिशा से जनसंघ का टिकट मिला था। उस समय नानाजी देशमुख जी से उनकी इस बात पर चर्चा हो रही थी कि संगठन महत्वपूर्ण होता है या चेहरा। तो नानाजी देशमुख ने रामनाथ जी से कहा था कि आप सिर्फ नामांकन करने आएंगे और फिर चुनाव जीतने के बाद अपना सर्टिफिकेट लेने आ जाइएगा। फिर नानाजी ने पार्टी कार्यकर्ताओं के बल पर रामनाथ जी का चुनाव लड़ा औऱ उन्हें जिताकर दिखाया। वैसे ये किस्सा बताने के पीछे मेरा ये मतलब नहीं है कि उम्मीदवार सिर्फ नामांकन करने जाएं, मेरा मकसद है, भाजपा के अनगिनत कर्तव्य़ निष्ठ कार्यकर्ताओं के समर्पण की ओर आपका ध्यान आकर्षित करना।

साथियों,

भारतीय जनता पार्टी के लाखों-करोड़ों कार्यकर्ताओं ने अपने पसीने से भाजपा की जड़ों को सींचा है और आज भी सींच रहे हैं। और इतना ही नहीं, केरला, पश्चिम बंगाल, जम्मू-कश्मीर, ऐसे कुछ राज्यों में हमारे सैकड़ों कार्यकर्ताओं ने अपने खून से भी भाजपा की जड़ों को सींचा है। जिस पार्टी के पास ऐसे समर्पित कार्यकर्ता हों, उनके लिए सिर्फ चुनाव जीतना ध्येय नहीं होता, बल्कि वो जनता का दिल जीतने के लिए, सेवा भाव से उनके लिए निरंतर काम करते हैं।

साथियों,

देश के विकास के लिए बहुत जरूरी है कि विकास का लाभ सभी तक पहुंचे। दलित-पीड़ित-शोषित-वंचित, सभी तक जब सरकारी योजनाओं का लाभ पहुंचता है, तो सामाजिक न्याय सुनिश्चित होता है। लेकिन हमने देखा कि बीते दशकों में कैसे सामाजिक न्याय के नाम पर कुछ दलों, कुछ परिवारों ने अपना ही स्वार्थ सिद्ध किया है।

साथियों,

मुझे संतोष है कि आज देश, सामाजिक न्याय को सच्चाई में बदलते देख रहा है। सच्चा सामाजिक न्याय क्या होता है, ये मैं आपको बताना चाहता हूं। 12 करोड़ शौचालयों के निर्माण का अभियान, उन गरीब लोगों के जीवन में गरिमा लेकर के आया, जो खुले में शौच के लिए मजबूर थे। 57 करोड़ जनधन बैंक खातों ने उन लोगों का फाइनेंशियल इंक्लूजन किया, जिनको पहले की सरकारों ने एक बैंक खाते के लायक तक नहीं समझा था। 4 करोड़ गरीबों को पक्के घरों ने गरीब को नए सपने देखने का साहस दिया, उनकी रिस्क टेकिंग कैपेसिटी बढ़ाई है।

साथियों,

बीते 11 वर्षों में सोशल सिक्योरिटी पर जो काम हुआ है, वो अद्भुत है। आज भारत के करीब 94 करोड़ लोग सोशल सिक्योरिटी नेट के दायरे में आ चुके हैं। और आप जानते हैं 10 साल पहले क्या स्थिति थी? सिर्फ 25 करोड़ लोग सोशल सिक्योरिटी के दायरे में थे, आज 94 करोड़ हैं, यानि सिर्फ 25 करोड़ लोगों तक सरकार की सामाजिक सुरक्षा योजनाओं का लाभ पहुंच रहा था। अब ये संख्या बढ़कर 94 करोड़ पहुंच चुकी है और यही तो सच्चा सामाजिक न्याय है। और हमने सोशल सिक्योरिटी नेट का दायरा ही नहीं बढ़ाया, हम लगातार सैचुरेशन के मिशन पर काम कर रहे हैं। यानि किसी भी योजना के लाभ से एक भी लाभार्थी छूटे नहीं। और जब कोई सरकार इस लक्ष्य के साथ काम करती है, हर लाभार्थी तक पहुंचना चाहती है, तो किसी भी तरह के भेदभाव की गुंजाइश भी खत्म हो जाती है। ऐसे ही प्रयासों की वजह से पिछले 11 साल में 25 करोड़ लोगों ने गरीबी को परास्त करके दिखाया है। और तभी आज दुनिया भी ये मान रही है- डेमोक्रेसी डिलिवर्स।

साथियों,

मैं आपको एक और उदाहरण दूंगा। आप हमारे एस्पिरेशनल डिस्ट्रिक्ट प्रोग्राम का अध्ययन करिए, देश के सौ से अधिक जिले ऐसे थे, जिन्हें पहले की सरकारें पिछड़ा घोषित करके भूल गई थीं। सोचा जाता था कि यहां विकास करना बड़ा मुश्किल है, अब कौन सर खपाए ऐसे जिलों में। जब किसी अफसर को पनिशमेंट पोस्टिंग देनी होती थी, तो उसे इन पिछड़े जिलों में भेज दिया जाता था कि जाओ, वहीं रहो। आप जानते हैं, इन पिछड़े जिलों में देश की कितनी आबादी रहती थी? देश के 25 करोड़ से ज्यादा नागरिक इन पिछड़े जिलों में रहते थे।

साथियों,

अगर ये पिछड़े जिले पिछड़े ही रहते, तो भारत अगले 100 साल में भी विकसित नहीं हो पाता। इसलिए हमारी सरकार ने एक नई रणनीति के साथ काम करना शुरू किया। हमने राज्य सरकारों को ऑन-बोर्ड लिया, कौन सा जिला किस डेवलपमेंट पैरामीटर में कितनी पीछे है, उसकी स्टडी करके हर जिले के लिए एक अलग रणनीति बनाई, देश के बेहतरीन अफसरों को, ब्राइट और इनोवेटिव यंग माइंड्स को वहां नियुक्त किया, इन जिलों को पिछड़ा नहीं, Aspirational माना और आज देखिए, देश के ये Aspirational Districts, कितने ही डेवलपमेंट पैरामीटर्स में अपने ही राज्यों के दूसरे जिलों से बहुत अच्छा करने लगे हैं। छत्तीसगढ़ का बस्तर, वो आप लोगों का तो बड़ा फेवरेट रहा है। एक समय आप पत्रकारों को वहां जाना होता था, तो प्रशासन से ज्यादा दूसरे संगठनों से परमिट लेनी होती थी, लेकिन आज वही बस्तर विकास के रास्ते पर बढ़ रहा है। मुझे नहीं पता कि इंडियन एक्सप्रेस ने बस्तर ओलंपिक को कितनी कवरेज दी, लेकिन आज रामनाथ जी ये देखकर बहुत खुश होते कि कैसे बस्तर में अब वहां के युवा बस्तर ओलंपिक जैसे आयोजन कर रहे हैं।

साथियों,

जब बस्तर की बात आई है, तो मैं इस मंच से नक्सलवाद यानि माओवादी आतंक की भी चर्चा करूंगा। पूरे देश में नक्सलवाद-माओवादी आतंक का दायरा बहुत तेजी से सिमट रहा है, लेकिन कांग्रेस में ये उतना ही सक्रिय होता जा रहा था। आप भी जानते हैं, बीते पांच दशकों तक देश का करीब-करीब हर बड़ा राज्य, माओवादी आतंक की चपेट में, चपेट में रहा। लेकिन ये देश का दुर्भाग्य था कि कांग्रेस भारत के संविधान को नकारने वाले माओवादी आतंक को पालती-पोसती रही और सिर्फ दूर-दराज के क्षेत्रों में जंगलों में ही नहीं, कांग्रेस ने शहरों में भी नक्सलवाद की जड़ों को खाद-पानी दिया। कांग्रेस ने बड़ी-बड़ी संस्थाओं में अर्बन नक्सलियों को स्थापित किया है।

साथियों,

10-15 साल पहले कांग्रेस में जो अर्बन नक्सली, माओवादी पैर जमा चुके थे, वो अब कांग्रेस को मुस्लिम लीगी- माओवादी कांग्रेस, MMC बना चुके हैं। और मैं आज पूरी जिम्मेदारी से कहूंगा कि ये मुस्लिम लीगी- माओवादी कांग्रेस, अपने स्वार्थ में देशहित को तिलांजलि दे चुकी है। आज की मुस्लिम लीगी- माओवादी कांग्रेस, देश की एकता के सामने बहुत बड़ा खतरा बनती जा रही है।

साथियों,

आज जब भारत, विकसित बनने की एक नई यात्रा पर निकल पड़ा है, तब रामनाथ गोयनका जी की विरासत और भी प्रासंगिक है। रामनाथ जी ने अंग्रेजों की गुलामी से डटकर टक्कर ली, उन्होंने अपने एक संपादकीय में लिखा था, मैं अंग्रेज़ों के आदेश पर अमल करने के बजाय, अखबार बंद करना पसंद करुंगा। इसी तरह जब इमरजेंसी के रूप में देश को गुलाम बनाने की एक और कोशिश हुई, तब भी रामनाथ जी डटकर खड़े हो गए थे और ये वर्ष तो इमरजेंसी के पचास वर्ष पूरे होने का भी है। और इंडियन एक्सप्रेस ने 50 वर्ष पहले दिखाया है, कि ब्लैंक एडिटोरियल्स भी जनता को गुलाम बनाने वाली मानसिकता को चुनौती दे सकते हैं।

साथियों,

आज आपके इस सम्मानित मंच से, मैं गुलामी की मानसिकता से मुक्ति के इस विषय पर भी विस्तार से अपनी बात रखूंगा। लेकिन इसके लिए हमें 190 वर्ष पीछे जाना पड़ेगा। 1857 के सबसे स्वतंत्रता संग्राम से भी पहले, वो साल था 1835, 1835 में ब्रिटिश सांसद थॉमस बेबिंगटन मैकाले ने भारत को अपनी जड़ों से उखाड़ने के लिए एक बहुत बड़ा अभियान शुरू किया था। उसने ऐलान किया था, मैं ऐसे भारतीय बनाऊंगा कि वो दिखने में तो भारतीय होंगे लेकिन मन से अंग्रेज होंगे। और इसके लिए मैकाले ने भारतीय शिक्षा व्यवस्था में आमूलचूल परिवर्तन नहीं, बल्कि उसका समूल नाश कर दिया। खुद गांधी जी ने भी कहा था कि भारत की प्राचीन शिक्षा व्यवस्था एक सुंदर वृक्ष थी, जिसे जड़ से हटा कर नष्ट कर दिया।

साथियों,

भारत की शिक्षा व्यवस्था में हमें अपनी संस्कृति पर गर्व करना सिखाया जाता था, भारत की शिक्षा व्यवस्था में पढ़ाई के साथ ही कौशल पर भी उतना ही जोर था, इसलिए मैकाले ने भारत की शिक्षा व्यवस्था की कमर तोड़ने की ठानी और उसमें सफल भी रहा। मैकाले ने ये सुनिश्चित किया कि उस दौर में ब्रिटिश भाषा, ब्रिटिश सोच को ज्यादा मान्यता मिले और इसका खामियाजा भारत ने आने वाली सदियों में उठाया।

साथियों,

मैकाले ने हमारे आत्मविश्वास को तोड़ दिया दिया, हमारे भीतर हीन भावना का संचार किया। मैकाले ने एक झटके में हजारों वर्षों के हमारे ज्ञान-विज्ञान को, हमारी कला-संस्कृति को, हमारी पूरी जीवन शैली को ही कूड़ेदान में फेंक दिया था। वहीं पर वो बीज पड़े कि भारतीयों को अगर आगे बढ़ना है, अगर कुछ बड़ा करना है, तो वो विदेशी तौर तरीकों से ही करना होगा। और ये जो भाव था, वो आजादी मिलने के बाद भी और पुख्ता हुआ। हमारी एजुकेशन, हमारी इकोनॉमी, हमारे समाज की एस्पिरेशंस, सब कुछ विदेशों के साथ जुड़ गईं। जो अपना है, उस पर गौरव करने का भाव कम होता गया। गांधी जी ने जिस स्वदेशी को आज़ादी का आधार बनाया था, उसको पूछने वाला ही कोई नहीं रहा। हम गवर्नेंस के मॉडल विदेश में खोजने लगे। हम इनोवेशन के लिए विदेश की तरफ देखने लगे। यही मानसिकता रही, जिसकी वजह से इंपोर्टेड आइडिया, इंपोर्टेड सामान और सर्विस, सभी को श्रेष्ठ मानने की प्रवृत्ति समाज में स्थापित हो गई।

साथियों,

जब आप अपने देश को सम्मान नहीं देते हैं, तो आप स्वदेशी इकोसिस्टम को नकारते हैं, मेड इन इंडिया मैन्युफैक्चरिंग इकोसिस्टम को नकारते हैं। मैं आपको एक और उदाहरण, टूरिज्म की बात करता हूं। आप देखेंगे कि जिस भी देश में टूरिज्म फला-फूला, वो देश, वहां के लोग, अपनी ऐतिहासिक विरासत पर गर्व करते हैं। हमारे यहां इसका उल्टा ही हुआ। भारत में आज़ादी के बाद, अपनी विरासत को दुत्कारने के ही प्रयास हुए, जब अपनी विरासत पर गर्व नहीं होगा तो उसका संरक्षण भी नहीं होगा। जब संरक्षण नहीं होगा, तो हम उसको ईंट-पत्थर के खंडहरों की तरह ही ट्रीट करते रहेंगे और ऐसा हुआ भी। अपनी विरासत पर गर्व होना, टूरिज्म के विकास के लिए भी आवश्यक शर्त है।

साथियों,

ऐसे ही स्थानीय भाषाओं की बात है। किस देश में ऐसा होता है कि वहां की भाषाओं को दुत्कारा जाता है? जापान, चीन और कोरिया जैसे देश, जिन्होंने west के अनेक तौर-तरीके अपनाए, लेकिन भाषा, फिर भी अपनी ही रखी, अपनी भाषा पर कंप्रोमाइज नहीं किया। इसलिए, हमने नई नेशनल एजुकेशन पॉलिसी में स्थानीय भाषाओं में पढ़ाई पर विशेष बल दिया है और मैं बहुत स्पष्टता से कहूंगा, हमारा विरोध अंग्रेज़ी भाषा से नहीं है, हम भारतीय भाषाओं के समर्थन में हैं।

साथियों,

मैकाले द्वारा किए गए उस अपराध को 1835 में जो अपराध किया गया 2035, 10 साल के बाद 200 साल हो जाएंगे और इसलिए आज आपके माध्यम से पूरे देश से एक आह्वान करना चाहता हूं, अगले 10 साल में हमें संकल्प लेकर चलना है कि मैकाले ने भारत को जिस गुलामी की मानसिकता से भर दिया है, उस सोच से मुक्ति पाकर के रहेंगे, 10 साल हमारे पास बड़े महत्वपूर्ण हैं। मुझे याद है एक छोटी घटना, गुजरात में लेप्रोसी को लेकर के एक अस्पताल बन रहा था, तो वो सारे लोग महात्‍मा गांधी जी से मिले उसके उद्घाटन के लिए, तो महात्मा जी ने कहा कि मैं लेप्रोसी के अस्पताल के उद्घाटन के पक्ष में नहीं हूं, मैं नहीं आऊंगा, लेकिन ताला लगाना है, उस दिन मुझे बुलाना, मैं ताला लगाने आऊंगा। गांधी जी के रहते हुए उस अस्पताल को तो ताला नहीं लगा था, लेकिन गुजरात जब लेप्रोसी से मुक्त हुआ और मुझे उस अस्पताल को ताला लगाने का मौका मिला, जब मैं मुख्यमंत्री बना। 1835 से शुरू हुई यात्रा 2035 तक हमें खत्म करके रहना है जी, गांधी जी का जैसे सपना था कि मैं ताला लगाऊंगा, मेरा भी यह सपना है कि हम ताला लगाएंगे।

साथियों,

आपसे बहुत सारे विषयों पर चर्चा हो गई है। अब आपका मैं ज्यादा समय लेना नहीं चाहता हूं। Indian Express ग्रुप देश के हर परिवर्तन का, देश की हर ग्रोथ स्टोरी का साक्षी रहा है और आज जब भारत विकसित भारत के लक्ष्य को लेकर चल रहा है, तो भी इस यात्रा के सहभागी बन रहे हैं। मैं आपको बधाई दूंगा कि रामनाथ जी के विचारों को, आप सभी पूरी निष्ठा से संरक्षित रखने का प्रयास कर रहे हैं। एक बार फिर, आज के इस अद्भुत आयोजन के लिए आप सभी को मेरी ढेर सारी शुभकामनाएं। और, रामनाथ गोयनका जी को आदरपूर्वक मैं नमन करते हुए मेरी बात को विराम देता हूं। बहुत-बहुत धन्यवाद!